বিয়ের আগে একজন যুবক অথবা যুবতীর মনে সহবাস নিয়ে অনেক রকম প্রশ্ন আসতে পারে। যেহেতু এই বিষয়টির সাথে তারা পরিচিত নয় তাই তারা সবসময় কিছু কাল্পনিক চিন্তাভাবনা করে বসে সহবাস নিয়ে। তবে বন্ধুবান্ধব অথবা বড় ভাই-বোনদের কাছ থেকে এ বিষয়ে অনেক তথ্য তারা জানতে পারে এবং সহবাস সম্বন্ধে সঠিক তথ্য তাদের সামনে চলে আসে।
অনেক খারাপ বন্ধুবান্ধবের সাথে মিশে কেউ কেউ সহবাস সম্বন্ধে কিছু ভ্রান্ত ধারণা লাভ করে। তবে সহবাস সম্বন্ধে সঠিক তথ্য সকলের জানা উচিত কারণ প্রায় সকল ছেলেমেয়েদের একটা সময় এই পরিস্থিতি সম্মুখীন হতে হবে। আমরা চেষ্টা করব আজ সহবাস সম্বন্ধে একদম সঠিক ও বিজ্ঞানসম্মত তথ্য গুলো আপনাদের জানাতে যেখান থেকে আপনারা অনেক উপকৃত হবেন এবং নিজেদের জীবনে এই জ্ঞানগুলো কাজে লাগাতে পারবেন।
বিয়ের প্রথম দিকে নব দম্পতিকে বেশ কিছু সমস্যা সম্মুখীন হতে হয়, তার মধ্যে একটি হলো দুজন দুজনকে খুব বোঝা। একজন অপরিচিত মানুষের সাথে আপনি মেলামেশা শুরু করছেন, তার সাথে একই ছাদের নিচে একই বিছানায় থাকতে শুরু করছেন, প্রতিটি বিষয়ে দুজনের মধ্যে শেয়ার করে নিচ্ছেন এগুলো প্রথমদিকে মেনে নেওয়া খুবই কঠিন হয়ে পড়ে। যে মানুষটি প্রতিদিন একা একা ঘুমাতো, নিজের পার্সোনাল জিনিসপত্র ব্যবহার করত এখন সেগুলো আরেকজনের সাথে
শেয়ার করতে হচ্ছে। প্রথমদিকে এই বিষয়গুলো মানা অনেকটা কঠিন হলেও আস্তে আস্তে সকলেই অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। বিয়ের আগে মেয়েদের এই বিষয়ে সব কিছু বলে দেওয়া হয় এবং কিভাবে কি করতে হবে সে বিষয়ে অনেক কিছু পরামর্শ দেওয়া হয়। ছেলেরাও বড়দের কাছ থেকে অনেক কিছু জানতে পারে কিন্তু বাস্তব জীবনে কিছুটা হলেও সমস্যার মুখোমুখি হতেই হয়। দুজন দুজনের মানসিকতা বোঝাটা সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং বিষয় হয়ে দাঁড়ায়।
নব দম্পতিদের সামনে আরেকটি সমস্যা চলে আসে তা হল সহবাসে দুজনের স্বতস্ফূর্ততা। প্রথমদিকে হয়তো দুজনেই সহবাসের সঠিক নিয়ম সম্বন্ধে কিছুই বুঝতে পারে না। কোন সময়ে সহবাস করাটা তাদের জন্য সবচেয়ে ভালো হবে, একদিনে কতবার সহবাস করাটা সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ হবে তা নিয়ে তাদের মনে অনেক প্রশ্ন থাকে। এ প্রশ্ন হয়তো আপনিও অনেকের কাছে অনেক সময় শুনে থাকবেন। আমরা এ প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেব এবং কেন এটি সঠিক তা যুক্তি দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করব।
স্বামী স্ত্রীর মধ্যে সহবাসের বিষয়টি খুবই স্বাভাবিক এবং দুজনে এই বিষয়টি উপভোগ করতে হবে। প্রথমদিকে সহবাসে দুজন দুজনকে যথেষ্ট সাহায্য করতে হবে যেন উভয়েই স্বাভাবিক থাকতে পারে। প্রথমদিকে তাড়াহুড়া না করে আস্তে আস্তে সময় নিয়ে কাজ করতে হবে। কখনোই কেউ কাউকে অসম্মান করা যাবে না, সব সময় মনে রাখবেন আপনি নিজের জীবন সঙ্গীর সাথে অন্তরঙ্গ হচ্ছেন এবং আপনাদের দুজনের জন্যই এটি মঙ্গল বয়ে আনবে। আপনার পার্টনার যদি কখনো সাড়া না দেয় তাহলে কোনভাবে জোর করার চেষ্টা করবেন না, ঠিক একইভাবে আপনার পার্টনারের ডাকে সাড়া দেওয়াটাও আপনার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে একদিনে কতবার সহবাস করা যায়। আসলে এই প্রশ্নটির নির্দিষ্ট কোন উত্তর নেই কারণ আপনি এবং আপনার পার্টনার দুজনে কিভাবে সন্তুষ্ট হবেন সেটা সম্পূর্ণ আপনাদের উপর নির্ভর করে। আপনি যদি মনে করেন আপনার এক দিনে দুইবার সহবাস করার প্রয়োজন তাহলে নিজের পার্টনারকে সেভাবে তৈরি করে নিতে পারেন। আবার আপনি ইচ্ছুক হলেও আপনার পার্টনার যদি এ বিষয়ে আগ্রহী না হয় তাহলে আপনার পার্টনারের মতামত কে সম্মান দিতে
হবে। বিবাহিত জীবন কখনো একজনের ডিসিশনে চলতে পারে না, বিবাহিত জীবনে কম্প্রোমাইজ, স্যাক্রিফাইস এই বিষয়গুলো বারবার সামনে চলে আসবে। নিজের প্রিয় মানুষটির জন্য আপনাকে অনেক কিছু ত্যাগ করতে হতে পারে, ভালোবাসার জন্য এতটুকু ত্যাগ হয়তো আপনি করতে পারবেন। আস্তে আস্তে হয়তো আপনিও আপনার পার্টনারের ইচ্ছার সাথে নিজেকে অভ্যস্ত করে তুলতে পারবেন। আশা করি একদিনে কতবার সহবাস করা যাবে সে বিষয়টি আপনার কাছে এখন একদম ক্লিয়ার।