ইসলাম ধর্ম আমাদের বিরাট ধর্ম। এই ইসলাম ধর্মের স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ককে পবিত্র সম্পর্ক বলা হয়েছে। স্বামী যদি তার স্ত্রীর সেবা করে তাহলে সেটা সুন্নত। এবং একজন স্ত্রী যদি তার স্বামীর সেবা করে তাহলে সেই স্ত্রী জান্নাতবাসি হবে। এজন্য স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক এক অদ্ভুত মধুর সম্পর্ক। আজকে আমরা আমাদের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক এবং তাদের শারীরিক মিল বন্ধনের কথা আপনাদের সাথে আলোচনা করব। বিবাহের পর একজন নারী এবং পুরুষ প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে একে অপরের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। একজন নারী এবং পুরুষ মানসিকভাবে একে অপরের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ে। এবং একে অপরের প্রতি ভালোবাসার টানে তারা শারীরিক বন্ধনে আবদ্ধ হয়।
ইসলাম ধর্মে বলা হয়েছে বৈধ শারীরিক সম্পর্ক হল পবিত্র একটি সম্পর্ক। শারীরিক মিলনের ফলে একজন স্ত্রী মা হওয়ার সৌভাগ্য প্রাপ্তি করে। পবিত্র এই বৈধ সম্পর্কের মাধ্যমে জন্মগ্রহণ করবে একটি মানব শিশু। তাই এই সম্পর্ক একটি স্বাভাবিক জগতের নিয়ম। সকল ধর্মেই এই স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ককে বলা হয়েছে পবিত্র সম্পর্ক। ধর্মের অনুশাসন অনুযায়ী পৃথিবীর সকল মানুষের বিবাহের পর শারীরিক বন্ধনে আবদ্ধ হয়।
ইসলাম ধর্মে কিছু নিয়ম কানুন রয়েছে এবং রয়েছে কিছু দোয়া। আমরা যখনই জীবনে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করব ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী আল্লাহকে স্মরণ করতে হবে। এজন্য একটা নবদম্পতি স্বামী-স্ত্রী যখন শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করবে তখন অবশ্যই আল্লাহকে স্মরণ করে দোয়া মোনাজাত করে তাদের দাম্পত্য জীবন শুরু করবেন। এতে আল্লাহর বরকত রাখতে হয় এবং জীবন হয় সুন্দর এবং মধুর।
ইসলাম ধর্মে কিছু নিয়ম রয়েছে সহবাসে। আমাদের অনেক ইসলামী ভাই-বোনরা এসব গোপনীয় কিছু তথ্য জানতে চাই। মূলত তাদের জন্য আমরা সহজ ভাষায় এই টপিক নিয়ে আপনাদের সামনে আলোচনা করতে এসেছি। ইসলামিক মেন্টালিটির ভাইবোনরা যারা নিজের ধর্মকে খুবই সম্মান করে তাদের জন্যই আমাদের এই পোস্ট তৈরি করা হয়েছে। আজকে এ আর্টিকেল কি সম্পূর্ণ ইসলাম ভাইবোনদের জন্য তৈরি। সকল ইসলামিক নবদম্পতির জন্য রইল অনেক শুভকামনা। নবদম্পতি দের প্রথম সহবাসের জন্য ইসলামিক যে সকল নিয়ম কানুন মানা প্রয়োজন সেগুলোই আজকে আপনারা জানতে পারবেন । তাহলে চলুন আজকে আমাদের বিস্তারিত আলোচনার দিকে যাওয়া যাক।
ইসলামে সহবাসের সময় স্বামী-স্ত্রী একে অপরকে আদর করার কথা বলা হয়েছে। হাদিসে এই আদর সোহাগের ব্যাপারে উৎসাহিত করা হয়েছে। যৌন মিলনকে মধুর করতে যত উপায় আছে যেকোনভাবে তা করা যাবে। স্বামী চুম্বন, আলিঙ্গন, মর্দন ইত্যাদির মাধ্যমে স্ত্রীকে আদর করবে। তেমনি স্ত্রীও স্বামীকে আদর-সোহাগ করবে। এক্ষেত্রে উভয়ের Response বা সাড়া দেওয়া খুবই জরুরী। একে অপরকে মিলনের জন্য আগ্রহী করে তুলবে
ইসলামে, স্বামী তার স্ত্রীকে পূর্ণ পরিতৃপ্ত করে সহবাস করবে, যতক্ষণ না পর্যন্ত স্বামী দৈহিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় কিংবা জীবিকা উপার্জনের কাজে সময় দেয়া থেকে বঞ্চিত না হয়। স্বামী তার স্ত্রীর সঙ্গে সহমর্মী ও যৌক্তিক সৌজন্যতার সঙ্গে আচরণ করতে বাধ্য থাকবে। এই যৌক্তিক ও সৌজন্যমূলক আচরণের মধ্যে একটি অবশ্য করনীয় অংশ হল সহবাস
সহবাসের স্বাভাবিক পন্থা হলো এই যে, স্বামী উপরে থাকবে আর স্ত্রী নিচে থাকবে। প্রত্যেক প্রাণীর ক্ষেত্রেও এই স্বাভাবিক পন্থা পরিলক্ষতি হয়। এ দিকেই অত্যন্ত সুক্ষভাবে ইঙ্গিত করা হয়েছে পবিত্র কুরআনে। আয়াতের অর্থ হলোঃ ‘যখন স্বামী-স্ত্রীকে ঢেকে ফেললো তখন স্ত্রীর ক্ষীণ গর্ভ সঞ্চার হয়ে গেলো।
সহবাস স্বামী স্ত্রীর দাম্পত্য জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ন অংশ। একজন স্বামী-স্ত্রী যৌন মিলনের ফলে চরম সুখ অনুভব করে যা অন্য কোন ভাবে সম্ভব না। কিন্তু সমাজে দেখা যায় নারী পুরুষ উভয়ই ইসলামিক কোন নিয়ম ছাড়াই সহবাসে লিপ্ত হয়ে যায় এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায় নারীর সহবাসের ইচ্ছা কমে যাচ্ছে আবার অনেক ক্ষেত্রে পুরুষের ইচ্ছা বা আগ্রহ কমে যাচ্ছে। এই সকল সমস্যার অন্যতম কারন হচ্ছে সহবাসের পূর্ব প্রস্তুতি।আশা করি আমাদের এই আলোচনা আপনাদের যথেষ্ট তথ্য প্রদান করতে সক্ষম। এরকম সেনসিটিভ টপিক গুলো সম্পর্কে ইসলামিক দৃষ্টিভঙ্গিতে যে কোন তথ্য যদি পেতে চান তাহলে অবশ্যই আমাদের আর্টিকেলটি ফলো করবেন।