ইসলাম ধর্মের প্রধান ধর্মগ্রন্থ কোরআন শরীফ। তাই অধিকাংশ মুসলমানরাই কোরআন শরীফের বাণী এবং কোরআন শরীফ নিয়ে বিভিন্ন ধরনের পোস্ট আপডেট করে থাকে। আমরা আমাদের প্রধান ধর্মগ্রন্থ কোরআন শরীফ কে কতটা ভালোবাসি এবং কতটা শ্রদ্ধা করি সেটাই প্রদর্শন করার জন্য আমরা কোরআন শরীফের বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং কোরআন শরীফ সম্পর্কে বিভিন্ন স্ট্যাটাস উক্তি সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করে থাকি।
আই লাভ কোরআন শরীফ পিকচার। কোরআন শরীফের সুন্দর সুন্দর ছবিগুলো ডাউনলোড করতে চাইলে আপনারা আমাদের এই আর্টিকেলে পেয়ে যাবেন কোরআন শরীফ সম্পর্কে অনেক সুন্দর সুন্দর বাণী এবং কোরআন শরীফের সুন্দর সুন্দর পিকচার। এই পিকচার গুলো ডাউনলোড করে আপনারা মোবাইলে সেভ করে রেখে দিতে পারবেন অথবা পোস্ট শেয়ার করতে পারবেন।
আল্লাহ মুসলিম ধর্মের সর্বশ্রেষ্ঠ। সবার ওপরে তার স্থান। আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন মানবজাতিকে। আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন এই পুরো পৃথিবীকে। মুসলিম ধর্মের মানুষজন বিশ্বাস করেন যে, আল্লাহর মতেই এই পৃথিবী চলে। আল্লাহর ইচ্ছা ছাড়া কিছু হয় না। গাছের একটি পাতা ও তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে নড়ে না। আল্লাহ আমাদের মানুষ হিসেবে সৃষ্টি করেছেন। মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। তাই সেরা জীব হিসেবে আমাদের কিছু দায়িত্ব-কর্তব্য রয়েছে। আল্লাহর দেখানো পথে আমরা চলবো।
আল্লাহর কিছু নিয়ম কারণ এবং রীতি রয়েছে। তিনি বিধান দিয়ে গেছেন কিভাবে আমরা মানুষ জাতির পৃথিবীতে বসবাস করবো। আল্লাহ নিজে আমাদের তার তার বক্তব্য গুলি দিতে পারবেন না এইজন্য তিনি আমাদের জন্য কোরআন শরীফ রেখে গেছেন। কোরআন শরীফের মাধ্যমে তিনি পুরো মানুষ জাতিকে নিয়ন্ত্রণ করে। কোরআন শরীফে উল্লেখিত আল্লাহর বাণী গুলো আমরা অক্ষরে অক্ষরে পালন করব। আমরা আমাদের ধর্মগ্রন্থ কোরআন শরীফ কি সব সময় সম্মান করবো। কোরআন শরিফের স্থান সবসময় আমাদের বুকে।
পবিত্র কুরআন ইসলাম ধর্মের মূল ধর্মগ্রন্থ। এই ধর্মে বিশ্বাসীদের মুসলমান বা মুসলিম বলা হয় (তবে আল-কোরআনের বিধান মতে কেবল মাত্র এই ধর্মে বিশ্বাসী হলেই তাকে “মুসলিম” বলা যাবে না। দুনিয়ার যে কোন ধর্ম, বর্ণ, গোত্রের মানুষই হোক, যারা এই ধর্মে নিজেকে শতভাগ সমর্পন করতে পারবেন, কেবল তাদেরকেই বলা হবে “মুসলিম”। সূত্রঃ সূরা বাকারাহ; আয়াত ২০৮)। কোরআন আল্লাহর বাণী এবং এটি তার দ্বারা ফেরেসতা জীব্রাইল-এর মাধ্যমে মুহাম্মদ-এর নিকট প্রেরিত বলে মুসলমানরা বিশ্বাস করেন। তাদের বিশ্বাস অনুসারে মুহাম্মদ(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) শেষ নবী। হাদিসে প্রাপ্ত তাঁর নির্দেশিত কাজ ও শিক্ষার ভিত্তিতে কুরআনকে ব্যাখ্যা করা হয়। তবে, কোনো হাদিসের মর্মার্থ কুরআনের বিরুদ্ধে গেলে, তা বাতিল বলে গণ্য হয়।
মুসলমানরা বিশ্বাস করে যে ইসলাম হচ্ছে একটি পরিপূর্ণ ও সার্বজনীন ধর্ম, যা এর আগে অনেক নবী ও রাসুল-এর প্রতি নাযিল হয়েছিল। তারা আরও বিশ্বাস করে যে, কুরআন হচ্ছে আল্লাহ্র পক্ষ হতে প্রেরিত সর্বশেষ জীবন বিধান।
মুসলমানরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে মৃত্যুর পরে পুনরুত্থানের উপর। এই দিনটিকে হাশরের দিন বলা হয়। এই দিন প্রত্যেক মানুষের কাজের বিচার করা হবে এবং এর ভিত্তিতে বেহেশত বা দোযখে পাঠানো হবে।
মুসলমানরা বিশ্বাস করে ভাগ্যের ভাল-মন্দ সবকিছু আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্ধারিত।
কোরআন শরীফে উল্লেখিত আল্লাহর বাণী গুলো যদি আমরা মেনে চলি তাহলে পৃথিবীতে কোন হিংসা বিভেদ এবং অশান্তির সৃষ্টি হবে না। পৃথিবী হবে শান্তির জান্নাত। আল্লাহ কোরআন শরীফে উল্লেখ করেছেন মানুষের ক্ষতি হতে পারে এরকম কোন কাজ করা মুসলমানদের জন্য হারাম। আমরা মুসলমান ভাই-বোনরা একে অন্যের সাথে সোহাগ ধৈর্য পূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখবো। পশুপাখিকে ভালবাসব। গরিব-দুঃখীদের সেবা করার চেষ্টা করবে এবং তাদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেব।
এই সকল শান্তি-শৃঙ্খলার কথা উল্লেখ করা হয়েছে কোরআন শরীফে। তাই আমরা আল্লাহর দানকৃত কোরআন শরীফ কে সবসময় শ্রদ্ধা করব। কোরআন শরীফকে নিয়ে গর্ববোধ করব। কোরআন শরীফে উল্লেখিত বাণী গুলো পালন করার চেষ্টা করব।কোরআন শরীফের ছবি এই আর্টিকেল থেকে ডাউনলোড করে রেখে দেবো। যারা কোরআন শরীফের ছবি পছন্দ করে তাদের জন্য আমাদের এই আর্টিকেলে রয়েছে অনেক কোরআন শরীফের সুন্দর সুন্দর ছবি।