ওমানের বাইসা হল তাদের প্রচলিত মুদ্রার ক্ষুদ্রতম অংশ। এই ভাইসা কি যদি আমরা আর একটু খোলাসা করে বললে যেটি বোঝানো যায় তা হল- বাংলাদেশের ১০০ পয়সা সমান এক টাকা। অর্থাৎ বাংলাদেশে প্রচলিত মুদ্রা যে টাকা সেটি ১৬ পয়সা সমান এক টাকা হয়। তেমনি ভাবে এই বাইসা হল ওমানের সবচাইতে ক্ষুদ্রতম অংশ। তবে একটি ব্যাপার হলো যে আমাদের পয়সা হল ধাতব মুদ্রা। কিন্তু ওমানের বাইসা সাধারণত কাগজে নোট। তাই আমরা বাংলাদেশের পয়সার সাথে ওমানের
বাইসা অনেকটা তুলনা করা যেতে পারে। আমাদের বাংলাদেশে মুদ্রা স্মৃতি অনেক বেশি আর এই মুদ্রাস্ফীতি বেশি হওয়ার কারণে আমাদের দেশে প্রচলিত মুদ্রা অন্যান্য দেশের মুদ্রার বিপরীতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কম মূল্য মানের। ওমানের বিপরীতে অর্থাৎ ওমানের মুদ্রা বিপরীতে আমাদের বাংলাদেশের মুদ্রা অনেক কম মূল্যমানের। এজন্য আমাদের বাংলাদেশ থেকে অনেক শ্রমিক কর্মচারী ওমানে বিভিন্ন ধরনের কাজ করে থাকেন।
তার কারণ হলো বাংলাদেশের তুলনায় ওমানে অনেক কম বেতনে চাকরি করেও দেখা যাচ্ছে যে বাংলাদেশের সেই টাকা পাঠালে অনেক বেশি টাকা হয়। এসব কারণে বাংলাদেশ থেকে অনেক শ্রমিক কর্মচারী ওমানের উদ্দেশ্যে পাড়ি জমায়। আবার ওমান সরকারও বাংলাদেশ থেকে অনেক শ্রমিক কর্মচারী তারা নিয়ে থাকেন। তারা যখন এই কম বেতন দেশে নিয়ে আসে সেই টাকাটা অনেক বেশি হয়। আমাদের দেশ প্রচুর জনবসতিপূর্ণ দেশ। সেই তুলনায় আমাদের দেশে কৃষিজমি এবং
অন্যান্য সম্পদ কমতে থাকছে। আর এই কারণে বাংলাদেশ থেকে প্রচুর দক্ষ জনশক্তি বিদেশে রপ্তানি করতে হয়। দক্ষ জনশক্তি বিদেশে রপ্তানি করে আমাদের প্রচুর অর্থ উপার্জন হয়। তাই বাংলাদেশ সরকার এবং ব্যক্তিগতভাবে যারা বিদেশে যায় তারাও অনেক বেশি আয় রোজগার করে থাকেন। এই কারণে আপনারা যারা আজকে আমাদের এই পোস্টে এসেছেন যে ওমানের এক পয়সা সমান বাংলাদেশের কত টাকা সেই হিসাবটি জানার জন্য।
আপনারা অবশ্যই আমাদের এই পোস্ট থেকে আজকে ওমানের এডভাইসের সমান কত টাকা সে বিষয়টি জেনে নেবেন। কারণ বাংলাদেশের টাকার বিপরীতে ওমানের মুদ্রার মূল্য কত এ বিষয়টি বা এই হিসাবটি যদি আমরা না জেনে থাকি তাহলে প্রতিনিয়ত যে ওমানে শ্রমিক কর্মচারী স্টুডেন্ট যাচ্ছে তাদের অবশ্যই হিসাব নিকাশ করার দরকার রয়েছে।তাছাড়া ওখানে গিয়ে কত টাকা খরচ হবে এবং সেটি বাংলাদেশি টাকার বিপরীতে ওমানের টাকা কত হবে সেই সকল হিসাব নিকাশ যদি না
করে যায় তাহলে অবশ্যই সেখানে গিয়ে অনেকটা বিপদে পড়ার আশঙ্কা থাকে। তারই প্রেক্ষিতে আজকে আমরা আপনাদেরকে অবশ্যই জানিয়ে দেবো যে ওমানের এক পয়সা সমান বাংলাদেশের কত টাকা। এই হিসাবটি যদি আপনারা জানেন তাহলে অবশ্যই সম্পূর্ণ হিসাব নিকাশ করে এর বিষয়টি বুঝে নিতে পারবেন। আর এ ধরনের যেকোন তথ্য পাওয়ার জন্য আপনার অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটে এসে বিষয়গুলি দেখে নিতে পারেন।
কারণ আমরা সব সময় দৈনন্দিন জীবনে ঘটে যাওয়া মানুষের বিভিন্ন ধরনের তথ্য প্রয়োজন পড়ে আর সেই তথ্যগুলি আমরা সঠিকভাবে আপনাদের উদ্দেশ্যে উপস্থাপন করে থাকি। তাই আপনারা যদি যেকোনো তথ্য এসে আমাদের ওয়েবসাইটে খোঁজেন তাহলে অবশ্যই পাবেন বলে আশা করি। আজকে সেরকম ধরনেরই একটি তথ্য আপনারা খুঁজতে এসেছেন বা জানতে এসেছেন যে ওমানের এক বয়সে সমান বাংলাদেশের কত টাকা।
আপনারা ইতিমধ্যে জেনে গেছেন যে ওমান প্রাকৃতিক সম্পদে এবং ব্যবসা-বাণিজ্যে অনেক এগিয়ে তাদের জনসংখ্যা অনেক কম। এ কারণে তারা পৃথিবীতে একটি ধনী রাষ্ট্রের মধ্যে পড়ে। জনসংখ্যা কম তাই দক্ষ জনশক্তি তাদেরকে বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। তারি প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ থেকে অনেক শ্রমিক কর্মচারী সেখানে যায়। সেখানে গিয়ে তারা অবশ্যই oman real হিসেবে বেতন পায়। সেই ওমান রিয়েল এর ক্ষুদ্রতম অংশ হলো বাইসা। বাইশা তাদের দেশে ব্যাপকভাবে প্রচলিত। তাই আজকে আমরা দেখাবো এক ভাইসার সমান বাংলাদেশি কত টাকা।
1 (Baisa) Omani Baisa= 0.2820 (BDT) Bangladeshi Taka.