যদি আপনাদেরকে কোথাও ইমেইল করতে বলা হয় এবং আপনারা যদি ইমেইল করার মাধ্যমে কোন চিঠি অথবা পত্র পাঠাতে চান তাহলে সঠিক নিয়ম অনুসরণ করতে হবে। তবে আমরা অনেকেই ইমেইল এড্রেস কিভাবে লিখতে হয় তা জানিনা বলে আপনাদের কাছে হয়তো এটা অনেক সময় কঠিন কিছু বলে মনে হয়। তাই ইমেইল এড্রেস লিখার ক্ষেত্রে অথবা ইমেইল এড্রেস তৈরি করার ক্ষেত্রে কিভাবে লিখলে একটি আকর্ষণীয় ইমেইল আইডি তৈরি করা যাবে সে প্রসঙ্গে আজকে আলোচনা করব।
ইন্টারনেট যুগ আসার সাথে সাথে সর্ব প্রথমে এত যোগাযোগের মাধ্যম ছিল না। পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে কোন ধরনের তথ্য পাঠানোর ক্ষেত্রে যখন ইমেইল সর্বপ্রথম ব্যবহার করা হতো তখন এটার গ্রহণযোগ্যতা অনেক বেশি ছিল। কোন প্রার্থী যদি চাকরির আবেদন করতে তাহলে তার ইমেইল একাউন্ট রয়েছে কিনা তার উপরে তাকে অনেক সময় অগ্রাধিকার দেওয়া হতো। তাই অতীত থেকে শুরু করে বর্তমান সময় পর্যন্ত ইমেইলের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে যা আমরা এখন পর্যন্ত মেনে চলি।
কোন প্রতিষ্ঠান থেকে যদি কোন প্রার্থীদের অথবা কোন ব্যক্তিদের এসএমএস পাঠানো হয় তাহলে সিম নাম্বার থাকলে সেটার মাধ্যমে যেমন পাঠানো হয়ে থাকে তেমনি ভাবে অনেক সময় ইমেইলের মাধ্যমে প্রত্যেকটি তথ্য আপডেট করা হয়। বিশেষ করে আপনি যখন আধা সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে চাকরির আবেদন করবেন তখন আপনাকে ইমেইল এড্রেস প্রদান করতে হবে যাতে করে আপনারা সেই প্রতিষ্ঠানের কোন আপডেট জানতে পারেন।
ইমেইল এড্রেস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা এড্রেস হওয়ার কারণে এটা পৃথিবীর সকল জায়গাতে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। অর্থাৎ আপনি কোন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যখন যোগাযোগ স্থাপন করতে চাইবেন অথবা কোন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যখন কাজ করতে চাইবেন তখন আপনার মোবাইল নাম্বার প্রদান করার পাশাপাশি জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বার এবং ইমেইল এড্রেস প্রদান করা লাগে। তবে সে সকল প্রসঙ্গে আলোচনা না করে ইমেইল এড্রেস কিভাবে লিখতে হয় সেভাবে আমরা আপনাদের সামনে উপস্থাপন করার চেষ্টা করব।
আপনি যদি ইমেইল এড্রেস লিখতে চান তাহলে সর্ব প্রথমে আপনার নিজের নাম ব্যবহার করতে পারেন অথবা অন্য কোন নাম ব্যবহার করা যাবে। এক্ষেত্রে আপনি আপনার ইমেইল এড্রেস ব্যবহার করার ক্ষেত্রে নিজের নাম যদি অনেক বড় হয়ে থাকে তাহলে নামের আদ্যক্ষর ব্যবহার করেও এটা তৈরি করা যাবে। তাই ইমেইল এড্রেস যখন দেখবেন তখন অবশ্যই নিজেদের নাম সুন্দরভাবে ব্যবহার করে তারপরে একটা সংখ্যা অথবা দুইটি সংখ্যা ব্যবহার করতে পারেন। অধিকাংশ মানুষজন দুই থেকে তিনটি সংখ্যা লিখুন এবং এরপরে @ লিখে জিমেইল ডট কম লিখেন।
তাই আপনারা যখন ইমেইল এড্রেস লিখবেন তখন উপরের উল্লেখিত নিয়ম অনুযায়ী এভাবে লিখলে সবচাইতে ভালো কাজ করবেন। তবে এখানে যদি আপনি হাতে টাইপ করে কাউকে ইমেইল এড্রেস প্রদান করতে চান অথবা কারো সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করার জন্য ইমেইল এড্রেস প্রদান করতে চান তাহলে প্রথম অক্ষর বড় হাতের না দিয়ে ছোট হাতের দিতে হবে। অর্থাৎ ইমেইল এড্রেস লিখার ক্ষেত্রে অবশ্যই প্রত্যেকটি লেটার ছোট হাতের লিখতে হবে এবং এটাই হলো ইমেইল এড্রেস লেখার নিয়ম।
অনেক সময় ইংরেজি শব্দ লেখার ক্ষেত্রে আমরা বড় হাতের অক্ষর দিয়ে শুরু করে থাকলেও ইমেইল এড্রেস এর ক্ষেত্রে ছোট হাতের অক্ষর দিয়ে শুরু করতে হবে এবং প্রতিটা ক্ষেত্রে আপনারা ছোট হাতের অক্ষর ব্যবহার করবেন। তাই উপরের উল্লেখিত আলোচনার ভিত্তিতে ইমেইল এড্রেস কিভাবে লিখতে হয় অথবা কিভাবে ইমেইল এড্রেস ব্যবহার করতে হয় সেটা আশা করি বুঝতে পেরেছেন। দৈনন্দিন জীবনে সরকারি চাকরি থেকে শুরু করে প্রাতিষ্ঠানিক চাকরিতে আপনি অংশগ্রহণ করতে চাইলে সেখানে আপনাদের ইমেইল এড্রেস বাধ্যতামূলকভাবে চাওয়া হয়। তাই নিজের নামের সঙ্গে মিল রেখে এমন একটা ইমেইল এড্রেস তৈরি করুন যেটা আপনি সকল ধরনের কাজের ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারেন। ধন্যবাদ।