যারা বাস্তবিক জীবনে স্ত্রীর সঙ্গে মিল রেখে চলতে পারছেন না অথবা বিভিন্ন সমস্যার কারণে স্ত্রীকে ডিভোর্স দিতে যাচ্ছেন তাদের উদ্দেশ্যে আজকে এই পোস্ট করা হলো। আপনারা হয়তো অনেক সময় স্ত্রীর প্রতি অতিষ্ঠ হয়ে আমি আমার স্ত্রীকে ডিভোর্স দিতে চাই এ প্রসঙ্গে সার্চ করে থাকেন। কিন্তু স্ত্রীকে ডিভোর্স দেওয়ার ক্ষেত্রে কোন নিয়ম অনুসরণ করতে হবে অথবা এক্ষেত্রে আইনত কোন কোন নিয়ম রয়েছে তা আমাদেরকে জেনে নিতে হবে। কারণ নিয়ম না জেনে যদি আমরা ডিভোর্স দিই তাহলে সেটা ডিভোর্স হবে না এবং পরবর্তীতে পুলিশি ঝামেলা হতে পারে।
বর্তমান সময়ে মানুষের ভেতরের ধৈর্য যেমন কমে গিয়েছে তেমনি ভাবে মানসিকতার অনেক পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে। কেউ কাউকে ছেড়ে কথা বলে না এবং কেউ কারো প্রতি মানিয়ে না চলার অভ্যাসের কারণে এ ধরনের সমস্যাগুলো হয়ে থাকছে। তাই কোন কারনে যদি আপনি আপনার স্ত্রীর প্রতি অসন্তুষ্ট হয়ে থাকেন অথবা যদি তার ভেতরে খারাপ গুণগুলো লক্ষ্য করতে পারেন তাহলে তাকে সংশোধন করার চেষ্টা করুন। যদি বারবার ওয়ার্নিং দেওয়ার পরেও সে সংশোধন না হয় অথবা আপনার ভালবাসার জোরে সে যদি নিজেকে পরিবর্তন করতে না পারে তাহলে অবশ্যই সেই স্ত্রীকে পরিত্যাগ করা জরুরী।
যদি সন্তান-সন্ততি থেকে থাকে তাহলে তাদের কথা ভেবে এবং সংসারের সুখ শান্তির কথা ভেবে যদি আপনারা মানিয়ে চলতে পারেন তাহলে কোন সমস্যা নেই। কিন্তু বর্তমান সময়ের যা পরিস্থিতি তাতে করে একজন পুরুষ কখনো নারীর সৌন্দর্যে তাকে ত্যাগ করে যায় না বরং তার আচরণের কারণে এবং খারাপ ব্যবহারের কারণে তাকে ছেড়ে চলে যাই। অর্থাৎ সৃষ্টিকর্তা নারীদের কে এমন ভাবে তৈরি করেছেন যাতে করে একজন নারী চাইলে একটা সুন্দর সংসার তৈরি করতে পারেন।
চেহারার চাইতে একজন নারী নিজের মানসিকতা এবং সুন্দর ব্যবহারের মাধ্যমে একটা পুরুষের মন জয় করে চলতে পারেন। আর যদি ব্যবহার খারাপ হয়ে থাকে এবং চরিত্রগত সমস্যা থেকে থাকে তাহলে হাজার সুন্দরী হলেও সেই পুরুষের সঙ্গে তার ঘর-সংসার করা সম্ভব হয় না। তবে আমাদের সামাজিক প্রেক্ষাপটে একটা সংসারের ভাঙ্গন ঘটতে পারে বিভিন্ন কারণে। আর সেই ক্ষেত্রে যদি কোনভাবে নিজেদেরকে মানিয়ে নিতে না পারে অথবা এক্ষেত্রে যদি দেয়ালে পিঠ ঠেকে যায় তাহলে ডিভোর্স দেওয়াটাই সবচাইতে ভালো হবে।
কারণ জীবনের মূল্য অনেক বেশি এবং জীবনে যদি শান্তি না থাকে তাহলে সেই জীবনে কোন কিছু করেই আপনি ভালো থাকতে পারবেন না। তাই নির্দিষ্ট নিয়ম অনুযায়ী আপনি যখন আপনার স্ত্রীকে ডিভোর্স দিতে চাইবেন তখন তার যদি মোহরানা পরিশোধ থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই ডিভোর্স দেয়ার ক্ষেত্রে খুব সহজ শর্তে ডিভোর্স দিতে পারবেন। আর যদি মোহরানা পরিশোধ করা না থাকে তাহলে অবশ্যই আপনাদেরকে সেটা পরিশোধ করতে হবে এবং বাচ্চা থাকলে বর্তমানের আইনত নিয়ম অনুযায়ী তার ভরণপোষণের খরচ মাসে মাসে পাঠাতে হবে। তাই একজন পুরুষ হিসেবে আপনারা যখন ডিভোর্স দিবেন তখন আপনাদেরকে বেশ কিছু আইনি নিয়ম মেনে চলতে হবে।
মহারানার টাকা পরিশোধ করার পাশাপাশি বাচ্চা থাকলে ভরণপোষণের খরচ দিতে হবে এবং যারা বিয়ে পড়িয়ে থাকেন সেখানে যেতে হবে। অর্থাৎ যারা বিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে থাকেন তারাই ডিভোর্স সংক্রান্ত কাজগুলো করে থাকেন। তাই আমি যখন আমার স্ত্রীকে ডিভোর্স দিতে চাই এ প্রসঙ্গে জানতে চাইবেন তখন বলব যে এক্ষেত্রে আপনাকে অফিসিয়াল নিয়ম মানতে হবে।
অফিসিয়াল নিয়ম মানার ক্ষেত্রে উভয়পক্ষকে সম্মতি প্রদান করার পাশাপাশি বিয়ের ক্ষেত্রে যেমন সাক্ষী থাকে তেমনিভাবে এখানেও ডিভোর্সের জন্য সাক্ষী রাখবে। আশা করি এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদের যদি মনে হয় স্ত্রীকে তালাক দেওয়া প্রয়োজন অথবা এপ্রসঙ্গে যদি আইন জানতে চান তাহলে এখান থেকে তা অনেক কিছু জানতে পারলেন। আর যদি মনে করেন আরো কোন তথ্য জানবো তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটের কমেন্ট সেকশনে আপনাদের প্রশ্নগুলো লিখে জানিয়ে দিতে পারেন।