১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন নিয়ে অনেকের অনেক ধরনের মতামত রয়েছেন। আজকে আমরা ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের যে গুরুত্ব সেই গুরুত্ব সম্পর্কে আপনাদের সামনে অনেক শিক্ষার্থী রয়েছেন যারা ভাষা আন্দোলনের গুরুত্ব সম্পর্কে অনেক প্রবন্ধ রচনা খুঁজে থাকেন কিন্তু কোথাও পছন্দ মত বা আপনি যেটা চাচ্ছেন সেরকম কোনো প্রবন্ধ রচনা খুঁজে পান না।
আপনাদের এই সকল সমস্যার সমাধানের জন্য আজকে আমরা ভাষা আন্দোলনের গুরুত্ব সম্পর্কিত একটি প্রবন্ধ রচনা আপনাদের সামনে উপস্থাপন করছি আপনি চাইলে এই প্রবন্ধ রচনাটি পড়তে পারেন এবং এখানে যেভাবে দেওয়া আছে ঠিক একইভাবে আপনি একটি সংগ্রহ করে রেখে দিতে পারেন পরবর্তীতে যে কোন কার্যক্রমে আপনি এটা ব্যবহার করতে পারবেন। এজন্য বলতে চাচ্ছি যে,
আপনারা প্রতিনিয়ত আমাদের প্রবন্ধ গুলো পড়ুন এবং প্রবন্ধের যে সকল তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে সেগুলো মনোযোগ সহকারে দেখে নিন। এখান থেকে তথ্য সংগ্রহ করুন এবং পরবর্তীতে যে কোন জায়গায় আপনি এই সকল তথ্যগুলো ব্যবহার করুন তাহলে কোন ভাবেই আপনি বিতাড়িত হবেন না বা আপনি ঠিক যেমনটা চাচ্ছেন তেমনটাই করা সম্ভব হবে।
এজন্য প্রতিনিয়তই আমরা আপনাদেরকে আমাদের প্রবন্ধ পড়ার জন্য অনুরোধ করে থাকি। আমাদের বেশ কিছু নিয়মিত পাঠক রয়েছেন তারা প্রতিনিয়ত আমাদের প্রবন্ধ পড়েন এবং আমাদের প্রবন্ধ পড়ে প্রবন্ধ হতেই তথ্য সংগ্রহ করেন। এ সকল তথ্যগুলো তারা বিভিন্ন জায়গায় কাজে লাগান এবং তারা সেখান থেকে ১০০ ভাগ সফল হতে পারেন। আপনিও একই ভাবে কাজ করতে পারেন আপনিও আমাদের প্রবন্ধগুলো পড়ে ১০০ ভাগ সফল হতে পারবেন।
বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলনের গুরুত্ব
১৯৫২ সালে আমাদের দেশে ভাষা আন্দোলন হয় এবং সে আন্দোলনে বেশ কিছু মানুষ প্রাণ হারায়। বাংলা ভাষা আন্দোলন ছিল মূলত ১৯৪৭ থেকে ১৯৫৬ সালের পর্যন্ত। ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারিতে এই আন্দোলন তার চূড়ান্ত রূপ ধারণ করে ১৯৫২ সালের সেই দিনে আমাদের দেশে বেশ কিছু মানুষ প্রাণ হারায়। এই ভাষা আন্দোলন অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি আন্দোলন। বিশ্বের এমন কোন দেশ নেই যে দেশে ভাষা নিয়ে কোন আন্দোলন হয়েছে এবং সেখানে মানুষ প্রাণ হারিয়েছে শুধুমাত্র বাংলাদেশি এমন একটি দেশ যেখানে ভাষা নিয়ে আন্দোলন হয়েছে এবং এখানে মানুষ তার জীবন উৎসর্গ করেছে।
ভাষা আন্দোলন নিয়ে বলতে গেলে হয়তো অনেক কিছু বলা প্রয়োজন হবে অনেক কথাই বলা যায় কিন্তু এখানে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ভাষা আন্দোলনের তাৎপর্য সম্পর্কে জানা। যারা ভাষা আন্দোলনের তাৎপর্য সম্পর্কে জানতে পারবে তারা অনেক তথ্য তাদের প্রবন্ধের সাথে সংযুক্ত করতে পারবে। এজন্য আমরা ভাষা আন্দোলনের তাৎপর্য আপনাদের সামনে উপস্থাপন করার চেষ্টা করছি।
১৯৫২ সালে যে ভাষা আন্দোলন হয়েছিল সেই ভাষা আন্দোলনে আমাদের দেশের অনেকগুলো মানুষ শহীদ হয়েছিল সেই শহীদের নাম আমরা এখনো বীরত্বের খাতায় উল্লেখ করে রেখেছি। আমরা বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারি ১৯৫২ সালে যে আন্দোলনটা হয়েছিল সে আন্দোলন যদি সম্পূর্ণরূপে সঠিক না হতো তাহলে আমরা হয়তো ভাষা পাই পেতাম না আমরা আমাদের মাতৃভাষা কথা বলতে পারতাম না।
৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের গুরুত্ব
ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতির উপলব্ধি করে যে সংগ্রামের মধ্য দিয়েই তাদের দাবিদাওয়া আদায় করতে হবে। সংগ্রাম ছাড়া কোনোভাবেই দাবি-দাওয়া আদায় করা সম্ভব নয়। আর তাই ১৯৫২ সালে দল মত নির্বিশেষে জাতিভেদ নির্বিশেষে প্রত্যেকটি জাতির মানসিক ভাষা আন্দোলনের জন্য রাস্তায় নেমে পড়ে এবং তারা বাংলা ভাষাকে স্বাধীন বাংলাদেশের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে তৈরি করে তবেই তারা রাজপথ ছেড়ে উঠে আসে।
রাজপথে যারা ছিল তারা অনেকেই আজ বেঁচে নেই তারা অনেকেই মারা গেছেন কিন্তু তারা তাদের বিরুদ্ধে কাজকর্মগুলো আমাদেরকে দিয়ে গেছেন। তারা যে বিরত্তের পরিচয়টি দিয়েছেন তা সেই বিরুদ্ধে আমরা এখনো ধারণ করতে পারেনি। আমরা এখনো সেই বীরগাথা সময়টা অতিক্রম করতে পারিনি আমরা তাদেরকে স্মরণ করব এবং তাদের বিরক্তের কাজকর্মগুলো স্মরণে রাখবো এবং ভবিষ্যতে তাদেরকে আরো সম্মান প্রদর্শন করব।