কনডম হল জন্মনিয়ন্ত্রণ করার পদ্ধতি গুলোর মধ্যে একটি। আমাদের বাংলাদেশ ১৯৭১ সালে জনগণ ছিল সাড়ে সাত কোটি। কিন্তু বর্তমানে অর্থাৎ ২০২৩ সালে বাংলাদেশের জনসংখ্যা হয় ১৭ কোটি প্রায়। ১৯৭১ সাল থেকে ২০২৩ সাল সময়ের ব্যবধান ৫২ বছর। এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে 9,50,00000 জন। তাহলে বোঝাই যাচ্ছে যে ৫২ বছরের ব্যবধানে দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে দ্বিগুণের চাইতেও বেশি। তাই এই অল্প আয়তনের দেশটিতে যদি এত জনসংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পায় তাহলে একটা সময় এসে অবশ্যই জনগণকে আমাদের দেশে জায়গা দেওয়া যাবে না। এই কারণে বিশেষজ্ঞরা অবশ্যই মনে করল যে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা যায় কিভাবে।
তখন থেকেই সরকারিভাবে বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবেই জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে আসছে সরকার। এ জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য জনগণকে সচেতন করে তোলার মাধ্যমে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করে যায়। অর্থাৎ যে সকল জন্মনিয়ন্ত্রণের পদ্ধতি গুলো ব্যবহার করলে জন্মনিয়ন্ত্রণ সম্ভব হতে পারে সেই সকল নিয়ম-কানুন গুলি সরকারিভাবে বিভিন্ন কৃষি রেডিও বা অন্যান্য যোগাযোগ মাধ্যমে সরকার প্রচারণা চালাতে থাকে। কারণ বাংলাদেশ যখন স্বাধীনতা অর্জন
করে সেই সময় তার জনগণ অনেকটাই অশিক্ষিত এবং অসচেতন ছিল। এই কারণে জন্মহার বৃদ্ধি পেয়েছিল। সেই সময় জন্মহার বৃদ্ধি পাওয়ার কারণেই এত জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছিল বাংলাদেশে। এবং সেই জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করার জন্যই জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি জনগণকে ব্যবহার করার জন্য সরকার সচেতন করতে থাকে। বাংলাদেশ টেলিভিশন বাংলাদেশ বেতার থেকে এবং অন্যান্য বিনোদনের মাধ্যমেও সরকার পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে জনগণকে সচেতন করতে থাকে।
কোন কোন পদ্ধতি অবলম্বন করলে জন্মনিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব এবং অধিক জনসংখ্যা হলে কি কি সমস্যা হতে পারে এই সকল বিষয়গুলি সরকার জনগণকে বোঝাতে সমর্থ্য হয়। বেশি জনসংখ্যার ভাব এ দেশ বহন করতে পারবেনা এবং একটি পরিবারে যদি অনেকগুলো সন্তান হয় এবং একটি পরিবারে কম সন্তান হলে অবশ্যই সেই দুই পরিবারের মধ্যে সুবিধা এবং অসুবিধার পার্থক্যগুলি জনগণকে বোঝানো হয়ে থাকে। পাঠ্য বই রেডিও টেলিভিশন সংবাদপত্র অন্যান্য বিনোদন মাধ্যম সকল ক্ষেত্রেই সরকার জনগণকে বোঝানোর চেষ্টা করে যায় ব্যাপকভাবে।
তাই এ সকল পদ্ধতির মধ্যে একটা পদ্ধতি হলো কনডম ব্যবহার করা। এছাড়াও রয়েছে স্বল্পমাত্রার জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল, স্বল্পমেয়াদী জন্মনিয়ন্ত্রণের ইনজেকশন, এবং দীর্ঘমেয়াদী অর্থাৎ একেবারে সম্পূর্ণভাবে জন্ম নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষেত্রে কিছু কিছু অপরেশন নারী এবং পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়ে থাকে। এবং সরকার এ সকল পদ্ধতি গুলো ব্যবহার করার ক্ষেত্রে অনেকগুলো টাকা পয়সা বা প্রণোদনা প্রদান করে থাকতো। জনগণও এই আন্দোলনে সাড়া দেয় এবং তারা জন্ম নিয়ন্ত্রণের সেই পদ্ধতি গুলো সাদরে গ্রহণ করে।
সরকারের স্লোগান ছিল ছেলে হোক মেয়ে হোক দুটি সন্তানই যথেষ্ট। বর্তমান সময়ের আরেকটি স্লোগান রয়েছে যে একটি নিলে ভালো হয় দুটির বেশি আর নয়। এবং সমাজে বা মানুষের মধ্যে বাংলাদেশের যে পদ্ধতি গুলো ব্যবহার করা হয় সেই সকল পদ্ধতি গুলোর সম্পর্কে জনগণকে ওয়াকিবহাল করা হয়। এ সকল পদ্ধতি গুলোর মধ্যে সবচাইতে সহজ পদ্ধতি এবং পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বিহীন পদ্ধতি হল কনডম ব্যবহার করা
। এবং এই কনডম ব্যবহার করতে হয় পুরুষদের। এখন আসলে অনেকেই জানে না বা কনডম ব্যবহার করা শিখানি বা নতুনদের জন্য অবশ্যই বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া আমাদের একান্ত প্রয়োজন। আসলে একটি কনডম কতবার ব্যবহার করা যায় এই বিষয়টি অনেকেরই ধারণা নেই। তাদের উদ্দেশ্যে আজকে আমরা অবশ্যই বলে দেবো যে একটি কনডম আসলে কতবার ব্যবহার করা যায়।
তাহলে আপনারা এখন জেনে নিতে পারেন যে একটি কনডম কতবার ব্যবহার করা যায়। সাধারণত জানেন যে একটি কনডম একবারের বেশি ব্যবহার করা যায় না। কনডম শুধুমাত্র ওয়ান টাইম ইউজ। একবারের বেশি কখনোই কনডমটি ব্যবহার করবেন না এবং একবার ব্যবহৃত হয়ে গেলে সেটি নির্দিষ্ট স্থানে ফেলে দেবেন অথবা মাটির নিচে পুঁতে ফেলবেন। এই ধরনের যেকোনো তথ্য পাওয়ার জন্য আপনারা অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের পাশে থাকবেন বলে আশা করি।