ওসিডি রোগটি আসলে এক ধরনের মানসিক রোগ। এই রোগ গুলি আসলে কোন জিনিসের প্রতি অত্যাধিক ভালোবাসা বা অত্যাধিক ভাবনা থেকে বিষয়টি আসে বলে মনে করা হয়। এবং এগুলো মোটামুটি ভাবে প্রচন্ড মানসিক সব থেকেই আসে বলে মনে করা হয়। এবং সামান্য কিছুকেই অনেক বড় কিছু ভেবে নিজে নিজে মানসিকভাবে কষ্ট পাওয়াটাই হলো আসলে ওসিডি। কিন্তু বর্তমানে যেহেতু বিজ্ঞান অনেক দূর এগিয়েছে তাই চিকিৎসা বিজ্ঞান ও পিছিয়ে নাই। সবকিছু থেকেই এখন মুক্তির উপায় অবশ্যই রয়েছে। তাই আপনারা যারা আজকে আমাদের এখানে এসেছেন যে ওসিটি থেকে মুক্তি পেতে আসলে কতদিন ধরে ঔষধ সেবন করতে হয় এই বিষয়টি জানার জন্য।
আপনারা অবশ্যই বিষয়টি আমাদের এখান থেকে আজকে বিস্তারিতভাবে জেনে যেতে পারবেন। আপনারা খেয়াল করে দেখলে দেখবেন যে কোন কিছু নিয়ে বেশি ভাবনা চিন্তা অবশ্যই ছোট বয়স থেকে হয় না যখন সংসারে প্রবেশ করে মানুষ তখনই বিভিন্ন ধরনের চিন্তাভাবনা থেকে এই বিষয়গুলি চলে আসে। একটা মানুষ যখন কোন কিছু নিয়ে বেশি ভাবতে থাকে তখনই তার মধ্যে এই ওসিটির লক্ষণ দেখা যায় বলে মনোবিদরা বলতে থাকেন। তাই যে কোন মানুষকে যদি ওই জায়গা
থেকে ফিরিয়ে নিয়ে আসতে হয় তাহলে তার জন্য অন্যভাবে কাজ করতে হবে। কারণ আপনারা জানেন যে প্রত্যেক ক্রিয়ারই সমান এবং বিপরীত প্রতিক্রিয়া রয়েছে। তাই আমরা যদি বাইরে থেকে কোন ক্রিয়া তার ওপর ফেলতে পারি তাহলে অবশ্যই সেখান থেকে বেরিয়ে আসার সম্ভাব বলেই মনে করা হয়। তাই এই ধরনের রোগীকে আপনি যদি মেডিটেশন, যোগাসন, এবং প্রচুর পরিমাণে শারীরিক ব্যায়াম করান তাহলে তার মনোযোগ অন্যদিকে ঘুরে যাবে বলে মনে করা হয়।
যোগাসনে যদি সে ঠিকমতো করতে পারে বা সময় দেয় তাহলে অবশ্যই ওসিডি থেকে সেই ব্যক্তি ফিরে আসতে পারে বলেই মনোবিদরা বলে থাকেন। এছাড়াও একজন ব্যক্তি যদি এই ধরনের রোগে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে প্রচুর পরিমাণে শারীরিক ব্যায়াম করাতে হবে এই কারণে যেন শরীরে ক্লান্তি এসে অবশ্যই ঘুমটা ঠিকভাবে হয়। ঠিকভাবে যদি ঘুম হয় তাহলে অবশ্যই শরীরের ক্লান্তি দূর হবে এবং এই ধরনের দুশ্চিন্তা তার মাথায় আর প্রবেশ করবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। এছাড়াও দীর্ঘদিনের পোকা এই ধরনের রোগীদেরকে অবশ্যই আমাদের উচিত যে মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞদের কাছে নিয়ে যাওয়া। মানসিক চিকিৎসকেরা যদি সবকিছু দেখে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাকে ব্যবস্থাপত্র লিখে দেন তাহলে অবশ্যই এর ফলাফল ভালো হতে পারে।
কিন্তু মোটামুটি ভাবে এই রোগ এর জন্য আমাদের কতদিন পর্যন্ত ঔষধ খেতে হয় সেই বিষয়টি একমাত্র ধাপে ধাপে সেই মানসিক রোগ নির্ণয়কারী ডাক্তারের কাছে গেলে তিনি ভালোভাবে বুঝে বিষয়টি বলতে পারবেন। তাই আপনারা যদি এই ধরনের রোগী আপনার থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই দ্রুত মানসিক চিকিৎসকের কাছে নিতে হবে এবং সেই চিকিৎসক যে পরামর্শগুলি আমাদেরকে দেবে সেটি অক্ষরে অক্ষরে পালন করলে বিষয়টি খুব দ্রুত সেরে যাবে বলে মনে করি। আর প্রাথমিকভাবে যদি এই রোগের চিকিৎসা করা হয় তাহলে অবশ্যই অল্প কিছুদিনের মধ্যেই এই রোগটি থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। এখন আমরা দেখব যে এই ওসিডি রোগের ঔষধ কত দিন খেতে হবে সেই বিষয়টি।
আপনারা এ বিষয়টি অবশ্যই বুঝবেন যে রোগের প্রকার আর মাত্রা ভেদ অনুযায়ী অবশ্যই চিকিৎসক আপনাকে বিভিন্ন মেয়াদে ঔষধ দিতে থাকবেন। তিনি ঔষধ দেবেন আর খেয়াল করে দেখবেন যে রোগী কতটুকুন সুস্থ হচ্ছে এবং সুস্থ হতে কেমন সময় লাগছে। তাই এই ওষুধটি বিভিন্ন সময় পর্যন্ত আমাদের খেতে হতে পারে। যেমন: বিষন্নতার ঔষধ সুস্থ হওয়ার পর 6 থেকে 12 মাস খাওয়া লাগতে পারে আবার দুশ্চিন্তার ঔষধ তিন থেকে বারো মাস পর্যন্ত খাওয়া হতে পারে। বড় মানসিক রোগের ক্ষেত্রে দেখা যায় এই ঔষধ দুই থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত চলতে পারে।