আপনারা যদি ইসমে আজম এর নামাজ আদায় করতে চান অথবা এই আমল করতে চান তাহলে অবশ্যই আমরা আপনাদেরকে এটার বিষয়ে যে সকল দোয়া বা ছবি রয়েছে সেগুলো প্রদান করব। বাস্তবিক জীবনে আমাদের মনে অনেক রকমের হালাল চাহিদা রয়েছে এবং এই হালাল চাহিদা গুলো পূরণ করার ক্ষেত্রে অনেক সময় আল্লাহ পাক উত্তম সময় উত্তম প্রতিদান দান করেন। তবে এই উত্তম প্রতিদান পেতে আপনার যদি আল্লাহ পাকের কাছে দোয়া করার প্রয়োজন হয় তাহলে ইসমে আজমের মাধ্যমে দোয়া করতে পারেন।
মহান আল্লাহপাক বিভিন্ন নামে ডাকলে খুশি হয়ে থাকেন বলে আমরা জানি। তাই আল্লাহপাকের সুন্দর নাম সমূহ ধরে ডাকার মাধ্যমে যখন আমরা ইসমে আজমের আমল করব এবং আমাদের মনের হালাল চাহিদা গুলো পূরণ করার জন্য দোয়া করব তখন আল্লাহ পাক অবশ্যই আমাদের এই সকল ইবাদতের মাধ্যমে রাজি খুশি হবেন। তাই আপনারা যখন ইসমে আজম সম্পর্কিত তথ্য জানতে চাইবেন অথবা এই আমলের ক্ষেত্রে কোন দোয়া পড়া লাগতে পারে তা জানতে চাইবেন তখন অবশ্যই আমরা আপনাদের জানিয়ে দিতে পারলে অনেকটাই উপকৃত হতে পারবেন।
মহান আল্লাহপাকের পবিত্র নাম ধরে ডাকলে অথবা ইসমে আজমের নাম ধরে ডাকলে আল্লাহ পাক কবুল করবেন এবং এই বিষয়ে আমরা হাদিস জেনেছি। বস্তুত পক্ষে এই পৃথিবীর বুকে চলাফেরা করার ক্ষেত্রে আমাদের অনেক রকমের চাহিদা রয়েছে এবং আল্লাহ পাকের রহমতের মাধ্যমে আমরা এই পৃথিবীর বুকে বেঁচে আছি। কেউ যদি মনে করে আমরা ইবাদত করি বলে আল্লাহ পাক আমাদেরকে খেতে দেন অথবা আমাদের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন তাহলে ভুল জেনে বসে আছেন। একমাত্র আল্লাহ পাকের রহমত আছে বলেই এই পৃথিবীর বুকে আমরা বিচরণ করতে পারছি।
তাই নিজের উদ্দেশ্য সফল করার চাইতে আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টি অর্জন করাটাই প্রধান উদ্দেশ্য। দিনের পর দিন আপনি যদি শুধু আপনার মনের ইচ্ছা গুলো খুলে বলেন তাহলে দেখা যাবে যে সেগুলো দ্বারা দোয়া কবুল নাও হতে পারে। কিন্তু আল্লাহপাককে যদি খুশি করাতে পারেন তাহলে সেটা অবশ্যই ভালো হবে এবং এই ক্ষেত্রে দোয়া কবুলের বেশ কিছু শর্ত রয়েছে। বিশেষ করে দোয়া কবুল করার জন্য হালাল খাদ্য গ্রহণ করার পাশাপাশি বেশি বেশি ইস্তেগফার পাঠ করতে হবে এবং দরুদ শরীফ পাঠ করতে হবে।
খুব সহজ আমল হয়ে থাকলেও আমরা এগুলো অনেক সময় করি না এবং শুধু নামাজের সময় মোনাজাতে সাহায্য চেয়ে থাকি। কিন্তু আপনি আপনার দুনিয়ার জীবনে চলার পথে যে সকল ভুল ভ্রান্তি করে এসেছেন সেগুলোর জন্য ইস্তেগফার করতে করতে এমন একটা সময় পৌঁছাবে যখন আপনার কোন ভুল ভ্রান্তি থাকবে না এবং সেই ইস্তেগফার সওয়াবে পরিণত হবে। তাই প্রত্যেকটা সময় আমাদেরকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করার পাশাপাশি অন্যান্য ইবাদত করতে হবে এবং অপসার সময়ে দুনিয়াবী কাজের পেছনে না ছুটে যদি আমরা আখিরাতের জন্য ভেবেচিন্তে কাজ করতে পারি তাহলে সেটা আমাদের জন্যই ভালো হবে।
আমাদের আল্লাহ পাক যেমন দিয়েও পরীক্ষা করেন তেমনিভাবে বিভিন্ন জিনিসের অভাব দিয়েও পরীক্ষা করে থাকেন। তাই যে সকল জিনিসগুলো আপনার জীবনে প্রয়োজনীয় এবং সেই জিনিসগুলো যদি হালাল হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আল্লাহ পাকের কাছে মনের ইচ্ছা পূরণের জন্য ইসমে আজমের মাধ্যমে আমল করতে পারেন। ইসমে আজম এর মাধ্যমে আমল করতে হলে আপনাকে বেশ কিছু দোয়া জানতে হবে অথবা এখানে যে সকল দোয়া আমল করা হয় সেগুলো জেনে নিয়ে সঠিকভাবে এটা করতে হবে।
তাই আপনাদের জন্য ইসমে আজমের আমল সম্পর্কিত তথ্যগুলো দিয়ে দেওয়া হলো এবং এখানে আপনারা এই দোয়াগুলো ছবি আকারে পেয়ে যাচ্ছেন। এই দোয়া আপনারা খুব সুন্দর ভাবে কাজে লাগাতে পারেন এবং আশা করি যে আপনাদের উদ্দেশ্যে এগুলো আমরা প্রদান করলাম বলে সেটা আপনাদের ইবাদত করতে অনেক সুবিধা হবে। তাই যেকোনো ধরনের ইবাদত করার ক্ষেত্রে অবশ্যই আমরা আনুগত্যের সঙ্গে এবং পূর্ণ ইখলাসের সঙ্গে যদি করি তাহলে অবশ্যই আল্লাহ পাক আমাদের দোয়াগুলো কবুল করে নিবেন।