আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের ওয়েবসাইটের আজকের আর্টিকেলটিতে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর বিভিন্ন বাণী এবং হাদিস সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। তাছাড়া এখানে বিভিন্ন ধরনের ইসলামিক উক্তি আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। তাই আপনি যদি বিভিন্ন ইসলামিক উক্তি সম্পর্কে জানতে চান অথবা হযরত মুহাম্মদ সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই আর্টিকেলটি পড়তে পারেন। আশা করি আপনার অনেক ভালো লাগবে এবং এ সকল বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য লাভ করার মাধ্যমে উপকৃত হবেন। তাছাড়া ইসলামিক সুন্দর উক্তি পড়ার মাধ্যমে আপনার মন ভালো হয়ে যাবে। তাহলে চলুন দেরি না করে শুরু করা যাক।
ইসলাম ধর্মের সর্বশ্রেষ্ঠ নবী এবং রাসূল ছিলেন হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) তিনি ছিলেন আল্লাহ তায়ালার প্রেরিত পুরুষ ও বান্দা। তিনি ছিলেন আল্লাহর বন্ধু। তার সম্পর্কে লেখা আসলে সম্ভব নয় বা তার গুণাবলীর কথা বলে শেষ করা সম্ভব নয়। তিনি ইসলামের জন্য নিবেদিত প্রাণ ছিলেন এবং ইসলামকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য সর্বপ্রকার ত্যাগ স্বীকার করেছেন। বিভিন্নভাবে অত্যাচারিত হয়েছেন। অনেক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। মাতৃভূমি ত্যাগ করতে হয়েছে তবুও তিনি ইসলামের বিরোধিতা করেননি। তিনি যদি একবার ইসলাম ত্যাগ করতেন তাহলে কাফেররা তাকে বিভিন্ন প্রাচুর্য দিয়ে ভরিয়ে দেওয়ার মতো অফার করতেন। তবু তিনি ইসলামের পক্ষ ত্যাগ করেননি। তিনি বলেছিলেন আমার এক হাতের সূর্য এবং এক হাতে চন্দ্র এনে দিলেও আমি ইসলাম থেকে পিছপা হবো না।
মূলত মুসলিম ব্যক্তিদের জন্য যা কিছু প্রয়োজন, যা কিছু করলে আল্লাহ তায়ালা খুশি হবে বা সন্তুষ্ট হবে সেই সবকিছুর বিষয়ে ইসলামে বিভিন্ন বর্ণনা রয়েছে। বিশেষ করে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর বিভিন্ন বিষয় বিভিন্ন হাদিস গ্রন্থ রেখে গেছেন। কোনো মুসলিম ব্যক্তি যদি সকল হাদিসগুলো পড়ে তাহলে ইসলাম ধর্মের যাবতীয় বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবে। তাছাড়া একজন ব্যক্তির জীবনে যেকোন কিছু সমাধান পেতে হলে কোরান ও হাদিসের আলোকে সেই সমাধান গুলো দেখা উচিত সমাধান গুলো পেয়ে যাবে। মূলত ইসলাম ধর্মে এমন কোনো বিষয় বর্ণনা করা হয়নি যে সকল বিষয় মানব জাতির জন্য প্রয়োজনীয়তা। মানবজাতির হেদায়েতের জন্য যেসব কিছু প্রয়োজন তার সব কিছুর বর্ণনা ইসলাম ধর্মীয় গ্রন্থ এবং হাদিস গ্রন্থে আলোকপাত করা হয়েছে।
এছাড়া ইসলামিক সুন্দর সুন্দর উক্তি রয়েছে। যেই উক্তিগুলো পড়লে ইসলাম সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয় জানা যায় এবং ইসলাম সম্পর্কে নানা ধরনের বিষয় জানতে পেরে জ্ঞান অর্জন করা যায়। আপনি যদি ইসলামিক উক্তি সম্পর্কে জানতে চান, তাহলে এই আর্টিকেলটি পড়তে পারেন। কেননা এই আর্টিকেলটিতে ইসলামিক সুন্দর সুন্দর উক্তিগুলো উপস্থাপন করা হয়েছে। এই উক্তিগুলো পড়লে আপনার ভালো লাগবে বলে আশা করছি। তাছাড়া ইসলামিক উক্তিগুলো অনেকটা মানসিক শান্তিতেও সাহায্য করে। ইসলামের প্রতি ভালোবাসা তৈরি করতে সাহায্য করে। তাই আপনি যদি মন থেকে ইসলাম ধর্ম পালন করে থাকেন এবং ইসলামের প্রতি ভালোবাসা থাকে, তাহলে অবশ্যই ইসলামিক উক্তিগুলো আপনার খুব বেশি ভালো লাগবে।
১.জান্নাতের চাবি হলো – ‘ আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নাই ’ এ সাক্ষ্য দেয়া । ( আহমদ )
শব্দার্থ : ‘ ইলাহ’ মানে হুকুমকর্তা , আইনদাতা , আশ্রয়দাতা, ত্রাণকর্তা, উপাস্য, প্রার্থনা শ্রবণকারী।
২.আল্লাহ সুন্দর ! তিনি সৌন্দর্যকেই পছন্দ করেন। [ সহীহ মুসলিম ]
৩. শ্রেষ্ঠ কথা চারটি :
ক. সুবহানাল্লাহ – আল্লাহ পবিত্র ,
খ. আল হামদুলিল্লাহ – সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর ,
গ. লা – ইলাহা ইল্লাল্লাহ – আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নাই,
ঘ. আল্লাহু আকবর – আল্লাহ মহান। [ সহীহ মুসলিম ]
আল্লাহর অধিকার
৪. বান্দাহর উপর আল্লাহর অধিকার হলো , তারা কেবল তাঁরই আনুগত্য ও দাসত্ব করবে এবং তাঁর সাথে কোনো অংশীদার বানাবেনা । [ সহীহ বুখারী ]
ঈমান
৫.বলো : ‘ আমি আল্লাহর প্রতি ঈমান এনেছি ; অতপর এ কথার উপর অটল থাকো । [ সহীহ মুসলিম ]
৬. ঈমান না এনে তোমরা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবেনা। [ তারগীব ]
৭. যে কেউ এই ঘোষণা দেবে : ‘ আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নাই আর মুহাম্মদ সাঃ আল্লাহর রসূল ’ – আল্লাহ তাকে জাহান্নামের জন্যে নিষিদ্ধ করে দেবেন।[ সহীহ বুখারী ]
ঈমান থাকার লক্ষণ
৮. তুমি মুমিন হবে তখন , যখন তোমার ভালো কাজ তোমাকে আনন্দ দেবে , আর মন্দ কাজ দেবে মনোকষ্ট। [ আহমদ ]
ইসলাম
৯. সব কাজের আসল কাজ হলো ‘ ইসলাম’ । [ আহমদ ]
১০. কোনো বান্দাহ ততোক্ষণ পর্যন্ত মুসলিম হয়না , যতোক্ষণ তার মন ও যবান মুসলিম না হয়। [ তাগরীব ]
পবিত্রতা
১১. পবিত্রতা ঈমানের অর্ধেক। [ সহীহ মুসলিম ]
১২ . যে পূত পবিত্র থাকতে চায় , আল্লাহ তাকে পূত পবিত্র রাখেন। [ সহীহ বুখারী ]
সালাত
১৩. সালাত জান্নাতের চাবি। [ আহমদ ]
শব্দার্থ : সালাত – নামায । জান্নাত – বেহেশত।
১৪ . সালাত হলো ‘ নূর’ । [ সহীহ মুসলিম ]
১৫. সালাত আমার চক্ষু শীতলকারী । [ নাসায়ী ]
১৬. পবিত্রতা সালাতের চাবি । [ আহমদ ]
১৭. সালাত মুমিনদের মি’রাজ । [ মিশকাত ]
শব্দার্থ : মি’রাজ মানে – উর্ধ্বে গমন করা বা আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করা।
১৮. যে পরিশুদ্ধ হয়না , তার সালাত হয়না। [ মিশকাত ]
১৯. সাত বছর বয়স হলেই তোমাদের সন্তানদের সালাত আদায় কতে আদেশ করো । [ আবু দাউদ ]
২০. কিয়ামতের দিন পয়লা হিসাব নেয়া হবে সালাতের । [ তাবরানি ]
২১ . আল্লাহর অনুগত দাস আর কুফরীর মাঝে মিলন সেতু হলো সালাত ত্যাগ করা । [ সহীহ মুসলিম ]
২২ . যে ব্যক্তি লোক দেখানোর জন্যে সালাত পড়লো , সে শিরক করলো । [ আহমদ ]
তাছাড়া মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর বাণী গুলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ এবং বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে। তাছাড়া মহানবী (সাঃ) মানুষ জাতির জন্য উপকারী সেইসব বিষয়গুলো হাদিসের মাধ্যমে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছেন। তাই প্রত্যেকটি মুসলমান ব্যক্তির উচিত মহা নবীর বাণী বা হাদিস গুলোকে পড়া এবং এই বিষয়গুলো মেনে চলা। যদি কোনো মুসলমান ব্যক্তি মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর বাণী গুলো পড়েন এবং ইসলামিক বিভিন্ন উক্তিগুলো পড়েন তাহলে অনেক বিষয় জানতে পারবেন এবং জানার মাধ্যমে উপকৃত হবেন। তাই আপনিও চাইলে আমাদের আজকের আর্টিকেলটিতে দেওয়া মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর বাণী গুলো পড়তে পারেন এবং ইসলামিক সুন্দর সুন্দর উক্তিগুলো পড়তে পারেন। আশা করি এই ইসলামিক উক্তিগুলো এবং মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর বাণী আপনার অনেক ভালো লাগবে।