মানব জীবনে সর্দি কাশি একটি স্বাভাবিক রোগ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বিশেষ করে শিশুদের এবং বৃদ্ধদের এই রোগ বেশি হয়। অর্থাৎ যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে তাদের একটু অনিয়ম করলেই অর্থাৎ ঠান্ডা অথবা গরম বেশি লাগলে এই সর্দি কাশি জ্বর হতে পারে। তাই আমাদের দেশের যে রোগগুলি রয়েছে সেই রোগ গুলির মধ্যে সর্দি কাশিকে একটি স্বাভাবিক রোগ বলেই মনে করা হয়। কারণ যে কোন সময় যে কোন ব্যক্তির এই রোগটি হতে পারে। এবং এই সর্দি কাশি হলে মানুষের তেমন কোন সমস্যাও দেখা দেয় না।
তবে অনেক সময় কাশি অর্থাৎ খুশখুশে কাশি আমাদের বিরক্তিকর পরিবেশ তৈরি করে। অর্থাৎ খুসখুসে কাশি সব সময় কাশতে থাকলে দেখা যায় যে একেবারে বিরক্তিকর পরিবেশ তার নিজের জন্য এবং অন্য অর্থাৎ আশেপাশে যারা রয়েছে তাদের জন্য একটি বিরক্তি কর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। তাই আপনারা আজকে যারা এই বিরক্তিকর রোগটির ঔষধের কথা জানতে এসেছেন আপনারা অবশ্যই আমাদের এখান থেকে সেই রোগটির ঔষধ জেনে নিতে পারবেন। তার জন্য আপনাকে অবশ্যই প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে যেতে হবে আমাদের এই পোস্টটি।
সর্দি কাশি বা খসে কাশি কেন হয়
আমরা জানি বিশেষ করে ঠান্ডা লাগলে অর্থাৎ শরীরে ঠান্ডা লাগলে সর্দি কাশি বা খুসখুসে কাশি হতে পারে। যদি আমরা কখনো হঠাৎ বৃষ্টিতে ভিজে অথবা নতুন কোন জলে স্নান করে থাকি তাহলে দেখা যায় যে আচমকা ঠান্ডা লেগে গেছে এবং হাঁচি কাশি শুরু হয়ে গেছে। এছাড়াও দেখা যায় যে প্রচন্ড গরমে থাকার কারণে শরীর অতিরিক্ত ঘেমে গেছে এবং সেই ঘাম যদি আমাদের শরীরে বসে যায় বা শরীরের শুকিয়ে যায় তখনো সর্দি বা খুশখুসে কাশি হতে পারে।
তবে এছাড়া কারণ ছাড়াও দেখা যাচ্ছে যে অন্যান্য বিভিন্ন কারণেও এই খুসখুসে কাশি মানুষের হয়। এছাড়া বড় কোন রোগের প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে আমরা খুব খুশি কাশি মানুষের শরীরে হতে দেখি। তাই খুসখুসে কাশি যদি আপনার থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই অবহেলা না করে আপনাকে সেই কাশির মোকাবেলা করতে হবে। সাধারণত প্রত্যেকদিন সকালবেলা খালি পেটে যদি তুলসী পাতার রস মধু দিয়ে সেবন করতে
পারেন তাহলে কয়েকদিনের মধ্যেই আপনার এই খুসখুসে কাশি নির্মূল হতে পারে। এছাড়াও খুসখুসে কাশি হলে আপনাকে কিছুদিন আদা চা অর্থাৎ আধা দিয়ে লাল চা তৈরি করে খাবেন এতেও বেশ ভালো হতে পারে। আর ঠান্ডা জল না খেয়ে কুসুম গরম জল যদি পান করতে পারেন তাহলে আপনার এই খুশখুসে কাশি ওষুধ ছাড়াই নির্মূল হতে পারে। যদি এতেও ভালো না হয় তাহলে আপনাকে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ঔষধ সেবন করতে হবে।
বিরক্তিকর এই কাশির ঔষধ
বাজারে অনেক ধরনের কাশির ঔষধ বা সিরাপ পাওয়া যায়। কিন্তু আপনার এই কাশি কেন হয়েছে সে বিষয়টি অবশ্যই চিকিৎসক কে জানালে চিকিৎসক আপনাকে পূর্ণ বিধান দিতে পারে। তাই যে কোন চিকিৎসকের পরামর্শ অর্থাৎ রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ মত ঔষধ সেবন করায় আমাদের উচিত বলে মনে করি। তাই আপনারা যদি চিকিৎসকের পরামর্শ মত ঔষধ সেবন করতে না চান তাহলে আপনাকে প্রাথমিকভাবে এর আগেই বললাম যে প্রত্যেকদিন সকালে খালি পেটে দুই এক চামচ তুলসী পাতা রসের সহিত কিছুটা মধু মিশিয়ে খেয়ে নিন তাহলে দেখবেন যে প্রায় সাত দিনের মধ্যে আপনার
কাশি উপশম হয়েছে। আর যদি আপনি এভাবে কাশি সারাতে পারেন তাহলেই বেশি ভালো বলে মনে করা হয় কারণ এতে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। আর যদি তা না হয় তাহলে অবশ্যই আপনাকে নিকটস্থ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ গিয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ মত ঔষধ নিয়ে এসে সেবন করতে হবে। তাতেও ভালো না হলে সে কিছু আপনাকে অন্য ব্যবস্থাপত্র দিবেন। এ ধরনের যেকোন তথ্য পাওয়ার জন্য আপনারা অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের পাশে থাকবেন বলে আমরা মনে প্রাণে বিশ্বাস করি।