জমি সংক্রান্ত ধারণা যাদের ভেতরে একেবারেই নেই তারা আমাদের ওয়েবসাইট থেকে নিয়মিতভাবে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান জেনে নিতে পারেন। জমি জমা সংক্রান্ত বিষয়গুলো অত্যন্ত নিখুঁত এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হওয়ার কারণে আমাদের এ বিষয়ে সঠিক ধারণা অর্জন করতে হবে। পারিবারিকভাবে অনেক সম্পত্তি পাবেন অথবা পরিবারের অনেক সম্পত্তি রয়েছে এমন সকল ব্যক্তি যদি সঠিক ধারণা অর্জন করতে না পারেন অথবা পিতাদের থেকে যদি এগুলো না বুঝে নেন তাহলে পরবর্তীতে দখল ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে অনেক ঝামেলায় পড়তে হয়। তবে সে সকল বিষয় ছাড়াও আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কিছু বেসিক বিষয় জানতে হয় যেগুলো পাঠ্য বইয়ে অথবা অন্যান্য অনেক কাজে লাগে।
তাই আপনারা যখন এই পোস্ট ভিজিট করার মাধ্যমে কত কাঠায় এক বিঘা হয়ে থাকে তা জানতে চান তখন অবশ্যই আমরা আপনাদেরকে সেই তথ্য দিয়ে সাহায্য করবো। সেই সাথে জমি জমা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যখন জানিয়ে দেবো তখন আপনাদের ভেতরে সঠিক জ্ঞানের উপস্থিতি থাকলে কেউ আপনাকে এ বিষয়ে ঠকাতে পারবেনা। বর্তমান সময়ে জমির বিষয়গুলো অত্যন্ত নিখুঁত হয়ে গিয়েছে এবং এই ক্ষেত্রে আপনি যদি অতীতের ধ্যান-ধারণা নিয়ে বসে থাকেন তাহলে অনেক সময় আপনার দখল করার জমিও কাগজ-কলমের বলে অন্যের হয়ে যাবে।
কোথাও যদি জমি কিনেন তাহলে যার থেকে জমি কিনছেন সেই ব্যাক্তি কোন সূত্রে এই জমি পেয়েছে এবং সেই ক্ষেত্রে জমির নামজারি করা আছে কিনা এ বিষয়গুলো জেনে নেওয়াটা জরুরী। তাছাড়া একজন অভিজ্ঞ উকিল অথবা মুহুরী দিয়ে আপনারা যখন এ বিষয়গুলো যাচাই করে দেখবেন তখন আপনাদের কাছে স্পষ্ট হয়ে যাবে। কারণ জমি জমার ভেজাল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভেজাল এবং এই ভেজাল সারানোর জন্য আপনাকে অফিসের পর অফিস ছুটতে হবে অথবা দিনের পর দিন টাকা খরচ করে সময় নষ্ট করতে হবে।
তাই কারো থেকে জমি কিনতে হলে যেমন প্রত্যেকটা কাগজপত্র ঠিক আছে কিনা তা যাচাই করে দেখতে হবে তেমনিভাবে সেই জমির উপরে কোন ধরনের ব্যাংক লোন নেওয়া আছে কিনা সেটাও দেখতে হবে। এভাবে প্রত্যেকটি কাজ সম্পন্ন করার সাথে সাথে জমি রেজিস্ট্রেশনের সময় প্রয়োজনীয় যে সকল কাগজপত্র লাগবে সেগুলো যেন একজন মোহরী সংগ্রহ করে অথবা যিনি জমি বিক্রি করছেন তিনি নিজ দায়িত্বে প্রদান করে জমি রেজিস্ট্রি যেন করে দেয়।
আর কোন জমি কেনার পর সাথে সাথে তা দখল করার পাশাপাশি যত দ্রুত সম্ভব নাম জারি করে নিতে হবে। কারণ অতীতের যাবতীয় মালিকানা বাদ দিয়ে এখানকার মালিকানা আপনার নামে প্রতিষ্ঠিত হবে এবং কাগজে-কলমে এই মালিকানা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পাশাপাশি দখলের বিষয়টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়া কেউ যদি জমি মাফতে চায় তাহলে অবশ্যই আপনাদেরকে দৈর্ঘ্য প্রস্থ অনুযায়ী কত শতাংশ জমি কিনছেন অথবা সেখানে দলিলে উল্লেখিত তথ্য অনুযায়ী জমি ঠিকঠাক মত রয়েছে কিনা এ বিষয়গুলো জেনে নেওয়াটা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব।
তাই আমাদের সব সময় জমির বিষয়ে সঠিক ভূমিকা পালন করতে হবে এবং পিতা অথবা দাদার নামে অথবা বংশগতভাবে কতটুকু কোথায় কি নামে জমির রয়েছে তা জেনে নিতে হবে। আর এই তথ্যগুলো যখন আপনারা অনুসরণ করবেন তখন সেটা আপনাদের জন্য হতেতেই আপনারা প্রয়োজনীয় কাজগুলো করতে পারবেন। তবে এই পোস্ট ভিজিট করার মাধ্যমে যারা কত কাঠাতে এক বিঘা হয়ে থাকে তা জানতে চান তাদের উদ্দেশ্যে আমরা কাঠা এবং শতাংশের উভয় হিসাব জানিয়ে দেব।
আপনাদের প্রশ্নের উত্তর হিসেবে আমরা এটা বলতে চলেছি যে, বিশ কাঠায় এক বিঘা জমি হয়ে থাকে। আর যদি শতাংশের হিসেবে সঠিক তথ্য জানতে চান তাহলে ৩৩ শতাংশে এক বিঘা জমি হয়ে থাকে। জমির পরিমাপ থেকে শুরু করে রেজিস্ট্রেশনের সময়ে এখানে শতাংশের হিসাব দিয়ে উল্লেখ করা হয়ে থাকে এবং আপনাদেরকে শতাংশ থেকে কাটার হিসাব বের করে নেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম অনুসরণ করতে হবে। ধন্যবাদ।