যেনা করলে তা থেকে মাফ পাওয়ার কোন উপায় আছে

আল্লাহ তাআলা মানব জাতিকে সৃষ্টি করেছেন তার ইবাদতের জন্য। তাই প্রত্যেকটি মানুষের উচিত আল্লাহর ইবাদতের মাধ্যমে জীবন অতিবাহিত করা। যে ব্যক্তি আল্লাহ তাআলার ইবাদত করে এবং ইবাদতের মাধ্যমে নিজেদের জীবন পরিচালনা করে, আল্লাহ তাআলার মনোনীত ধর্ম ইসলাম অনুসারে জীবন পরিচালনা করে, সেই ব্যক্তির উপর আল্লাহ অনেক বেশি খুশি হন। সেই ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করতে পারে। তার উপর রহমত বর্ষণ করেন। এরপরেও মানুষ বিভিন্ন ধরনের ভুল করে থাকে। বিভিন্নভাবে আল্লাহর সাথে নাফরমানি করে থাকে। আল্লাহর ইবাদতকে অস্বীকার করে থাকে। কোন ব্যক্তি যদি আল্লাহকে ভুলে যায় বা কোন কারনে আল্লাহ তালার ইবাদত না করে, তাহলে সে ব্যক্তির উপর আল্লাহতালা সন্তুষ্ট হন না। সে ব্যক্তির উপর আল্লাহর রহমত বর্ষিত হয় না। দুনিয়ার জীবনের সফলতা বা ভালো কিছু করতে পারে না। তেমনিভাবে পরকালীন জীবনেও চির শাস্তির স্থান জাহান্নাম লাভ করতে পারে।

তাই কোন ব্যক্তি যদি এরকম কোন পাপ কাজ করে থাকে, আল্লাহর ইবাদত না করে, তাহলে সে ব্যক্তির উচিত আল্লাহ তায়ালার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা। মূলত আমাদের আজকের আর্টিকেলটিতে আলোচনা করা হয়েছে যেনা করলে তা থেকে কিভাবে মুক্তি পাওয়া যাবে। আবার যেনাকারীকে আল্লাহ ক্ষমা লাভ করবে কি না, আল্লাহ কি যেনাকারীকে আসলেই ক্ষমা করবে ইত্যাদি বিষয় গুলো সম্পর্কে। আপনি কি যেনা করলে কিভাবে তা থেকে মাপ পাওয়া যাবে তা জানতে চাচ্ছেন? কিভাবে জেনাকারীকে আল্লাহ মাফ করবেন সেই সম্পর্কে তথ্য লাভ করতে চাচ্ছেন? তাহলে আপনি এই আর্টিকেলটা পড়তে পারেন। এখান থেকে এই বিষয়ে আপনি তথ্য সংগ্রহ করে নিতে পারবেন। তবে এই বিষয়টি জানার জন্য আপনাকে এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। কেননা আপনি যদি আর্টিকেলটি না পড়েন, তাহলে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন না। তাহলে আর দেরি না করে আপনি আর্টিকেলটি পড়ে নিন এবং আপনার প্রয়োজনীয় তথ্যটি এখান থেকে জেনে নিন।

যেনা করা অনেক বড় একটি পাপ। আল্লাহ তা’আলা যেনাকারীকে পছন্দ করে না এবং যেনাকারীর এবাদত কবুল হয় না। কোন ব্যক্তি যদি যেনা করে থাকে, তাহলে আল্লাহ তার উপর অনেক বেশি অসন্তুষ্ট হয়ে যায়। সে দুনিয়ার জীবনে যেমন সফলতা লাভ করতে পারবে না বা ভালো কিছু করতে পারবে না, তেমনি ভাবে পরকালীন জীবনেও সে চিরশান্তির স্থান জান্নাত লাভ করতে পারবে না। তাই কোন ব্যক্তি যদি যেনা করে ফেলে, তাহলে সেই ব্যক্তির সাথে সাথে আল্লাহ তাআলার কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত। পূর্ববর্তী ভুলের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে পরবর্তীতে আর ঐ ধরনের ভুল করা যাবে না। কোন ব্যক্তি যদি মন থেকে তার পাপ কাজের জন্য বা ভুলের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চায়, তাহলে নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমা করে দিবেন। আল্লাহ ক্ষমাশীল। তিনি মহান। তিনি তার বান্দাকে ক্ষমা করে দেন।

এজন্য কোন বান্দা যদি আল্লাহর ইবাদত না করে বা যেনা করে থাকে এবং সে তার ভুল বুঝতে পেরে আল্লাহর কাছে পবিত্র মনে প্রার্থনা করে, পরবর্তীতে আর এ ধরনের কাজ না করে, আল্লাহর প্রতি ঈমান আনে, ভালো কাজ করে, আল্লাহর ইবাদত করে, তাহলে আল্লাহ সেই বান্দাকে ক্ষমা করে দিতে পারে। কেননা আল্লাহ পরম ক্ষমাশীল। তিনি তার বান্দাকে খালি হাতে ফিরান না। তাই কোন ব্যক্তি যদি এই ধরনের পাপ কাজ করে থাকে, তাহলে তার উচিত বেশী বেশী করে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা, আল্লাহর প্রতি ঈমান আনার আর পরবর্তীতে এ ধরনের ভুল না করা। তাই আপনি যদি এরকম কিছু করে থাকেন বা কোন কারনে যেনা করে থাকেন, তাহলে আপনার উচিত সেই কাজটি ছেড়ে দিয়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা। বেশি বেশি করে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে। আস্তাগফিরুল্লাহ পড়তে হবে । আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাইতে হবে। ঈমান আনতে হবে। আল্লাহর ইবাদত করতে হবে। তাহলে নিশ্চয়ই আল্লাহ সেই বান্দাকে ক্ষমা করে দেবেন।

Leave a Comment