স্তন্যপায়ী প্রাণীরা সাধারণত যৌন জনন পদ্ধতিতে বাচ্চা জন্ম দিয়ে থাকে। তাই মানুষ সহজে সকল স্তন্যপায়ী প্রাণী রয়েছে তাদের বাচ্চা জন্ম দেওয়ার পদ্ধতি মোটামুটি ভাবে একই রকমের হয়। এছাড়া স্তন্যপায়ী প্রাণী ছাড়া সরীসৃপ প্রাণী আছে পাখি আছে এ সকল প্রাণীদের বাচ্চা জন্ম দেওয়ার পদ্ধতি আবার অন্য রকমের। তাই সাধারণত বাচ্চার জন্মের কথা যেহেতু উঠে আসে সে ক্ষেত্রে আমরা মনে করতে পারি যে মানব সন্তান কিভাবে হতে পারে। বাচ্চা জন্ম দিতে হলে আমাদের অবশ্যই নারী এবং পুরুষ উভয়ের সম্মতির মাধ্যমে বাচ্চা জন্ম হতে পারে। আচ্ছা এবং নারীর মিলনের ফলে নারীর ডিম্বানু
এবং পুরুষের শুক্রাণু নারীর গর্ভে নিষিক্ত হয়। অর্থাৎ একটি সময় থাকে মেয়েদের যখন রজচক্র অনুষ্ঠিত হয় তার পরবর্তী সময়ে মেয়েদের ডিম্বানাগুলো জরায়ুর মধ্যে চলে আসে। তখন যদি নারী এবং পুরুষ সঙ্গম করে থাকে তাহলে ডিম্বানু এবং শুক্রাণু মিলিত হতে পারে। ডিম্বাণু এবং শুক্রানু মিলিত অর্থাৎ নিষিক্তকরণ এর মাধ্যমে মানব ভ্রম এর সৃষ্টি হয়ে থাকে। তারপর এই মানব ভ্রম নারী দেহে মোটামুটি ভাবে নয় মাস যাকে সপ্তাহের বিচার করলে হবে ৩৩ থেকে ৩৪ সপ্তাহ।
মেয়েদের গর্ভে ৩৩ থেকে ৩৪ সপ্তাহ যদি থাকে তাহলে একটি মানব শিশু পরিপূর্ণভাবে পুষ্ট হয়ে সে ভূমিষ্ঠ হতে পারে। তারপর পূর্বে থেকে লক্ষণ প্রকাশ পায় যে শিশুর জন্মের সময় হয়েছে কিনা। একটি বাচ্চা মাতৃগর্ভে দশ মাস দশ দিন থাকে কিন্তু পরবর্তীতে বৈজ্ঞানিকভাবে এটি দেখা যায় যে আসলে দশ মাস দশ দিন নয় মোটামুটি ভাবে ২০ ০৭০ থেকে ৭৫ দিনের মধ্যে মানুষ শিশু ভূমিষ্ঠ হতে পারে। কখনো কখনো এই শিশু মায়ের গর্ভে যদি জটিলতা থাকে তার কিছুদিন পূর্বেও তাকে
শিকারিয়ান অপারেশন এর মাধ্যমে মায়ের গর্ভ থেকে বাহির করে সেটি ইনকিউবেটরে রাখা যেতে পারে। সেখানে মায়ের গর্ভে যে তাপমাত্রা থাকতো সেই তাপমাত্রা ইনকিউবেটরের মাধ্যমে শিশুকে বড় করে তোলা যায়। তাই একটি শিশুকে জন্ম দেওয়ার জন্য অনেক ধরনের চিন্তাভাবনা এবং মানসিকভাবে প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হয় দম্পতিদের কে। অনাকাঙ্ক্ষিত বাচ্চা কখনোই মা-বাবার কাছে ভালো হয় না। তাই অবশ্যই পরিকল্পিতভাবে মা এবং বাবাকে চিন্তা ভাবনা করে শিশুকে পৃথিবীতে আনতে হয়।
যদিও সম্পূর্ণ সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছায় সন্তান হয়ে থাকে তারপরেও এখানে মা-বাবার অনেকখানি দায়িত্ব-কর্তব্য রয়েছে। একটা সন্তান পৃথিবীতে আনার জন্য মা এবং বাবা উভয়কেই প্রচুর পরিমাণে মানসিক এবং শারীরিক পরিশ্রম করে পৃথিবীতে নিয়ে আসতে হয় এবং তাকে বড় করে লালন পালন করতে হয়। তাই একটি বাচ্চা যত সহজে হয়তো জন্ম দেওয়ার কথা আমরা বলে থাকি কিন্তু আসলে অতটা সহজ একটা বাচ্চা জন্ম দেওয়া সম্ভব নয়।
এখানে যদিও মাকে অনেক বেশি কষ্ট করতে হয় তার ফটো বাবাকে একেবারে কষ্ট করতে হয় না তা কিন্তু নয়। সব সময় বাবাকে সন্তানের মায়ের সাথে মানসিকভাবে সম্পর্ক স্থাপন করতে হয় এবং সাপোর্ট দিতে হয়। তবে একজন সুস্থ বাচ্চা পৃথিবীতে আসতে পারে বলে মনে করা হয়। তাই এসব কথা বিবেচনা করে দেখলে আপনারা বুঝতে পারবেন যে একটি বাচ্চাকে জন্ম দেওয়া বা পৃথিবীতে নিয়ে আসার ক্ষেত্রে বাবা এবং মা উপায়ে সমানভাবে দায়ী এবং সমানভাবে পরিশ্রম করতে থাকে।
মার শারীরিকভাবে প্রচুর পরিমাণে পরিশ্রম করে এবং বাবা অবশ্যই মানসিকভাবে এবং বিভিন্ন ধরনের অর্থ উপার্জন এবং মাকে সাপোর্ট দেওয়ার মাধ্যমে তিনিও পরিশ্রম কম করেন না। তাই আপনারা মোটামুটি সবাই বুঝে নিতে পারলেন জেনে নিতে পারলেন যে একটি বাচ্চা কিভাবে জন্ম দেওয়া সম্ভব বা জন্ম দেওয়া যেতে পারে এই বিষয়ে সম্পর্কে। তাই আপনারা যে কোন জিনিস জানার জন্য যে কোন তথ্য পাওয়ার জন্য আমাদের ওয়েবসাইট পার্মান ভিজিট করতে পারেন। কারণ আমরা সব সময় সব ধরনের তথ্য সবার আগে আপনাদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করি।