আর্সেনিকযুক্ত পানি চেনার উপায় সম্পর্কে জানতে যারা এখানে ভিজিট করেছেন তাদের জন্য এখানে তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করব। আমাদের দেশে যে স্তর থেকে পানি ওঠে সেখান থেকে পানি ওঠার ফলে অনেক কলে আর্সেনিক দেখা যায়। তাই আর্সেনিকযুক্ত যখন পানি চিনতে পারবেন তখন সেটা ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে পারবেন এবং শরীরে চর্মরোগ থেকে শুরু করে অন্যান্য বিভিন্ন রোগ থেকে নিজেদেরকে প্রতিরোধ করতে পারবেন। এর আগে আর্সেনিক সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে ক্যাম্পেইন চালানো হয়ে থাকলেও বর্তমান সময়ে এটা কমে গিয়েছে এবং মানুষ অনেক স্বাস্থ্য সচেতন হয়ে গিয়েছে।
এর আগে আর্সেনিকের প্রকোপ অনেক বেশি থাকার কারণে বিভিন্ন জায়গায় ক্যাম্পেইন চালানোর মাধ্যমে আর্সেনিকযুক্ত টিউবয়েল সনাক্তকরণ করার ভিত্তিতে সেখানে বিভিন্ন ধরনের চিহ্ন ব্যবহার করে আমাদেরকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাই আমরা যখন কোন কলে আওয়ার্সেনিক রয়েছে কিনা তা জানতে চাইবো তখন অবশ্যই নির্দিষ্ট কিছু চিহ্নের মাধ্যমে এগুলো বুঝতে পারি। জার্মানির মিউনিখ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এ ধরনের জরিপ চালানোর মধ্য দিয়ে জানতে পারা গিয়েছে যে বাংলাদেশের বেশ কিছু টিউবয়েলে আর্সেনিক রয়েছে।
তাই আর্সেনিক আছে এমনটা জেনেও যদি সেই পানি আপনারা দিনের পর দিন পান করে থাকেন তাহলে শরীরে ফোসকা দাগ পড়া থেকে শুরু করে অন্যান্য আরো সংক্রমণ দেখা দিবে। তাই আর্সেনিক সংক্রান্ত বিষয়গুলো আপনাদের সামনে উপস্থাপন করা হচ্ছে অথবা আর্সেনিকযুক্ত টিউবওয়েল চেনার সহজ উপায় সম্পর্কে জানিয়ে দেয়া হচ্ছে বলে আপনারা এগুলো জেনে নিতে পারবেন। তবে কেউ যদি মনে করে থাকেন এটা নিজেরা পরীক্ষা করে দেখবেন আর্সেনিক রয়েছে কিনা তাহলে আমাদের সাধারনের জন্য এটা পরীক্ষা করার কোন সুযোগ নেই।
তবে উপজেলা ভিত্তিক যে কার্যক্রম রয়েছে অথবা যে প্রকল্প সুচি রয়েছে তাদেরকে যদি আমরা এ সংক্রান্ত তথ্য জানাই তাহলে তারা নিজ দায়িত্বে আর্সেনিক হয়েছে কিনা তা চেক করে দিয়ে যেতে পারবে। আর যদি আর্সেনিক থাকে তাহলে সেই টিউবওয়েলে লাল চিহ্ন প্রদান করবে এবং টিউবয়েলের মুখ লাল রং দিয়ে দাগ করে দিয়ে যাবে। আর যদি আর্সেনিক না থাকে তাহলে সবুজ দাগ দিয়ে রং করে দেওয়া হবে। তাই এখানকার আলোচনার ভিত্তিতে আমরা এটা বুঝতে পারলাম যে আর্সেনিক সংক্রান্ত বিষয়গুলো আমাদেরকে অবশ্যই গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে।
আর্সেনিক আছে জেনেও যদি আমরা সেই পানি দিনের পর দিন পান করি তাহলে আমাদের শরীরের জন্য তো অনেক ক্ষতি করা হবে। তাই আর্সেনিক সনাক্ত করা যাবে এমন নির্দেশক যদি আপনারা জেনে নিতে পারেন তাহলে খুব সহজেই টিউবয়েলের মাথার রঙ দেখে নিয়ে বুঝতে পারবেন সেখানে আর্সেনিক হয়েছে কিনা। আর আর্সেনিক থেকে থাকলে অবশ্যই সেটার পানি পান করা থেকে আমাদেরকে বিরত থাকতে হবে। আর এভাবে যদি আমরা দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন বিষয়ে স্বাস্থ্য সচেতন হয়ে উঠতে পারি তাহলে সেটা আমাদের জন্য খুব ভালো হবে।
আর্সেনিক যুক্ত পানি চেনার ক্ষেত্রে সবুজ রং এবং লাল রঙ ব্যবহার করা হয়ে থাকে এই কারণে যে সবুজ রঙের মাধ্যমে পজিটিভ সাইন প্রদান করা হয়। আর লাল রং ব্যবহার করার মধ্য দিয়ে সেটাতে নেগেটিভ সাইন প্রদান করা হয় এবং সেটা ব্যবহার করতে সর্বসাধারণকে নিষেধ প্রদান করা হয়। তাই যেকোনো জায়গায় সবুজ চিহ্ন যদি আমরা দেখি তাহলে সেটা ব্যবহার করা যাবে অথবা ছোঁয়া যাবে। কিন্তু লাল চিহ্ন দেখলে সেটা আমাদের জন্য নিষিদ্ধ অথবা বিরত থাকতে বলা হয়েছে বলে সেই তথ্য আমরা বুঝতে পারি।
তাই উপরের আলোচনার ভিত্তিতে আর্সেনিকযুক্ত পানি চেনার সহজ নিয়ম জানতে পারলেন বলে এটা আপনাদের জন্য অনেক ভালো হয়েছে। এছাড়া যদি আপনারা অন্যান্য কোন তথ্য জানতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটের কমেন্ট বক্সে লিখে জানলে অবশ্যই আমরা সেই তথ্য প্রদান করার চেষ্টা করব। স্বাস্থ্য সচেতনামূলক বিভিন্ন ধরনের তথ্য নির্ভর পোস্ট আমাদের ওয়েবসাইটে প্রদান করা আছে বলে সেগুলো আপনারা দেখে নিতে পারেন।