আমরা আমাদের জীবনে অনেক সময় বা সব সময় তড়িৎ ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু তড়িৎ চলাচলের অবশ্যই অনেকগুলো নিয়ম রয়েছে। ফরিদ এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে যেভাবে প্রবাহিত হয় তা আমাদের সকলের হয়তো ঠিকভাবে জানা নেই। তাই আজকে আমরা জানবো যে তড়িৎ কিভাবে চলাচল করে এবং তড়িতের একটি উৎস থেকে তার অভ্যাস ধরেন রোধ কত এই বিষয়টি। সব কিছুরই একটি নিরপেক্ষ রয়েছে অর্থাৎ অতি কম বা অধিবাসী এরকম বিষয় সবক্ষেত্রে রয়েছে। তাইতো দেশের ক্ষেত্রেও বা তড়িৎ এর উৎসের ক্ষেত্রে এ বিষয়টি আমরা দেখে থাকি। এই কারণে আজকে আমরা জানবো বা আমাদের জানার বিষয় হল একটি আদর্শ তড়িৎ উৎসব অভ্যন্তরীণ রোধ সম্পর্কে।
আমরা জানি তড়িৎ কোষের সাহায্যে কোন বর্তনীতে তড়িৎ প্রবাহিত করলে অবশ্যই বর্তনীর ধনাত্মক পা থেকে ঋণাত্মক পথে এবং ঋণাত্মক পা থেকে ধনাত্মক পাতে তড়িৎ প্রবাহিত হয়। তবে এই তড়িৎ ধনাত্মক পা থেকে ঋণাত্মক হতে এবং ঋণাত্মক পা থেকে ধনাত্মক পাতে প্রবাহিত হওয়ার সময় যে রাসায়নিক দ্রব্য বাধার সৃষ্টি করে তাকে আসলে বলা হয় কোষের অভ্যন্তরীণ রোধ। তবে আমরা একটি আদর্শ তড়িৎ উৎসের অভ্যন্তরীণ রোধকে শূন্য ধরে থাকি। এখন আমাদের জানতে হবে আসলে রোধ কি। রোধ বিষয়টি যদি না জানি তাহলে আমরা শুধুমাত্র কথা বলে যাব তাহলে হবে না।
পদার্থবিজ্ঞানের সংজ্ঞা অনুযায়ী বলা যায় যে, পরিভাষকের যে ধর্মের জন্য এর মধ্য দিয়ে অর্থাৎ পরিবাহক এর মধ্যে দিয়ে তড়িৎ প্রবাহ বিঘ্নিত বা বাধা প্রাপ্ত হয়, তাকেই রোধ বলা হয়। এবং পদার্থবিজ্ঞানে এই রোদের একককে সাধারণত ওহম বলা হয়। আজকে আমাদের প্রধান জানার বিষয় হল একটি আদর্শ তড়িৎ উচ্ছেদ অভ্যন্তরীণ রোধের পরিমাণ কত সে বিষয়টি নিশ্চিত ভাবে জানা। আমরা জানি যে ওহম বা রোধ হলো বিদ্যুৎ প্রবাহের বাধা দেওয়ার প্রক্রিয়া।
এখন আমাদের জানতে হবে যে ওহমের সূত্রটি কি। আমরা জানি যে নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় কোন পরিবাহীর মধ্যে দিয়ে যে বিদ্যুৎ প্রবাহ চলে, তা ওই পরিবারের দুই প্রান্তের বিষয় পার্থক্যের সমানুপাতিক। অর্থাৎ বলা চলে যে, বিভব পার্থক্য = রোধ × বিদ্যুৎ প্রবাহ। আমরা আরো জানি যে বিশ্বকাপ পার্থক্য চারটি জিনিসের উপর নির্ভর করে থাকে। এই চারটি জিনিস হলো পরিভাষকের দৈর্ঘ্য, পরিবাহকের প্রস্হচ্ছেদের ক্ষেত্রফল, পরিবাহকের উপাদান এবং পরিবাহক এর তাপমাত্রা। বিদ্যুৎ প্রত্যেকটি মানুষের জন্য এখন প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছে তাই বিদ্যুৎ আমরা ব্যবহার করবোই।
তবে আমাদের সব সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন এই বিদ্যুৎ ব্যবহারের ক্ষেত্রে রোধের পরিমাণটা কম হয়। বিদ্যুৎ ব্যবহারের সময় রোধের পরিমাণ কমানোর ক্ষেত্রে আমাদের বিশেষ কিছু বিষয়ের উপর অবশ্যই নজর দিতে হবে। আমরা যে পরিবাহক এর মধ্যে দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত করব সেই বিদ্যুৎ পরিবাহক অর্থাৎ তার যেন ভালো হয় অর্থাৎ যে তার ব্যবহার
করব সেই তার যেন তামার তার হয়। যদিও রুপোর তারে রোজ সবচাইতে কম কিন্তু রুপোর তার ব্যবহার করা অনেকটাই ব্যয়বহুল। তাই আমরা বাজারের যে বৈদ্যুতিক তারগুলো পাই তার মধ্যে তামাত্তার অনেক দামি কিন্তু এই জামাত তার ব্যবহার করে বিদ্যুৎ প্রবাহিত করলে আপনার বিদ্যুতের অপচয় কম হবে। এবং অবশ্যই দেখবেন তামার তার বা ভালো তামার তার ব্যবহার করলে আপনার বিদ্যুতের পচায় কম হবে এবং বিদ্যুৎ বিল কম আসবে।
এই সকল বিষয়গুলি যদি আমরা ভালোভাবে লক্ষ্য রাখি তাহলে অবশ্যই আমার আমাদের বৈদ্যুতিক উৎস থেকে এর অভ্যন্তরীণ যে পার্থক্য বা রোদ হয় সেটি অবশ্যই কম হবে। তো আজকে যেহেতু আপনারা আমাদের এখানে এসেছেন যে একটি আদর্শ বদৌলিক উৎসের অভ্যন্তরীণ রোধ সম্পর্কে জানার জন্য। আমরা এখন সে বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নিতে পারি। আদর্শ তড়িৎ উৎসে/ কারেন্ট সোর্সে অভ্যন্তরীণ তুল্য (মোট) রোধ অসীম । আদর্শ ভোল্টেজ সোর্সের অভ্যন্তরীণ রোধ শূন্য । তাহলে বিষয়টি সম্পর্কে অবশ্যই আপনাদের মনে যে দ্বিধাদ্বন্দ্ব ছিল সে বিষয় সম্পর্কে এখন আর সেই দ্বিধা দ্বন্দ্ব কাজ করবে না বলেই আশা করি।