ইসলামি আবেগী কষ্টের স্ট্যাটাস গুলো যদি আপনারা দিতে চান তাহলে এখান থেকে আপনারা খুব সুন্দর সুন্দর পোস্টের স্ট্যাটাস পেয়ে যাবেন। এখানে সুন্দর এই অর্থে বলা হচ্ছে যে আপনার মনের বিষয়গুলো খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা আছে এবং আপনারা পড়লে বুঝতে পারবেন হয়তো এটা আপনাদের অথবা নির্দিষ্ট কোন বিষয়ের উপর নির্ভর করে লেখা হয়েছে। আর আপনারা যখন ইসলামিক আবেগী কষ্টের স্ট্যাটাস সংগ্রহ করতে চান তখন বুঝতে হবে আপনার মনের ভেতরে অনেক আবেগ অথবা কষ্ট জমা রয়েছে। আর এই বিষয়গুলোকে আমরা প্রাধান্য দিয়ে এখানে খুব সহজভাবে বিষয়গুলো উপস্থাপন করলাম এবং আপনারা চাইলে কপি করে নিতে পারেন।
ইসলাম ধর্মে আপনি যদি পুরোপুরিভাবে মনোনিবেশ করতে পারেন এবং এই ধর্মের প্রত্যেকটি বিধি-নিষেধ মেনে চলতে পারেন তাহলে দেখা যাবে যে আপনার জীবনে আবেগ অথবা কষ্টের জায়গা গুলো তৈরি হবে একমাত্র সৃষ্টিকর্তার উদ্দেশ্যে। কিন্তু বস্তুবাদের দুনিয়ায় এই আমরা ছুটে বাড়াই পৃথিবীর বস্তুগত জিনিসের দিকে অথবা আল্লাহর সৃষ্টি কোন বান্দার দিকে। দিনশেষে যখন সেই মানুষ কষ্ট দেয় অথবা দিনশেষে যেই বিষয় থেকে আমরা কষ্ট পাই সে বিষয়গুলো থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়ে আল্লাহ পাকের কাছেই আবার বলে থাকি এত দুঃখ কষ্ট কেন আমার।
যদি আপনি আপনার আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পারেন তাহলে দেখা যাবে যে এক্ষেত্রে চোখের পানি নিয়ন্ত্রণ করাটা সম্ভব হবে না এবং আপনার মনের ভিতর এত দুঃখ কষ্ট থাকবে যে আল্লাহ পাকের শরণাপন্ন হতে আপনাকে বাধ্য হতে হবে। কিন্তু বর্তমান সময়ের যুব সমাজ কোন একটা কারণে যদি মন খারাপ করে অথবা কোন একটা কারণে যদি ভীষণ আবেগের সৃষ্টি হয় তাহলে মাদক থেকে শুরু করে খারাপ পথে পরিচালিত হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে।
কিন্তু মহান আল্লাহ পাক সবসময়ই আল্লাহর পথে নিজেদের জীবনকে পরিচালনা করতে বলেছেন এবং এই পথে যদি আপনি পরিচালিত হতে পারেন তাহলে দেখবেন যে দুঃখ কষ্ট তৈরি হলেও সেগুলো আল্লাহ পাকের কাছে মন খুলে বলে আপনার মনকে হালকা করতে পারছেন। তাই আমরা সব সময় ধ্বংসের দিকে ধাবিত হচ্ছে এবং আমরা আখেরাতের দিকে চিন্তা না করে সব সময় দুনিয়াবী জীবনের প্রতি চিন্তা করে নিজেদের মূল্যবান সময়কে নষ্ট করছি। পরীক্ষার কেন্দ্রে আপনি যদি তিন ঘন্টা অথবা ৪ ঘন্টা বসে থাকেন তাহলে কি আপনি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারবেন? যেহেতু পরীক্ষায় কোন কিছু লিখতে পারবেন না সেহেতু আপনাকে উত্তীর্ণ করোনা হবে না বরং ফেল করোনা হবে।
ঠিক একইভাবে এই পৃথিবী হলো একটা পরীক্ষার ক্ষেত্রে এবং এই পরীক্ষার ক্ষেত্রে আপনারা যদি সঠিকভাবে পরীক্ষা না দেন অথবা আল্লাহর পাকের দেখানো পথে নিজেদেরকে পরিচালিত না করে খারাপ পথে পরিচালিত হন তাহলে দেখা যাবে যে আপনার জাহান্নাম ছাড়া আর কিছুই জুটবে না। তাই বসে না থেকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের শামিল হতে আপনারা মসজিদের দিকে ছুটে যান এবং যদি মেয়ে হয়ে থাকেন তাহলে আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টি অর্জন করার পাশাপাশি যে সকল কাজ খরচ করতে বলা হয়েছে সেগুলো অবশ্যই পালন করুন।
অর্থাৎ আপনি আপনার জীবনে যেভাবে পরিচালিত করবেন ঠিক সেভাবে পরিচালিত হবে এবং দিনশেষে আল্লাহ পাক আপনাদেরকে এই কাজের পুরস্কার প্রদান করবেন। তাই ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী আপনার মনে যদি অনেক দুঃখ বা কষ্ট থেকে থাকে তাহলে সেই কষ্ট দুঃখ গুলোকে আল্লাহ পাকের কাছে মন খুলে বললে তিনি অবশ্যই আমাদেরকে মনের ভেতরে প্রশান্তি অথবা স্বস্তি প্রদান করবেন।
- রাগ মানুষের ঈমানকে নষ্ট করে, হিংসা মানুষের নেক আমলকে ধ্বংস করে, আর মিথ্যা মানুষের হায়াত কমিয়ে দেয়। – বিশ্বনবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ)
- তুমি জান্নাত চেওনা বরং তুমি দুনিয়াতে এমন কাজ কর যেন জান্নাত তোমাকে চায়। [হযরত আলী (রহঃ)]
- পৃথিবিতে সব চাইতে কঠিন কাজ হল নিজে সংশোধন হওয়া আর সব চাইতে সহজ কাজ হল অন্যের সমলোচনা করা। – (হযরত আলী রাঃ)
- মক্কার বাগানে ফোটিল এক ফুল,নাম রাখিল তার মুহাম্মদ রাসূল।সুবাস ছড়িয়ে গেল সারা বিশ্বে,আল্লাহ দিলেন তার মর্যাদা সবার শীর্ষে
- পথ হারা বান্দা আমি চাই যে আলোর দিশা মুছে দাও হে আল্লাহ সকল পাপের নিশা ক্ষমা ও ভালোবাসা তোমার অবদান তাইতো তোমার নাম রেখেছ রহিম রহমান।
- যে মেয়ে মাথায় কাপড় ছাড়া চলবে, কিয়ামতের দিন তার এক একটা চুল সাপ হয়ে তাকে কামড়াবে। [আল-হাদিস]
- মানুষের মধ্যে সর্বাপেক্ষা অক্ষম ঐ ব্যক্তি যে ব্যক্তি দোয়া করিতে অক্ষম, অর্থাৎ দোয়া করে না। – হযরত মুহাম্মাদ সাঃ
- এক এক করে যাচ্ছে চলে মাহে রমযান, কি করে দিবো আমি তার প্রতিদান। ক্ষমার আশায় আজও আমি তুলি দুই হাত। কবুল করো আল্লাহ তুমি আমার মোনাজাত।
- শত রহস্যে ঘেরা সংসারের এ রঙ্গমঞ্চে প্রতিনিয়তই বিবর্তন ঘটছে জীবন নাটকের দৃশ্যপট, কখন যে কার ভাগ্যে কোন অধ্যায়ের অভিনয়ের পালা আসে তা কি কেউ আগাম বলতে পারে? যিনি সবার অলক্ষ্যে থেকে সৃষ্টির প্রতিটা জিনিস নিয়ন্ত্রণ করছেন তিনি ব্যতিত সাধ্য কার তার কুদরতের ভেদ উন্মোচন করে।
- ধংস তার জন্য, যার আজকের দিনটা গতকালের চেয়ে উত্তম হলো না। — আল কুরআন
কষ্ট করে হলে ও একবার পড়ুন। জীবনে কতো মেয়ের সত্বীত্ব নষ্ট করেছেন, তবুও সতী মেয়ে খুজেন? কতো ছেলের সাথে সময় কাটিয়েছেন, তবুও চান আপনার স্বামী আপনাকে সময় দেবে? আজান শুনেছেন, নামাজে যান নি, তবুও মরার পর জান্নাত চান? দুনিয়ার ক্যরিয়ার বলে সব কিছু উজার করেছেন, আখেরাতের ক্যরিয়ারের কথা ভেবেছেন? এতো স্বার্থ নিয়ে চিন্তা করবেন না । আল্লাহ দুনিয়াতে কাউকে কিছুই বলে না। আখেরাতের দিনেই তিনি বলবেন,সেদিন কি করবেন? শুধু একটা পোষ্ট মনে করে লাইক দিয়েন না। অন্তত আজকে একটু ভাবুন তো আপনি কি রেখেছেন?
- ঐ সকল নারী জাহান্নামী, যারা কাপড় পরেও উলঙ্গ থাকে। – বিশ্বনবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ)
- পৃথিবীতে সেই সবচেয়ে কৃপন, যে মুসলমান অন্য মুসলমানকে সালাম দিতে কৃপনতা করে। – হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)
- এক এক করে যাচ্ছে চলে মাহে রমযান, কি করে দিবো আমি তার প্রতিদান। ক্ষমার আশায় আজও আমি তুলি দুই হাত। কবুল করো আল্লাহ তুমি আমার মোনাজাত।
- মৃত্যুর জন্য সর্বদা প্রস্তুত থাকো, কারণ মৃত্যুর দূত তোমার পিছনেই দাঁড়িয়ে আছে। তার ডাক দেবার পর আর প্রস্তুত হবার সময় থাকে না।
- নিজের হাতের উপার্জিত একটি রুটি অন্যের দয়ায় দেওয়া কোরমা পোলাওয়ের চাইতেও উত্তম।
- সে ব্যক্তি মুমিন নয়, যে নিজে তৃপ্তি সহকারে আহার করে, 10 অথচ তার প্রতিবেশী অনাহারে থাকে। (আল হাদিস)
- লা ইলাহা ইল্লালাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (সাঃ) 10 যে ব্যক্তি কালেমার দাওয়াত মানুষের কাছে পৌঁছে দিবে, আমি তাকে সাথে করে জান্নাতে নিয়ে যাবো। [বিশ্বনবী হযরত মোহাম্মদ (সঃ)]
- সম্পদ তোমাকে পাহারা দিতে হয়, কিন্তু জ্ঞান তোমাকে পাহারা দিয়ে রাখে। – হযরত আলী (রাঃ)
- একজন বেপর্দা নারী একটা ব্রেক ছাড়া গাড়ির মতো!! যেকোনো মূর্হূরতে আপনার জীবনকে ধ্বংস করতে পারে….
- জ্ঞানী ব্যক্তি আগে চিন্তা করে পরে কথা বলে, বোকা ব্যক্তি আগে কথা বলে পরে চিন্তা করে।
মানুষ যদি মৃত ব্যাক্তির আর্তনাদ দেখতে এবং শুনতে পেত তাহলে মানুষ মৃত ব্যাক্তির জন্য কান্না না করে নিজের জন্য কাঁদত।
হযরত মোহাম্মদ (সাঃ)
মানুষের মনের মধ্যে এমনভাবে নিজের জন্য জায়গা করে নাও যেন তুমি মরে গেলে তোমার জন্য তারা দুয়া করে আর বেঁচে থাকলে তোমাকে ভালবাসে।
হযরত আলী (রাঃ)
তাই এখন থেকে আপনারা অবশ্যই আল্লাহ পাকের দেখানো পথে নিজেদের জীবনকে পরিচালনা করুন এবং যদি মনের ভেতরে অনেক কষ্ট থাকে অথবা আবেগ থাকে তাহলে অন্তত এটা মনে রাখবেন নিশ্চয়ই কষ্টের মাঝেই স্বস্তি রয়েছেন। কারণ এখন আপনার যে কষ্ট সেই কষ্টের মাধ্যমে আপনি আল্লাহপাকের কাছে যদি ফিরে যান এবং আল্লাহ পাকের কাছে মনের কথাগুলো খুলে বলেন তাহলে দেখবেন যে সেখান থেকে আপনি আস্তে আস্তে হেদায়েত পেয়ে যাচ্ছেন। নিজের জীবনের খারাপ সময় গুলোতে আল্লাহপাকের জিকর আজগার এবং ইবাদত করার মাধ্যমে যখন সকল শান্তি খুঁজে পাবেন তখন মনে হবে এটাই আসল পথ এবং এটাই আসল জীবন।