আমরা যারা ইসলামিক নাম পছন্দ করি তাদের জন্যই এই আর্টিকেলটি সাজানো হয়েছে। ইসলাম হিসেবে আমরা আমাদের নবজাতক কন্যা অথবা পুত্র সন্তানের জন্য ইসলামিক নামই বেছে নেব।
আজকে আমরা একই আর্টিকেলে দুইটি অক্ষর দিয়ে মেয়েদের ইসলামিক নাম আপনাদের সামনে তুলে ধরবো।
আমাদের এই এক আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনারা আপনাদের পছন্দের দুইটি অক্ষর দিয়ে পেয়ে যাবেন ইসলামিক কন্যা সন্তানের নাম।
অনেক সময় কি হয়, মা নিজের নামের প্রথম অক্ষর দিয়ে নবজাতক সন্তানের জন্য নাম রাখতে চায়। অপরদিকে বাবা ও চায় তার সন্তানের নামের প্রথম অক্ষর তার নামের সঙ্গে মিল রেখে রাখা হোক। অনেক সময়ের উল্টোটা হয় বাবা চাই মায়ের অক্ষরের নাম এবং মা চায় বাবার অক্ষরের নাম। একটি সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর একটি দম্পতি সংসার জীবনের পূর্ণতা পায়। মা এবং বাবার যৌথ প্রচেষ্টায় বড় হয়ে ওঠে একটি সন্তান। সেই সন্তানের লালন-পালন থেকে শুরু করে সবকিছুতেই মা ও বাবার সমান গুরুত্ব থাকে।
একটি সন্তান জন্মের পর থেকে স্বাবলম্বী হওয়ার আগ পর্যন্ত বাবা-মা সব সময় সেই সন্তানকে শিক্ষা দেন। বাবা মা আজীবন সন্তানদের রক্ষক। সন্তান জন্মদানে মা এবং বাবা আনন্দে খুশিতে নিজের সন্তানের জন্য প্রথম উপহার হিসেবে নামটি দিয়ে থাকে। অনেকে আছে যারা সন্তানের জন্য দুইটা তিনটা নাম পছন্দ করে। বর্তমানে অধিকাংশ ছেলে-মেয়ের দুইটা তিনটা করে নাম থাকে। আপনার নামের প্রথম অক্ষর যদি “আ” হয় এবং আপনার জীবন সঙ্গিন এর নামের প্রথম অক্ষর যদি “ম” হয় তাহলে তো আমাদের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য একদম সঠিক। দুই অক্ষর দিয়েই আপনি আপনার কন্যা সন্তানের জন্য নাম পেয়ে যাচ্ছেন আমাদের এই আর্টিকেল থেকে।
প্রথমে আমরা ম দিয়ে ইসলামিক কন্যা সন্তানের কিছু নামের উদাহরণ দেখে নেব।
মোহনা ,মদিনা ,মরিয়ম।
মাহমুদা ,মজিনা ,মজিবা।
ময়না ,মাইমুনা ,মাইশা।
মালিহা, মিম, মতিনূর ।
মিলাদ ,মজিনা, মৌসুমী।
এই নামগুলো ম অক্ষর দিয়ে ইসলামিক কন্যা সন্তানের নাম গুলোর মধ্যে জনপ্রিয়। আপনারা চাইলে ম অক্ষর দিয়ে এই নাম গুলো মন থেকে যেকোনো একটি নাম বেছে নিতে পারবেন নিজের কন্যা সন্তানের জন্য। একটা কথা সবসময় মনে রাখবেন ইসলামিক নাম হোক কিংবা আধুনিক নাম ।যে কোন নাম বেছে নেওয়ার আগে সেই নামের অর্থকে বেশি প্রাধান্য দিতে হবে। কারণ নামের অর্থ অনেক সময় বিচার করা হয়। আপনার কন্যা সন্তান শিশু থেকে যুবতীতে পরিণত হবে।
আস্তে আস্তে আপনার কন্যা সন্তান বড় হবে। আপনি ও আপনার কন্যা সন্তানের জন্য বিবাহের প্রস্তাব গ্রহণ করবেন। যখন আপনার কন্যা সন্তানের বিবাহ দেওয়া হবে তখন অনেক সময় নামের অর্থকে কিন্তু গুরুত্ব দেওয়া হয়।
বিশেষ করে গ্রাম অঞ্চলে অনেক পরিবার রয়েছে যারা নামের অর্থ দিয়ে একটি মেয়ের জ্ঞান বুদ্ধিকে বিচার করে। এজন্য অবশ্যই আপনি যখন নাম রাখবেন তখন দেখবেন নামের অর্থটা যাতে সমৃদ্ধশালী হয়।
বর্তমানে আধুনিকতার যুগে, সবাই পশ্চিমা কালচারে গা ভাসিয়ে ধর্মীয় অনুশাসনকে প্রায় ভুলতেই বসেছে। আমরা ইসলাম জাতি আমরা সব সময় আমাদের ধর্মকে প্রশংসনীয় করে তোলার চেষ্টা করব। ধর্মে উল্লেখিত নৈতিক শিক্ষা দ্বারাই আমাদের সন্তানদের পরিচালিত হতে শেখাবো। এবং সন্তান জন্মের পর সন্তানকে উপহার হিসেবে আল্লাহ প্রদত্ত একটি ইসলামিক নামই উপহার দেব। ইসলামিক নাম পেয়ে আমরা নিজেকে ধন্য মনে করব। তাই মনে রাখবেন সব সময় যদি ইসলাম ধর্মের হয়ে থাকেন তাহলে ইসলামিক নামই বেছে নেবেন নিজের নবজাতকের জন্য।
এবার আরো একটি অক্ষর দিয়ে ইসলামিক কন্যা সন্তানের নাম আপনাদের সামনে শেয়ার করা হবে। দুটি অক্ষর দিয়েই আপনারা পেয়ে যাবেন এখানে ইসলামিক কন্যা সন্তানের নামের তালিকা।
আ অক্ষর দিয়ে শুরু ইসলামিক কন্যা সন্তানের নামের উদাহরণ:-
আরোহী ,আরবি ,আমিনা,
আলিয়া, আফিয়া, আফরোজা,
আরিফা ,আলফা, আসিফা,
আয়েশা ,আন্নিকা, আকলিমা,
আলমাহি ,আফরোজি ,আসমানী,
আহি, আঁখি, আলিবা ,আনিতা ,আনারকলি ইত্যাদি।
ইসলামিক নাম এবং আধুনিক নামের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। ইসলামিক নাম হল ইসলাম ধর্মে ব্যবহৃত শব্দ দিয়ে নাম রাখা। একটি নাম দিয়ে চিহ্নিত করা যায় সে কোন ধর্মের অধিকারী।