অনিয়মিত মাসিকের ঔষধ

মেয়েদের প্রতি মাসে মাসিকের একটি সঠিক নিয়ম হয়ে রয়েছে। একটি সঠিক সময়ে তাদের এই মাস একটি সম্পন্ন হয়। এই মাসিকের নিয়মের বহির্ভূত কোন কিছু হলে তাকে অনুমিত মাসিক বলা হয়। অনিয়মিত মাসিক হলে মেয়েরা অনেক বেশি দুশ্চিন্তা গ্রস্ত হয়ে যায়। আর অনিয়মিত মাসে কোন ভাবে সঠিক নয়। অনিয়মিত মাসিক হলে সেটি শরীরের জন্য অনেক বেশি ক্ষতিকরতার কারণ।

আর এজন্য আপনাদেরকে অবশ্যই সচেতন হওয়া প্রয়োজন। আপনারা যদি সচেতন হন তাহলে অনিয়মিত মাসিক থেকে নিজেদেরকে দূরে রাখতে পারবেন। আমরা আপনাদেরকে বেশ কিছু ঔষধ এবং ঘরোয়া প্রতিকার দেখাবো এই সকল ঘরোয়া প্রতিকারগুলো যদি আপনারা নিয়মিত ভাবে পালন করেন তাহলে অনিয়মিত মাসিক থেকে আপনি নিজেকে দূরে রাখতে সক্ষম হবেন।

বেশ কিছু ওষুধ রয়েছে এ সকল ওষুধগুলো বর্তমানে বাজারে প্রচলিত। এই ওষুধগুলো যদি আপনারা খান তাহলে আপনি অনিয়মিত মাসিক থেকে নিজেকে দূরে রাখতে পারবেন। মেয়েদের মাসিক কারো মাসের শুরুতে কারো মাসের মাঝামাঝি অথবা কারো মাসের শেষে হয়। যে সময়ে মাসিক শুরু হয় পরবর্তী মাসে ঠিক একই সময় মাসিক হওয়ার কথা তবে যাদের সময়ের বিলম্ব হয় তাদেরই মাসিক অনিয়মিত বলে বিবেচিত হয়। আর এই ধরনের অনিয়মিত মাসিক হলে মেয়েদের শারীরিক দুরবস্থা সৃষ্টি হয়। একটা সময় তারা শারীরিকভাবে অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যায়। এজন্য মাসিক নিয়মিত ভাবে হলে সেটাই সব থেকে বেশি ভালো হয়।

অনিয়মিত মাসিকের ঘরোয়া উপায়

অনিয়মিত মাসিকের জন্য ঘরোয়া কিছু উপায় রয়েছে আপনারা চাইলে এই সকল উপায় গুলো নিয়মিত পালন করতে পারেন তাহলে আপনাদের ঘরোয়া ভাবেই এ সকল সমস্যার সমাধান করতে পারবেন। আমরা বিস্তারিত তথ্য নিচে উপস্থাপন করছি মনোযোগ সহকারে এগুলো পড়ে নিন।

১. নিয়মিত ব্যায়াম করুন
আপনি যদি নিয়মিত ব্যায়াম করেন তাহলে আপনার শরীর ওজন বজায় রাখতে সক্ষম হবেন এমনকি স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করবে। আর আপনার মাসিক চক্রকে নিয়ন্ত্রণ করতে এটি সাহায্য করবে। আর তাই প্রত্যেকটি ব্যক্তিকে নিয়মিত ব্যায়াম করা প্রয়োজন। যারা নিয়মিত ব্যায়াম করে তাদের শরীর স্বাস্থ্য তুলনামূলক ভালো থাকে।

২. একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্য বজায় রাখতে হবে
আপনাকে নিয়মিতভাবে একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্য খেতে হবে। আপনি অনিয়মিতভাবে অস্বাস্থ্যকর কোন খাদ্য খেলে সেটা আপনার শরীরের জন্য অনেক বেশি অনুপযোগী এবং অকার্যকর হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। এজন্য আপনাকে প্রতিনিয়ত অবশ্যই একটি নিয়মিত খাদ্য খেতে হবে এবং সেই খাদ্যটি অবশ্যই শরীরের জন্য স্বাস্থ্যকর হতে হবে। তেল জাতীয় খাবার কম খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে তবে আপনার শরীর এবং মন দুইটাই সতেজ থাকবে।

৩. মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ
আপনার নিজের প্রতি যদি মানসিক কোনো চাপ থাকে তাহলে সেটাকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। শরীরের স্পেস হরমোনের ভারসাম্যকে ব্যাহত করতে পারে। এজন্য মাসিক এর উপর এটি প্রভাব ফেলার সম্ভাবনা অনেক বেশি। ধ্যান, যোগব্যায়াম এবং গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের মতো অনুশীলন গুলো আপনার মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করবে। এজন্য প্রতিনিয়ত সকালে ঘুম থেকে উঠে আপনি যোগদান করতে পারেন এটি মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করতে অনেক বেশি কার্যকর।

অনিমিত মাসিকের জন্য ঔষধ

অনিমিত মাসিকের জন্য বেশ কিছু ওষুধ রয়েছে আপনারা এ সকল ওষুধ খেতে পারেন। আর এই সকল ঔষধ গুলো যদি আপনি নিয়মিত সেবন করেন তাহলে আপনার অনেক মাসিকের সমস্যাটি অতি সহজেই শেষ হয়ে যাবে। এজন্য আমরা এসব ওষুধ গুলো আপনাদেরকে খেতে বলছি যেমন:-
● নরমেনস ট্যাবলেট
● মনোরাল ট্যাবলেট

আপনি উপরে দেখানো ট্যাবলেট গুলো সেবন করতে পারেন। এই সকল ট্যাবলেটগুলো যদি আপনি সেবন করেন তাহলে আপনি অতি সহজেই আপনি একটি ভাল ফিডব্যাক বা একটি ভাল অনুভূত পাবেন যেটি আপনাকে পরবর্তীতে আরো বেশি শক্তি সঞ্চয় করতে সাহায্য করবে।

নরমেনস ট্যাবলেট এর সঙ্গে সহায়ক ওষুধ হিসেবে আপনি আরো কিছু ট্যাবলেট খেতে পারেন। যেমন:-
● এলজিন ট্যাবলেট
● আয়রন সাপ্লিমেন্ট
● গ্যাসের ওষুধ

উপরে দেখানো ওষুধগুলো যদি আপনি নিয়মিত সেবন করেন তাহলে অতি সহজে আপনি অনিয়মিত মাসিকের থেকে নিজেকে দূরে রাখতে সক্ষম হবেন।

 

Leave a Comment