ielts হলো একটি পরীক্ষা। ইংরেজি ভাষার দক্ষতা যাচাই করতে এই পরীক্ষাটি অনুষ্ঠিত হয়। আমরা বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ এই ielts ইংরেজি পরীক্ষা সম্পর্কে অজ্ঞাত। যারা উচ্চ শিক্ষিত হতে চায়। যারা পড়াশোনা করে জীবনে ভালো কিছু করতে চায় তাদের এই সম্পর্কে জানা উচিত। অনেকে যারা ielts পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক তারা এই পরীক্ষা সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের। যেমন এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে রেজিস্ট্রেশন ফি কত?
কতজন ছাত্রছাত্রীর মধ্যে এবং কিভাবে কোন পদ্ধতিতে পরীক্ষাটি অনুষ্ঠিত হয়?ielts পরীক্ষার ফল কিভাবে বাছাই করা হয়?
ielts পরীক্ষায় অংশগ্রহণের যোগ্যতা সমূহ?ielts বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় কোন পর্যায়ে এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার নিয়ম রয়েছে?এই সকল প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন আপনারা আমাদের এই আর্টিকেলটির মধ্যে। ielts এই পরীক্ষাটি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হয়। এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা অনেক বড় বড় চাকরিতে নিয়োজিত রয়েছে। আপনি যদি এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে চান তাহলে নিশ্চয়ই আপনাকে একজন মেধাবী ছাত্র হতে হবে। অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করে রেজিস্ট্রেশন করার পর বরাদ্দকৃত ফি পেমেন্ট করে সবকিছু অনলাইন কর্মসূচি করার পর আপনি এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য প্রস্তুত হতে পারবেন।
আইইএলটিএস’ হচ্ছে ইংরেজি ভাষায় দক্ষতার সনদ, যা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। IELTS (The International English Language Testing System)। যাদের মাতৃভাষা ইংরেজি নয় তাদের অনেক দেশে উচ্চশিক্ষা কিংবা ভিসার আবেদন করতে ভালো আইইএলটিএস স্কোর থাকতে হয়। আইইএলটিএস পরীক্ষাপদ্ধতি দুই ধরনের, ‘একাডেমিক’ ও ‘জেনারেল’। উচ্চশিক্ষায় বিদেশে যেতে ইচ্ছুক পরীক্ষার্থীদের ‘একাডেমিক আইইএলটিএস’ টেস্টে অংশ নিতে হয়। যে কেউ এ পরীক্ষায় অংশ নিতে পারে। এ জন্য কোনো শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রয়োজন নেই।
ইউনিভার্সিটি অব ক্যামব্রিজ সূত্রে জানা যায়, ১৪ লাখের বেশি শিক্ষার্থী ও পেশাজীবী উচ্চশিক্ষা ও চাকরির লক্ষ্যে প্রতিবছর আইইএলটিএস পরীক্ষায় অংশ নেন। ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের এক্সামিনেশনস ডাইরেক্টর পিটার এশটন জানান, উচ্চশিক্ষা ছাড়াও অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, যুক্তরাজ্যসহ অনেক দেশে ইমিগ্রেশনের ক্ষেত্রে আইইএলটিএস স্কোর থাকা বাধ্যতামূলক।
আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ইংরেজি ভাষায় দক্ষতার সনদ আয়েল্টস টেস্টে বর্তমানে বাংলাদেশের অনেক শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। হায়ার গ্র্যাজুয়েশন কিংবা আন্ডারগ্র্যাডের জন্য ইংরেজি ভাষাভাষি দেশের কোন ইউনির্ভাসিটি বা কলেজে পড়তে প্রয়োজন হয় এই টেস্টের ব্যান্ড স্কোর । এছাড়াও যাদের মাতৃভাষা ইংরেজি নয় তাদের বিদেশে ভিসার আবেদন করতে আয়েল্টস স্কোর থাকতে হয়।
তবে আমাদের দেশে আয়েল্টস নিয়ে তেমন কোন তথ্য সাধারণ একজন শিক্ষার্থীর পক্ষে পাওয়া খুবই মুশকিল। আয়েল্টস টেস্ট দিবেন বলে মনস্থির করলেও জানা যায় না এই পরীক্ষা কবে, কখন, কোথায় হবে? আর কত টাকাই বা খরচ পড়বে? এর কাছে ওর কাছে ধরণা দিয়ে, যে তথ্য মিলে তাও অসম্পূর্ণ।
উচ্চশিক্ষার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পড়াশোনা করতে যাওয়ার স্বপ্ন দেখা শিক্ষার্থীর সংখ্যা আমাদের এই ছোট্ট দেশে ক্রমান্বয়ে বাড়ছেই। সেই সাথে বাড়ছে আয়েল্টস পরীক্ষায় অবতীর্ণ হতে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের মধ্যে না খুঁটিনাটি প্রশ্ন। সাধারণ অনেক শিক্ষার্থীর মনেই প্রশ্ন থাকে
The International English Language Testing System এর সংক্ষিপ্ত রুপ IELTS। বাইরের দেশে উচ্চশিক্ষা (স্নাতক, স্নাতকোত্তর অথবা পিএইচডি) এবং ইমিগ্রেশন/ চাকুরি/ব্যবসা ইত্যাদির উদ্দেশ্যে যেতে চাইলে IELTS এর প্রয়োজন পরে। সেক্ষেত্রে উচ্চশিক্ষার জন্য লাগে একাডেমিক IELTS। আর অন্য কোনো উদ্দেশ্যে জেনারেল IELTS দিতে হয়। এর জন্য কোনো শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রয়োজন পরে না। যে কেউ এই পরীক্ষায় অংশ নিতে পারে। এ দুটির মধ্যে পার্থক্য খুব বেশি নয়। শুরুর দিকে যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়ায় উচ্চশিক্ষার জন্য এটি অপরিহার্য হলেও বর্তমানে পৃথিবির বিভিন্ন দেশে, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে IELTS লাগে।
এই পরীক্ষার জন্য একজন প্রার্থীকে অবশ্যই ১৬ বছর বা তার বেশি হতে হবে। এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য কত টাকা লাগে সেটা সঠিকভাবে বলা যায় না। কারণ বিভিন্ন সময় এই অর্থের পরিমাণ পরিবর্তন হয়। কিন্তু আপনি যদি এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক হন তাহলে সকল তথ্য পেয়ে যাবেন আপডেট। অভিভাবক হিসেবে আপনার সন্তান-সন্ততির জন্য এই ইংরেজি দক্ষতা যাচাইয়ের পরীক্ষা সম্পর্কে সব তথ্য নিয়ে রাখতে পারবেন। এই গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে আপনিও একজন মেধাবী ছাত্রের পরিণত হতে পারবেন।