ওয়েলকাম ভিউয়ার্স, স্বাস্থ্য বিষয়ক এই আলোচনা আপনাদের স্বাগতম। যেকোনো রোগ সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য জানতে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করতে পারেন। আজকে আমরা এইডস রোগ সম্পর্কে কিছু তথ্য আপনাদের জানাবো। কিভাবে এইডস পরীক্ষা করা হয়? এইডস পরীক্ষা করা কি ব্যয়বহুল? অর্থাৎ এইডস পরীক্ষা করতে কত টাকা লাগে সেটা সবাই জানতে চায়। কারণ বর্তমানে চিকিৎসা হয়ে গেছে অনেক ব্যয়বহুল।
মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজনদের পক্ষে চিকিৎসার খরচ বহন করা এখন হয়ে পড়েছে কষ্টকর। বেসরকারি ক্লিনিক গুলোতে বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং যাবতীয় চিকিৎসায় অনেক খরচে হয়। এজন্য কোন চিকিৎসার আগে আমাদের চিকিৎসার খরচ জানতে চাওয়া খুবই স্বাভাবিক। আপনাদের সব প্রশ্নের উত্তর পেতে আমাদের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণভাবে ফলো করতে হবে।
যখন এইডসের প্রকোপ বেশি ছিল তখন এই রোগটি সম্পর্কে মানুষ অসচেতন ছিল। কিন্তু এখন মানুষ সচেতন হয়ে গেছে। এখন উন্নত দেশগুলোর মত বাংলাদেশের মানুষেরাও অনেক শিক্ষিত। বাংলাদেশের শিক্ষার হার বৃদ্ধি পেয়েছে এজন্য এই সকল মারাত্মক রোগ সম্পর্কে মানুষের যথার্থ জ্ঞান রয়েছে। এবং মানুষ সচেতনতা প্রকাশ করেছে বলেই আজকে আমরা এই এইডস নামক ভয়াবহ রোগের হাত থেকে অনেকাংশে মুক্তি পেয়েছি।
এইডস সম্পর্কে আমাদের অনেক প্রশ্ন রয়েছে। এই সকল প্রশ্নের উত্তর জানা সকলেরই খুব। বাংলাদেশ একটি কৃষি প্রধান দেশ। বাংলাদেশের শহরের তুলনায় গ্রামের সংখ্যা বেশি। এজন্য অধিকাংশ গ্রামের মানুষ সজল। গ্রামের অধিকাংশ মানুষ নিরক্ষর হয় এজন্য গ্রামের মানুষদের কাছে এগুলো তথ্য পৌঁছানো আমাদের কর্তব্য। ছোট ছোট শহরের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গুলোর মাধ্যমে এইসব তথ্য গ্রামাঞ্চলের মানুষের মাঝে সরবরাহ করা হয়। বিভিন্ন ক্যাম্পিং এর মাধ্যমে সর্বস্তরের মানুষদের জানানো হয় যে কিভাবে আমরা এইডস এর সংক্রামক থেকে মুক্তি পেতে পারি।
সম্মানিত প্রিয় পাঠক বৃন্দ আজকে আপনারা জানতে পারবেন যে, কিভাবে আমরা খুব সহজেই রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে পরীক্ষা করে নিতে পারি যে আমাদের রক্তে এইচআইভি নামক ভাইরাস রয়েছে কিনা।আমরা বাড়িতে যেরকম ব্লাড সুগার, ব্লাড প্রেসার পরীক্ষা করতে পারি খুব সহজে তেমনি মেডিকেল থেকে এইচআইভি পরীক্ষা করা খুবই সহজ পদ্ধতি। সামান্য ব্লেড স্যাম্পলের মাধ্যমে পরীক্ষা করা সম্ভব যে আপনার রক্তে এইচআইভি আছে কিনা।
এর জন্য লাগবে আঙুলের ডগা থেকে সামান্য এক ফোঁটা রক্ত। সেই রক্ত Self-Testing কিটে ফেললে অ্যান্টিবডি বিশ্লেষণ করে তা জানিয়ে দেবে ওই ব্যক্তি এইচআইভি পজিটিভ কি না। যদি পজিটিভ হয়, দুটি রেখা দেখা দেবে। তবে, পরীক্ষার ফল নেগেটিভ মানেই এই নয় যে ওই ব্যক্তি এইচআইভি আক্রান্ত নন।
সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গুলোতে এখন এই রোগের পরীক্ষা করার ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে অনেক সময় সাধারণ মানুষ সেবা পায় না। এবং অনেক সময় দেরি হয়ে যায় সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে চিকিৎসা পেতে। তাই আপনি যদি প্রাইভেট ক্লিনিক গুলোতে এই পরীক্ষা করাতে চান তাহলে আনুমানিক ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা খরচ হতে পারে।এর আগে সাধারণ মানুষ এইচআইভির পরীক্ষা করাতেন বিভিন্ন এনজিওতে।
গ্লোবাল ফান্ডের অর্থ-সহায়তার কারণে এনজিওগুলো বিনা মূল্যে এই সেবা দিতে পারত। সরকারি ও বেসরকারি সূত্র জানিয়েছে, এইচআইভি/এইডস খাতে গ্লোবাল ফান্ডের অর্থায়ন কমে যাচ্ছে। তাই সরকার নিজের অর্থে এইচআইভি/এইডস খাতে কাজ শুরু করেছে।ইতিমধ্যে ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা, বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এই কেন্দ্র চালু হয়েছে। এ ছাড়া রাজধানীর সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতাল এবং সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ সেবা পাওয়া যাচ্ছে।
সরকারি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, খুব শিগগির বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যাল। এবং কক্সবাজার সদর হাসপাতালে এই কেন্দ্র চালু হবে। সরকারি হাসপাতালে কেন্দ্রগুলো চালু হলেও এগুলো পরিচালনা করছে আশার আলো সোসাইটি, মুক্ত আকাশ বাংলাদেশ এবং ক্যাপ নামের তিনটি এনজিও। প্রতিটি কেন্দ্রে এদের তিনজন করে কর্মকর্তা-কর্মচারী কাজ করেন। বর্তমানে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক বিভিন্ন পদক্ষেপ এইডস এর মোকাবেলায় যথার্থ কার্যকর হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। সরকারি অর্থায়নে এই সকল মরণব্যাধির চিকিৎসা দেওয়া হয়।