ইংল্যান্ড অথবা ইংল্যান্ডের আশেপাশের কোন দেশে যারা সম্প্রতি ভিজিট করেছেন অথবা অনেক আগে থেকেই বসবাস করছেন তাদের জন্য একটি তথ্য জানা খুবই জরুরী। সেই তথ্যটি কি,তা হয়তো ইতিমধ্যেই আপনারা আন্দাজ করে ফেলেছেন। বাংলাদেশ থেকে যারা ইউরোপে যেতে চাইছেন তাদের ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশের মুদ্রা সম্বন্ধে জানাশোনা থাকতে হবে। সবচেয়ে বেশি জানতে হবে ইউরো সম্বন্ধে যেটি ইউরোপের সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত মুদ্রা। আপনারা অনেকেই হয়তো জানেন ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত যে কয়েকটি দেশ রয়েছে সেই সব দেশেই ইউরোর মাধ্যমে যেকোনো দ্রব্য ক্রয় বিক্রয় করা যায়।
কিন্তু ইউরো ছাড়াও এইসব দেশের নিজস্ব মুদ্রা ব্যবস্থা রয়েছে। যেমন আমরা উদাহরণস্বরূপ বলতে পারি ব্রিটিশ পাউন্ডের কথা। ইউরোপে যারা যাওয়া আসা করেন অথবা ইউরোপ সম্বন্ধে যারা পড়াশোনা করেন তারা পাউন্ড সম্বন্ধে খুব ভালো ধারণা রাখেন কিন্তু বাংলাদেশে অনেক মানুষ আছে যারা এখনো পাউন্ড সম্বন্ধে কিছুই জানেন না। আমাদের কাজ হচ্ছে আপনার যে বিষয়টি জানেন না কিন্তু জানার আগ্রহ রয়েছে সেই বিষয়গুলো পরিষ্কারভাবে আপনাদের সামনে তুলে ধরা। আজও আমরা পাউন্ড সম্বন্ধে সঠিক তথ্যগুলো বিস্তারিতভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করছি। আশা করি এই আর্টিকেলটি পড়ার পর পাউন্ড সম্বন্ধে আপনার আর কোন প্রশ্ন থাকবে না।
এর আগে আমরা বিভিন্ন দেশের মুদ্রা সম্বন্ধে জেনেছি। আমরা অনেকবার মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের মুদ্রা নিয়ে আলোচনা করেছি যেখানে ছিল সংযুক্ত আরব আমিরাতের দিরহাম, কুয়েতি দিনার, সৌদি রিয়াল, ইন্ডিয়ান রুপি, ইউরো, আমেরিকান ডলার ইত্যাদি। এই মুদ্রা গুলো নিয়ে আলোচনা করার সময় আমরা দেখিয়েছিলাম এদের সাথে বাংলাদেশি টাকার কেমন তফাৎ। আপনারা হয়তো ওই আর্টিকেলগুলো থেকে জানতে পেরেছেন বাংলাদেশী টাকার মান অন্যান্য দেশের মুদ্রার
তুলনায় কেমন। সারা পৃথিবীতে যে কয়েকটি জনপ্রিয় মুদ্রা রয়েছে তার সবগুলো নিয়েই আমরা কথাবার্তা বলেছি কিন্তু পাউন্ড নিয়ে জানার আগ্রহটা আপনাদের মধ্যে সবসময়ই অনেক বেশি ছিল। যেহেতু ইদানীংকালে অনেকেই পাউন্ড সম্বন্ধে আলোচনা করার জন্য বেশ কয়েকবার অনুরোধ করেছেন তাই পাউন্ড নিয়ে কথা না বলে আর কোন উপায় ছিল না। চলুন আমরা এখন জেনে নেওয়ার চেষ্টা করি ব্রিটিশ পাউন্ড ও বাংলাদেশি টাকার মধ্যে কত পার্থক্য।
ব্রিটিশ পাউন্ড ও বাংলাদেশি টাকার মধ্যে পার্থক্য কতটা তা জানতে হলে আমাদের দেখতে হবে এক পাউন্ড সমান কত বাংলাদেশি টাকা হয়। এই আর্টিকেলটি লেখার সময় এক পাউন্ড সমান ১৩৭.৬৭ বাংলাদেশি টাকা। এই তথ্যটি জানার পর আপনারা বুঝতেই পারছেন ব্রিটিশ ফাউন্ডের সাথে বাংলাদেশের টাকার বেশ ভালো একটা তফাৎ রয়েছে।
আপনার কাছে যদি এক ব্রিটিশ পাউন্ড থাকে তাহলে আপনি এটিকে বাংলাদেশে টাকায় রূপান্তর করলে ১৩৭ টাকা পাবেন। কখনো কখনো এই রেট বেড়ে ১৪০ এর উপরে উঠতে পারে। আপনার কাছে যদি বেশ কিছু ব্রিটিশ পাউন্ড থাকে তাহলে আপনি সময় ও সুযোগ বুঝে এটিকে বাংলাদেশী টাকায় কনভার্ট করে নিতে পারেন। এক্ষেত্রে বাজারে রেট সম্বন্ধে আপনার জানাশোনা থাকতে হবে।
কোন সময় ব্রিটিশ পাউন্ড ভাঙ্গালে সবচেয়ে বেশি টাকা পাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে তা জানতে হলে আপনাকে নিয়মিত পাউন্ড এর রেট সম্বন্ধে খোঁজখবর রাখতে হবে। এই খোঁজ পাওয়ার জন্য আপনি যেকোন উপায় অবলম্বন করতে পারেন যার মধ্যে সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে আমাদের ওয়েবসাইটে এসে দেখে নেওয়া আজকের পাউন্ডের রেট কেমন। এই আর্টিকেলটি যারা পড়ছেন তাদের মধ্যে অনেকেই শুধুমাত্র
কৌতূহলের বসে জানতে এসেছেন এক পাউন্ড সমান কত বাংলাদেশি টাকা কিন্তু যাদের কাছে পাউন্ড আছে অথবা টাকা থেকে পাউন্ড তৈরি করতে চান তারা চাইলে নিয়মিত খোঁজখবর রেখে নির্দিষ্ট সময়ে সুযোগ বুঝে কাজটি করে ফেলতে পারেন। আমরা সবসময় আপনাকে সঠিক তথ্য দিয়ে সাহায্য করবো যেন আপনার জন্য কোনটি সবচেয়ে উপযুক্ত সময় তা বুঝতে পারবেন।