শরীরে যদি আয়রনের ঘাটতি দেখা দেয় তাহলে আপনাদের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে। তাই আয়রনের চাহিদা পূরণ করার জন্য আপনারা বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি খাবার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের ফল খেতে পারেন। প্রকৃতপক্ষে আমরা যদি নিজেদের দৈনন্দিন স্বাস্থ্যব্যবস্থা সঠিকভাবে অনুসরণ করতে চাই তাহলে ইন্টারনেটের মাধ্যমেও সেগুলো জেনে নেওয়া সম্ভব। যদি কোন ভাবে আপনি আপনার স্বাস্থ্য সচেতনতার বিষয়ে ইন্টারনেটে এসে তথ্য সার্চ করে থাকেন অথবা বিভিন্ন সমস্যা লিখে সার্চ করেন তাহলে অবশ্যই সেই সমাধান গুলো পাওয়া যাবে। আর সেই ভিত্তিতে আপনারা যেহেতু আয়রন সমৃদ্ধ ফলের নাম জানতে চেয়েছেন সেহেতু আপনাদের উদ্দেশ্যে আমরা এটা প্রদান করছি।
বর্তমানে আপনারা যদি স্বাস্থ্য সচেতন থাকতে চান এবং নিজেদের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তিত থাকেন তাহলে যে কেউ চাইলে জেকে লাইফস্টাইল অনুসরণ করতে পারেন। বর্তমান সময়ে জাহাঙ্গীর কোভিদ স্যারের লাইফস্টাইল অনুসরণ করার মাধ্যমে অনেক ব্যক্তি লাইফ টাইম ডিজিস থেকে বেচে ফিরেছেন। যাদের দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ নিয়ে বাঁচতে হতো অথবা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতিনিয়ত ইনসুলিন গ্রহণ করা লাগতো তারাও এখন কোন ধরনের ওষুধ ছাড়াই সুস্থ ও স্বাস্থ্যবান জীবন যাপন করছেন।
যেহেতু আমাদের জীবন ব্যবস্থা হয়ে উঠেছে শর্করা নির্ভর সেহেতু আমাদের রক্তের ভেতরে চর্বি ও চিনির পরিমাণ এতটাই বৃদ্ধি পাচ্ছে যে খুবই অল্প বয়সেই আমরা বিভিন্ন ধরনের রোগে আক্রান্ত হচ্ছি। সেই সাথে আমাদের স্বাস্থ্য অসচেতনতার কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাচ্ছে এবং যেকোনো ধরনের রোগ আক্রান্ত করলে সেগুলো থেকে আমরা খুব একটা দ্রুত প্রতিকার পাচ্ছিনা। তাছাড়া ভোজ্য তেল গ্রহণের ক্ষেত্রেও আমরা যে ধরনের জীবন ব্যবস্থা অনুসরণ করছি অথবা ফাস্টফুডের প্রতি এতটাই ঝোঁকে পড়ার কারণে আমাদের সমস্যাগুলো আরো প্রকট হয়ে উঠছে।
আগেকার দিনে যদি আপনি লক্ষ্য করেন তাহলে দেখবেন যে তখন যেমন মানুষের রোগ বালাই কম ছিল তেমনি ভাবে পাড়ার মোড়ে মোড়ে ডিসপেন্সারির সংখ্যা কম ছিল। আর এখনকার যুগে প্রত্যেকটি জায়গায় যেমন ভাজাপোড়ার দোকান সৃষ্টি হচ্ছে তেমনিভাবে ওষুধের দোকানগুলো সমানভাবে বেড়ে চলেছে। মানুষের স্বাস্থ্য এখন এমন অবস্থাতে চলে গিয়েছে যেখানে দৈনন্দিন জীবনে ওষুধ ছাড়া চলা যায় না অথবা মানুষ ভালো থাকতে পারে না। তাই এ সকল বিষয়ে সচেতন ভূমিকা পালন করতে পারলেই আপনি নিজের বয়স যেমন ধরে রাখতে পারবেন তেমনি ভাবে বয়স অনুযায়ী সুস্থ থাকতে পারবেন।
আর এ সকল বিষয়ে আমরা আপনাদের উদ্দেশ্যে এ কারণেই আলোচনা করছি যে আপনারা একটু হলেও যাদের স্বাস্থ্য সচেতন হতে পারেন। তবে যাই হোক শরীরে যদি আয়রনের ঘাটতি থেকে থাকে এবং আয়রনের ঘাটতি যদি পূরণ করতে চান তাহলে বিভিন্ন ফল খাওয়ার পাশাপাশি শাকসবজি গ্রহণ করতে হবে। যারা মাছ-মাংস ছাড়া খেতেই পারেনা তাদের উদ্দেশ্যে বলবো যে প্রত্যেকটি ধরনের খাবার অল্প অল্প করে যদি খেতে পারেন তাহলে সেটা আপনাদের জন্যই ভালো হবে।
আর এখানকার আলোচনার ভিত্তিতে আপনারা যেহেতু বিভিন্ন ধরনের ফলের নাম জানতে এসেছেন সেহেতু আপনাদেরকে অবশ্যই আমরা টমেটো খাওয়ার কথা বলব। এটি যেমন খাবারের স্বাদ বৃদ্ধি করবে তেমনি ভাবে আপনার খাবারে আয়রনের চাহিদা পূরণ করতে পারবেন। এভাবে যদি ফলের নাম জানতে চান তাহলে বলব যে তরমুজ খাবারের ফলে আপনারা এখান থেকে ভিটামিন সি পেয়ে যাবেন এবং এখানে প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে।
এছাড়াও আপেল নিয়মিত খেতে পারলে আপনার শরীরে পানির চাহিদা পূরণ হওয়ার পাশাপাশি আয়রনের চাহিদা পূরণ হবে এবং হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বেড়ে যাবে। বর্তমানে বাজারে স্ট্রবেরি প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায় এবং আমরা যদি মাসের ভেতরে অন্ততপক্ষে বেশ কয়েকবার স্ট্রবেরি খেতে পারি তাহলে আমাদের আয়রনের চাহিদা অনেকটাই পূরণ করতে পারবেন। ডালিম অথবা বেদানার মাধ্যমে আমরা আমাদের আয়রনের চাহিদা গুলো পূরণ করতে পারি। অর্থাৎ ডালিম ফলের মাধ্যমে আপনারা খুব সহজেই এখানে প্রোটিন যেমন পাবেন তেমনিভাবে ক্যালসিয়াম ও ফাইবার পাওয়ার পাশাপাশি আয়রন প্রচুর পরিমাণে পেয়ে যাবেন। ধন্যবাদ।