বর্তমান সময়ে মানুষের অসচেতনতা এবং খাদ্যাভ্যাসের কারণে বিভিন্ন ধরনের অসুখের সৃষ্টি হচ্ছে। আর যখন প্রাণঘাতী ক্যান্সার আমাদের শরীরে বাসা বাঁধে তখন আমাদের অসুবিধার শেষ থাকেনা এবং একজন রোগী দিনে দিনে শেষের পথে চলে যাই। তাই কারো যদি ক্যান্সার হয় তার জন্য সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং ক্যান্সারের মাত্রা যদি পার হয়ে যায় তাহলে প্রয়োজন অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। তবে এই পোষ্টের মাধ্যমে যারা করুন ক্যান্সার থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে জানতে এসেছেন তাদের উদ্দেশ্যে আমরা বেশ কিছু পদ্ধতি শিখিয়ে দেবো যেটার মাধ্যমে আপনার করুন ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না।
বর্তমান সময়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির যুগে আমরা যেমন প্রত্যেকটি তথ্য সঠিকভাবে জানতে পারি তেমনি ভাবে বেশ কিছু নিয়ম অনুসরণ করার মধ্য দিয়ে দৈনন্দিন জীবনের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারি। বর্তমান সময়ে মানুষের যে খাদ্যাভ্যাস তাতে করে দেখা যাচ্ছে যে বেশি পরিমাণে সরকারে জাতীয় খাবার গ্রহণের ফলে এবং বেশি পরিমাণে ভোজ্য তেল জাতীয় খাবার খাবার ফলে বিভিন্ন অসুখের মধ্য দিয়ে পতিত হচ্ছে। সঠিকভাবে আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে এবং পরিমিত পুষ্টিকর এবং সুষম খাদ্য গ্রহণ করার পাশাপাশি আমাদেরকে ব্যায়াম করতে হবে।
খুব দুঃখজনক হলেও এটাই সত্য যে আমরা এ সকল কিছুই করতে চাই না এবং সব সময় অধিক পরিমাণে খাবার গ্রহণ করে বেশি বেশি ঘুমানোর চেষ্টা করি অথবা শুয়ে থাকার চেষ্টা করি। আপনার খাদ্যাভ্যাস এবং অলসতা এবং অন্যান্য জীবন আচরণ আস্তে আস্তে আপনাকে খারাপের দিকে নিয়ে যাবে যে আপনি পরবর্তীতে বুঝতে পারবেন। আপনি এখনো যদি সুস্থ থাকেন এবং এখনো যদি তরুণ থাকেন তারপরও নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে এবং সুষম খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। তাছাড়া যে সকল খাবার খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় সেগুলো খেতে হবে।
তাই কারো যদি কোলন ক্যান্সার হয়ে থাকে তাহলে সেই ক্যান্সার থেকে বাঁচার জন্য অথবা ক্যান্সার পূর্ববর্তী অনুসরণ করার জন্য নির্দিষ্টভাবে শাকসবজি এবং সুষম খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। যাদের ধূমপান এবং অ্যালকোহল গ্রহণের অভ্যাস রয়েছে তাদেরকে পুরোপুরিভাবে বাদ দিতে হবে। শুধু ওষুধ দিয়ে অসুখ সারানো যাবে না যতক্ষণ না আপনি বাজে অভ্যাস ছাড়ছেন। এছাড়াও শস্য জাতীয় খাবার এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার প্রতিনিয়ত খেতে হবে এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে এমন সকল খাবার বেছে নিতে হবে।
কোলন ক্যান্সার রোগীর খাবার
যাদের কোলন ক্যান্সার হয়েছে তারাই বেশ কিছু খাবার নিয়মিতভাবে খেতে পারেন। ক্যান্সার রোগীর খাবার হিসেবে জিরা খাওয়া যেতে পারে এবং পেয়ারা খাবার হিসেবে খাওয়া যেতে পারে। ভিটামিন সি রয়েছে এমন সকল খাবার গ্রহণ করতে কোন ধরনের সমস্যা নেই এবং এ ধরনের খাবার গ্রহণের ফলে শরীরের থেকে ক্যান্সার আস্তে আস্তে নির্মূল হতে শুরু করবে। তাছাড়া অন্যান্য খাবার কমিয়ে দিয়ে প্রচুর পরিমাণে সবুজ শাকসবজি খেতে হবে। এছাড়া করুন ক্যান্সার থেকে বাঁচার জন্য কলা, ঢেঁড়স, মাছ, দই এ জাতীয় খাবার খেতে হবে।
কোলন ক্যান্সার বোঝার উপায়
সাধারণত কোলন ক্যান্সারের উপসর্গ একজন ব্যক্তির মলদ্বারের মধ্য দিয়ে প্রকাশিত হয়। খাবারের পাশাপাশি যদি একজন ব্যক্তির বাথরুম ত্যাগ করার ক্ষেত্রে প্যাটার্ন পরিবর্তন হয় এবং মলদ্বারের সঙ্গে যদি রক্তপাত হতে থাকে তাহলে এটা নিয়ে অনেকেই হয়তো পাইলস অথবা বুটিকের প্রবলেম বলে ডাক্তারের কাছে যেতে পারেন। আর ডাক্তার এক্ষেত্রে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার মাধ্যমে আপনাকে সঠিক ভাবে জানিয়ে দেবে যে এটা করুন ক্যান্সার হয়েছে কিনা।
কোলন ক্যান্সার কি ভালো হয়
যদিও কোলন ক্যান্সার হয়ে থাকলে মানুষজনের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে তারপরও অন্যান্য ক্যান্সারের চাইতে এটা কিছুটা বাঁচার আশা প্রদান করে। কোলন ক্যান্সার পরবর্তী সময় যদি একটা রোগীর সঠিক জীবন ব্যবস্থা অনুসরণ করতে পারে এবং ঠিকঠাক মতো প্রত্যেকটি প্রাকৃতিক খাবার গ্রহণ করতে পারে তাহলে নিশ্চিতভাবে তার শারীরিক অবস্থা উন্নতি হবে এবং অনেকদিন বেঁচে থাকার সম্ভাবনা থাকবে। যদিও কোলেন ক্যান্সার হয়ে থাকলে মানুষজনকে অপারেশন করতে হবে এবং অপারেশন ব্যতীত এটা পুরোপুরিভাবে নির্মূল করা সম্ভব নয় তারপরও উপরের উল্লেখিত খাবার দাবার গ্রহণ করার মাধ্যমে একজন মানুষ সুস্থতা অবলম্বন করতে পারে।