রাস্তাঘাটে চলার পথে অনেক সময় আজান পড়ে গেলে আমরা অনেকেই চেষ্টা করি আযানের জবাব দিতে। আবার কেউ কেউ অন্য কাজের মাঝে ব্যস্ত থাকায় আযানের জবাব দিতে পারে না। আযানের সময় অন্য কোন কাজ না করে সঠিকভাবে আযানের জবাব দেওয়া উচিত। যদিও আমরা অনেকেই জানিনা কিভাবে আযানের জবাব দিতে হয়। আজকের লেখায় আমরা আপনাদের সাথে আলোচনা করব কিভাবে আযানের জবাব দিতে হয়।
আযানের জবাব দেওয়ার সময় কি কথা বলতে হয় তা যারা জানেন না তারা আমাদের আজকের মাধ্যমে জেনে নিতে পারবেন। এছাড়াও আজ আমরা তুলে ধরব আযানের জবাব দেওয়ার গুরুত্ব কতটুকু। আশা করি শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথে থেকে আযানের জবাব দেওয়ার গুরুত্ব এবং কিভাবে আযানের জবাব দিতে হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নিবেন।
লক্ষ্য করলে দেখে থাকবেন আমাদের গুরুজনরা আযানের সময় শান্ত থাকার চেষ্টা করে। কোথাও খুব বেশি চেঁচামেচি হলে চা থামানোর চেষ্টা করা হয় আযান শুরু হলে। বেশিরভাগ সময়ই আমরা দেখে থাকি কোথাও গান বাজনা চললে তা বন্ধ করে দেওয়া হয় শুধুমাত্র আযানের জন্য। আজান শুরু হলে আমাদের সকলের উচিত মনোযোগ দিয়ে আজান শোনা এবং তার জবাব দেওয়া। এজন্য আযানের সঠিক জবাব শিখে রাখা উচিত।
আযানের মাধ্যমে একজন মুসল্লিকে মসজিদে নামাজ পড়ার জন্য আহবান করা হয়। মসজিদে নামাজ পড়তে যাওয়ার আগে আপনি যে স্থানে বসে আযান শুনছেন সেখানে বসেই আযানের জবাব দিতে হবে। আরবিতে জবাব দিতে না পারলেও বাংলাতেই আযানের জবাব দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। আপনারা যারা এখনো সঠিকভাবে আযানের জবাব দিতে পারেন না তারা কি উপায়ে আযানের জবাব দেওয়া শিখে নিতে পারবেন সে বিষয় নিয়েই কথা বলব এই লেখার বাকি অংশে।
আমরা যে কোন কাজে ব্যস্ত থাকলেও আযান শুরু হলে মসজিদে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকি। প্রস্তুতি নেওয়া অবস্থাতেই আযানের জবাব দিতে হবে। মুসলমান হিসাবে জামায়াতের সাথে নামাজ পড়া আমাদের কর্তব্যের মধ্যেই পড়ে কেননা জামায়াতের সাথে নামাজ পড়লে আমরা প্রতিদিন অসংখ্য মুসল্লির সাথে দেখা করতে পারি তাদের সাথে কুশল
বিনিময় করতে পারি। আমাদের আশেপাশের মানুষগুলোর বর্তমান অবস্থা সম্বন্ধে জানার জন্য হলেও জামায়াতের সহিত নামাজ পড়ার চেষ্টা করা উচিৎ। আপনারা নিশ্চয় জেনে থাকবেন জামায়াতের শহীদ নামাজ পড়লে বেশ কয়েক গুণ বেশি সওয়াব পাওয়া সম্ভব। আরো বেশি সওয়াব পাওয়া যাবে যদি আমরা আযানের সময় কোন ধরনের উচ্ছৃংখল আচরণ না করে শান্তভাবে বসে জবাব দিতে পারি।
আমরা সাধারণত এমন বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করে থাকি যা থেকে তথ্য সংগ্রহের পর আপনারা টা নিজের জীবনে ব্যবহার করতে পারবেন। আপনারা যদি আযানের সঠিক জবাব সংগ্রহ করে নিতে চান তাহলে এমন সব প্লাটফর্মে সাহায্য নিতে পারেন যেখানে নিয়মিত ইসলামিক পোস্ট করা হয়। ফেসবুকে এমন কিছু পেজ ও গ্রুপ রয়েছে যেখানে নিয়মিত ইসলামিক স্ট্যাটাস দেওয়া হয়। আপনারা চাইলে এই ধরনের কোন ইসলামিক পেজ অথবা প্রোফাইলের সাথে সংযুক্ত হতে পারেন এবং নিজের প্রয়োজনীয় তথ্য জেনে নিতে পারেন।
আমরা চাইলে ইউটিউবে এমন কিছু ইফেক্টিভ ভিডিও দেখে নিতে পারি যেখানে আজান সম্বন্ধে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে। আযানের জবাব জানার পাশাপাশি সঠিকভাবে আজান দেওয়া জেনে রাখা খুবই জরুরী। আযান দেওয়ার সময় যেন কোন ধরনের ভুল ভ্রান্তি না হয় তাই প্রথমে খুব ভালোভাবে আজান শুনতে হবে এবং নিয়মিত অনুশীলন করতে হবে।
তাই দেরি না করে এখনই আযানের জবাব খোজা শুরু করুন এবং তা পড়ে আয়ত্ত করে ফেলুন। আশা করি এই পদ্ধতিতে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই আযানের জবাব খুজে পাবেন এবং সঠিকভাবে পড়তে পারবেন। এ বিষয়ে যদি আরো কোন প্রশ্ন থাকে তবে নিশ্চয়ই কমেন্টের মাধ্যমে আমাদের জানাবেন।