বর্তমানে ফেসবুক একটি জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ। ফেসবুকে আমরা বিভিন্ন ধরনের স্ট্যাটাস আপডেট দিই। আপনি কি ইসলামিক ভাবে কিছু শিক্ষামূলক স্ট্যাটাস ফেসবুকে আপলোড করতে চান?ইসলামিক শিক্ষামূলক স্ট্যাটাস গুলো কোন বিষয়ে দিতে চান সেটা প্রথমে ঠিক করে নিতে হবে। তারপর সেই বিষয়ে ইসলামিক বিধান অনুযায়ী কিছু বক্তব্য রাখতে হবে। স্ট্যাটাস গুলো আপনি ক্যাপশন আকারে টাইপ করে সুন্দর করে একটি ইসলামিক ধারণা সম্পূর্ণ ফেসবুক পোস্ট করতে পারেন।
বাংলাদেশ একটি মধ্যম আয়ের দেশ। ধীরে ধীরে আমাদের এই দেশ অনেক উন্নতি করেছে। মুসলিম প্রধান এই দেশটিতে বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে বাংলাদেশের মতো দেশটিতে অন্য সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ এর থেকে ফেসবুকের জনপ্রিয়তা বেশি। আমরা বাংলাদেশে ইন্টারনেট ইউজার বলতে অধিকাংশ ফেসবুক ইউজার পেয়ে থাকি। তাই যেকোনো পোস্ট দ্রুত ছড়ানোর একটি মাধ্যম হলো ফেসবুক। ফেসবুকে মাধ্যমে আমাদের ধ্যান-ধারণা এবং আমাদের জ্ঞান শেয়ার করতে পারি।
ইসলামিক বয়স জ্যেষ্ঠ ব্যক্তি রয়েছে, যারা খুব ভালো ইসলামিক কথা বলতে পারে। এরা এভাবে সুন্দর একটি শিক্ষামূলক ইসলামিক পোস্ট ফেসবুকে শেয়ার করতে পারেন। অভিজ্ঞতা সম্পূর্ণ ইসলামিক এই ব্যক্তি গুলো অনেক ধরনের ফেসবুকে সোশ্যাল মিডিয়ায় শিক্ষামূলক ইসলামিক পোস্ট শেয়ার করেন। এই পোস্টগুলো এক ধরনের মোটিভেশনাল। তাই আপনিও যদি ইসলামিক শিক্ষামূলক স্ট্যাটাস গুলি পেতে চান তাহলে আমাদের এই আর্টিকেলটি আপনাকে অবশ্যই শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে।
ইসলামিক শিক্ষামূলক স্ট্যাটাস গুলো কেমন হবে যাদের এ বিষয়ে ধারণা নেই তাদের জন্য আমরা এখন ইসলামিক শিক্ষামূলক পোস্টের কিছু ক্যাপশন এর উদাহরণ আপনাদের দেখাবো।
১/ আল্লাহ আমাদের এই জগতে পাঠিয়েছেন জগতের কল্যাণ করতে। হবে জীবন যাপন করতে এবং মানুষ হিসাবে মানুষের মতো পরিচয় দিতে। কিন্তু দিন দিন মুসলিমের পথে চলা মানুষগুলো সংখ্যা কমে যাচ্ছে। চারিদিকে হাহাকার। আল্লাহর চরিত্র সেই কথাগুলো যদি আমরা মানুষ যদি পালন করতাম তাহলে আজকে আমাদের পৃথিবী কতই না সুন্দর হতো। আমরা জীব সেবা করবো। গাছপালা লাগাবো। বৃক্ষ নিধন বন্ধ করব। ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী আমরা চলার চেষ্টা করব।
২/ আল্লাহ আমাদের সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে পাঠিয়েছেন। তাই সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে আমাদের কিছু দায়িত্ব-কর্তব্য রয়েছে। আমাদের যে সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ আমরা যদি তার গুণগান না করি তাহলে আল্লাহ আমাদের ওপর ক্ষুব্ধ হবেন।
৩/ আমরা এই দুনিয়াতে যাই করি না কেন উপরওয়ালা ওপর থেকে সব দেখছেন। তিনি কড়াই-গন্ডায় হিসাব রাখছেন আমাদের কর্মকাণ্ডের। তোমরা যারা বেপরোয়া ভাবে জীবন যাপন করছো। প্রতিনিয়ত নিজের এবং অন্যের ক্ষতি করে চলেছে তারা একদিন এই ক্ষতির মাশুল দিবে। আঁখিরাতে জবাবদিহি করতে হবে আল্লাহর কাছে। তাই বন্ধুরা সময় থাকতে তোমরা আল্লাহর সান্নিদ্ধে যাও। সকল ধরনের পাপ কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখার চেষ্টা করো। আল্লাহর পরম দয়ালু। তিনি নিশ্চয়ই তোমাদের ওপর মেহেরবান হবে।
৪/ ইসলাম ধর্মে উল্লেখিত রয়েছে নারীদের পর্দার আড়ালে থাকতে হবে। কারণ নারীদের শারীরিক আকর্ষণের ফলে অনেক ধরনের সামাজিক ব্যাধি দেখা দেয়। ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী নারীরা যদি তাদের শরীরের অঙ্গ সব সময় পর্দার আড়ালে রাখে তাহলে এই ধরনের সামাজিক ব্যাধিগুলো অনেক অংশে নির্মূল করা সম্ভব হবে। তাই ধর্মীয় পথে অগ্রসর হও হে সকল ইসলামী বোনেরা। আল্লাহর দেখানো পথেই চলো এতেই জীবনের মঙ্গল হবে।
৫/ আল্লাহর ধনী এবং গরিব উভয়কে সৃষ্টি করেছেন সমাজের ভারসাম্য রক্ষার জন্য। এজন্য ধনীরা অতিরিক্ত খরচ না করে দরিদ্রদের মাঝে দান করতে হবে। কারণ একজনের কাছে যে জিনিসের অভাব নেই, আরেকজনের কাছে সেই জিনিসেরই খুবই অভাব। তাই ধনীরা অবশ্যই গরিবদের সেবা করবে এটাই আল্লাহর বিধান।
৬/ হে আল্লাহ তুমি আমাদের সৃষ্টি করেছ। দান করেছ এই সুন্দর পৃথিবী। তাই যদি ইসলাম হয়ে জন্মগ্রহণ করে থাকো তাহলে সেই অবশ্যই আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ থাকতে হবে। কারণ আল্লাহ পারে না এমন কোন কাজ নেই। আল্লাহর কথাতেই এই পৃথিবীর সমস্ত কিছু বিরাজমান। সব সময় আল্লাহর উপর ভরসা রাখো দেখবে জীবনে যেটা চাও সেটাই পাবে।