বর্তমানে প্রায় মানুষের একটি শারীরিক সমস্যা হল মেদ বিশেষ করে পেটের বেড়ে যাওয়া। কারণ হলো মানুষের শারীরিক পরিশ্রমের বিষয়টি এখন অনেক আংশিক কমে গেছে। কোথাও আর শারীরিক পরিশ্রম নেই সকল ক্ষেত্রেই প্রযুক্তির উন্নয়নের ক্ষেত্রে যন্ত্রের কাজ করে দিচ্ছে। যন্ত্রের মাধ্যমে সকল কাজ করার কারণে আমাদেরকে আর শারীরিকভাবে
পরিশ্রম করতে হয় না। এই শারীরিকভাবে পরিশ্রম না করার কারণেই প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে যে আমাদের শরীর স্হূলকায় হয়ে যাচ্ছে। প্রায় মানুষের ক্ষেত্রে দেখা যায় যে পেটের মেদ বেরিয়েছে। ছোট থেকে বড় সকল মানুষের ক্ষেত্রে এই বিষয়টি আমরা দেখতে পাই। অনেকের জন্যই এই বিষয়টি অনেক কষ্টদায়ক বলেও মনে করা হয়।
কারণ হলো পেটের মেদ বেড়ে যাওয়া মানে বিভিন্ন ধরনের রোগ শরীরে বাসা বাঁধতে সাহায্য করা। এ কারণে চিকিৎসকরা সবসময় বলে থাকেন যে নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম করতে হবে। এবং যতোটুকুন সম্ভব পরিমিত আহার করতে হবে। কিন্তু আমরা যেহেতু অর্থনৈতিকভাবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সচ্ছল তাই পুরুষ মানুষের ক্ষেত্রে বাড়ির খাবার হয়েছে এর পরবর্তী সময়ে বাজারে যখন বিভিন্ন সময় আড্ডা দিতে চাই তখন অবশ্যই বিভিন্ন খাবার আমাদের খেতে হয় সামাজিকতা রক্ষা করার ক্ষেত্রেও। এসব বিষয়গুলির কারণে অধিকাংশ সময় দেখা যায় যে আমাদের পেটের মেদ বেড়ে গিয়েছে।
এই সমস্যাটা এখন অনেক মানুষের ক্ষেত্রেই ঘটেছে। এখন আজকে আমরা আপনাদেরকে অবশ্যই দেখাবো যে যদি আপনি কি কাজ করলে মোটামুটি ভাবে এক সপ্তাহের মধ্যে আপনার এই পেটের মেদ কমানো যেতে পারে। আপনারা যেহেতু এ বিষয়টি এখন আমাদের কাছে দেখতে এসেছেন বা জানতে এসেছেন আমরাও চেষ্টা করব আপনাদেরকে এক সপ্তাহে পেটের মেয়াদ কিভাবে কমানো যায় সেই পদ্ধতি আপনাদেরকে দেওয়া। পেটের মেদ কমানোর জন্য আমাদেরকে সবচাইতে জরুরী সেটি হল শারীরিকভাবে পরিশ্রম করা এবং ডায়েট কন্ট্রোল করা।
আপনি যদি কম বয়সী অর্থাৎ 40 বছরের নিচে কোন ব্যক্তি হয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে অবশ্যই ডায়েট কন্ট্রোল করতে হবে এবং যত পরিমান সম্ভব শর্করা খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। শর্করা খাবার খাওয়া পরিমাণ কমানো এবং শারীরিক পরিশ্রম বা শারীরিক ব্যায়াম যদি করতে পারেন তাহলে অবশ্যই পেটের এক সপ্তাহে কমানো সম্ভব। এক সপ্তাহে যদি মেদ কমাতেই হয় তাহলে অবশ্যই আমাদের শর্করা খাবার যতটুকুন পরিমাণ সম্ভব কমিয়ে ফেলা। তাহলে দেখবেন যে আপনার এক সপ্তাহের মধ্যেই পেটের মেদ কমে গিয়েছে।
শর্করা খাবারের মধ্যে অবশ্যই আপনি যদি মিষ্টি এবং ভাতের পরিমাণ হঠাৎ ভাত খাবার পরিমান কমিয়ে দিতে পারেন তাহলে অবশ্যই দেখবেন যে এক সপ্তাহের মধ্যে আপনি সুন্দর বডির অধিকারী হয়েছেন। এছাড়াও আপনি বাজারে বিভিন্ন ধরনের পেটের মেদ কমানোর ওষুধ পাওয়া যায় সেগুলি খেতে পারেন। তবে যে কোন ঔষধ খাবার পূর্বে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ আপনাকে নিতে হবে।
চিকিৎসার পরামর্শ ছাড়া কোন ঔষধ কখনোই গ্রহণ করা উচিত নয় বলেই মনে করি। তবে এ কথা সবাই জানে যে আপনারা যদি শারীরিক পরিশ্রম করেন শারীরিক পরিশ্রমের মধ্যে রয়েছে হাটা। নিয়মিত বেশি পরিমাণে হাঁটতে হবে শরীরের ক্যালরি ক্ষয় করতে হবে এবং যতদূর সম্ভব পারা যায় কম ক্যালোরি প্রবেশ করাতে হবে তাহলে খুব তাড়াতাড়ি আপনার শরীরের বাড়তি মেদ ঝরে যাবে এবং আপনি সুন্দর শরীরের অধিকারী হবেন বা সুস্থ শরীরের অধিকারী হবেন বলে বিশ্বাস করা যায়।
তাই আপনাকে সবসময় একটি কাজ করতে হবে সেটি হল খাবারের চাট তৈরি করে নেওয়া। এবং কোন কোন খাবার আপনার শরীরে মেদ জমাতে পারে সে বিষয়গুলি আপনাকে অবগত হওয়া। তাহলে দেখবেন যে এই খাবারগুলি অর্থাৎ তেল চর্বি জাতীয় খাবারগুলি যদি পরিহার করতে পারেন শর্করা খাবার যথেষ্ট পরিমাণ এ কমিয়ে দিতে পারেন এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সবজি খাওয়া বাড়িয়ে দিতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনার শরীরের অল্প দিনের মধ্যেই কমে যাবে।