কন্যা সন্তান নিয়ে ইসলামিক উক্তি স্ট্যাটাস

কন্যা সন্তান আল্লাহ পাকের অত্যন্ত সুন্দর একটা নিয়ামত। তাই আপনারা কন্যা সন্তান যারা লাভ করেছেন তারা যদি সেই কন্যা সন্তানকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে পারেন এবং দ্বীনই শিক্ষা প্রদান করতে পারেন তাহলে দেখা যাবে যে সেই কন্যার মাধ্যমে আপনারা জান্নাতে যেতে পারবেন। তাই আপনাদের উদ্দেশ্যে কন্যা সন্তান নিয়ে ইসলামিক উক্তি প্রদান করলাম যেগুলো আপনারা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে স্ট্যাটাস হিসেবে প্রদান করতে পারেন। এখানকার এই কন্যা সন্তান নিয়ে ইসলামিক উক্তি যদি পড়েন তাহলে আপনাদের মন অনেক ভালো হয়ে যাবে এবং মনের দিক থেকে এক ধরনের প্রশান্তি অনুভব করতে পারবেন।

আমাদের সামাজিক ব্যবস্থা অনুযায়ী অনেকেই পুত্র সন্তানের কামনা করে থাকেন। কৃষিভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা অথবা ভবিষ্যতের ভরসার জায়গা থেকে যখন আপনি পুত্র সন্তানের আশা করবেন তখন যদি সেখানে আল্লাহপাক আপনার স্ত্রীর গর্ভে কন্যা সন্তান দান করে তাহলে অবশ্যই আপনারা সে বিষয়ে মনঃক্ষুণ হবেন না। কারণ আল্লাহপাকের প্রদান করা প্রত্যেকটা নিয়ামত অত্যন্ত সুন্দর এবং প্রত্যেকটা বিষয়ের জন্য আমাদেরকে আলহামদুলিল্লাহ জ্ঞাপন করতে হবে।

তাই পুত্র সন্তানের আশা করে যদি কন্যা সন্তান হয় তাহলে সে বিষয়ে মন খারাপ না করে আল্লাহ পাকের প্রতি শোকর গোজার করতে হবে। তাছাড়া আমাদের সমাজে যে সকল ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে যে কন্যা সন্তানের কারণে মায়েদের দোষ রয়েছে তাদের বলবো যে একমাত্র পিতার কারণেই কন্যা সন্তান নাকি ছেলে সন্তান হবে তা নির্ভর করে। তবে আপনাদের যদি বিশেষভাবে কন্যা সন্তান প্রয়োজন হয় অথবা পুত্র সন্তানের প্রয়োজন হয় তাহলে প্রতিনিয়ত মহান আল্লাহ পাকের কাছে দোয়া করতে পারেন। কারণ আপনার ভাগ্য একমাত্র দোয়ায় পরিবর্তন করতে পারে।

স্বাভাবিকভাবে যে সময়গুলোতে দোয়া কবুল হয় সে সময় গুলোতে যদি আমরা মন খুলে আল্লাহপাকের দরবারে হাত তুলে দোয়া করি এবং হালাল জিনিস চাই তাহলে আল্লাহ পাক আমাদের দোয়ার বদৌলতে সেগুলো প্রদান করবেন। আর যদি প্রদান করে নাও থাকেন তাহলে আপনাদেরকে শুকরিয়া আদায় করতে হবে যে আল্লাহ পাক উত্তম পরিকল্পনাকারী। তবে যাই হোক কন্যা সন্তান সম্পর্কিত যারা ইসলামিক উক্তি পড়তে এসেছেন অথবা সংগ্রহ করতে এসেছেন তাদের উদ্দেশ্যে আমরা এই উক্তি প্রদান করলাম বলে এগুলো পড়ে দেখলেই আপনাদের মনের ভেতরে শান্তি লাগবে।

যারা ইসলামিক ধর্ম মেনে চলেন এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ থেকে শুরু করে অন্যান্য যাবতীয় ইবাদতে নিজেদেরকে মশগুল রাখেন তাদের কাছে কন্যা সন্তান অথবা পুত্র সন্তান কোন ব্যাপার নয়। তবে প্রত্যেকের ভেতরেই এক ধরনের আশা থাকে যে পরিবারে কন্যা সন্তান এবং পুত্র সন্তান উভয়ে থাকলে সকল ধরনের শান্তি পাওয়া যাবে। যেহেতু মহান আল্লাহ পাক উত্তম পরিকল্পনাকারী সেহেতু আমরা এ বিষয়ে কোন দোষারোপ কাউকে করতে যাব না।আল্লাহ পাক আমাদের জীবনে যা দান করেছেন তার জন্য আমাদেরকে শুকরিয়া জ্ঞাপন করতে হবে এবং সকল কিছুর জন্য আলহামদুলিল্লাহ বলতে হবে।

তাছাড়া যাদের কন্যা সন্তান হয়েছে এবং আপনারা যদি কন্যা সন্তান পছন্দ করে থাকেন তাহলে তো আপনাদের মন অনেক ভালো হয়ে যাবে। কন্যা সন্তানকে অবশ্যই আপনারা দ্বীনই শিক্ষা প্রদান করবেন এবং পর্দা মেনে চলার শিক্ষা দিবেন। বর্তমানে সমাজে আপনাদের কন্যা কোথায় গিয়ে নিজেদেরকে উদ্ভাসিত করার মধ্য দিয়ে সকলের কাছে পরিচিত হবে এরকম মানসিকতা রয়েছে। কিন্তু আল্লাহপাক মেয়েদের পর্দা করার বিধান চালু করেছেন এবং এই পর্দা করে অবশ্যই বাইরে চলাফেরা করতে হবে যা একজন পিতা-মাতার এ বিষয়ে শিক্ষা দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব।

তাই আপনার যদি কন্যা সন্তান থাকে তাহলে তাদেরকে কোরআনের শিক্ষা এবং ইসলামের শিক্ষা প্রদান করার পাশাপাশি কিভাবে জীবনে চলাফেরা করলে আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টি অর্জন করা যায় তা জানিয়ে দেবেন। তবে এগুলো জানিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি আপনারা যদি পরিবারে একটি ইসলামিক পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারেন তাহলে সেটার দ্বারা কন্যা সন্তানেরা অনেক ভালো শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবে এবং সেই অনুযায়ী পিতা-মাতার আদর্শ নিজেদেরকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে পারবে।

Leave a Comment