বাঙালি মেয়েদের অবসর সময়ে কাঁথা তৈরি করার প্রচলন রয়েছে। যদিও শহরে এই ধরনের কোন প্রচলন নেই তারপরও গ্রামের মহিলারা অধিকাংশ সময় গৃহস্থালির কাজ শেষ করে অথবা বাড়ির কাজ শেষ করে অবসর সময় কাথা সেলাই করতে বসেন। তারা যেমন সোজাসুজি সেলাই করা কথা তৈরি করতে পারেন তেমনি ভাবে বিভিন্ন ধরনের নকশি কাঁথার ডিজাইন অনুসরণ করতে পারেন। তবে কালের বিবর্তনে এ সকল শিল্প হারিয়ে যেতে বসেছে। তারপরও যারা মনে করছেন অবসর সময়ে বসে থাকার চাইতে কাথার ডিজাইন অনুযায়ী সুন্দরভাবে কাথা সেলাই করবেন তাদের উদ্দেশ্যে আমরা এখানে বেশ কিছু ডিজাইনের ছবি প্রদান করলাম।
একটা সময় আমাদের মা অথবা দাদীদের বাড়ির কাজ শেষ করে করার মত কিছুই ছিল না। দৈনন্দিন জীবনের রান্না খাওয়া অথবা বাড়ি পরিষ্কার করার কাজ ব্যতীত যখন ফাঁকা সময় পেতো তখন তারা কাঁথা সেলাই করতে বসতো। যদিও একটি কথা সেলাই করতে কয়েক মাস সময় লেগে যেত তারপরেও তারা অবসর সময় পেলেই কাঁথা সেলাইয়ের কাজে মনোযোগ দিত। কিন্তু সত্যি বলতে এটাই যে, আকাশ সংস্কৃতি আসার পর থেকে এখন নারীরা বিভিন্ন ধরনের সিরিয়ালে আসক্ত। তাদের অবসর সময় গুলো নাটক দেখতে দেখতে সময় চলে যাই।
তাই এ ধরনের সৌখিন জিনিস এর প্রতি তাদের আর আগ্রহ নেই।তাছাড়া গ্রাম পর্যায়ে বর্তমান সময়ে ইন্টারনেট পৌঁছে যাওয়ার কারণে অধিকাংশ নারীরা ইন্টারনেটে আসক্ত হয়ে গিয়েছে অথবা তারা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে একটিভ হয়ে গিয়েছে। আবার অনেকের চোখের সমস্যা থাকার কারণে ঠিকমতো কাঁথা সেলাই করতে পারেন না। তবে আগেকার দিনের এই যোগাযোগ ব্যবস্থা অথবা ইন্টারনেটের সুযোগ সুবিধা না থাকলেও মানুষের মধ্যে যে বন্ডিং থাকত সেটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তবে যাই হোক আপনি যেহেতু কাতার ডিজাইন অনুসরণ করতে এসেছেন অথবা কাতার ডিজাইন পাওয়ার জন্য এখানে ভিজিট করেছেন সেহেতু আপনাদের উদ্দেশ্যে বেশ কিছু নকশী কাথার ছবি ডিজাইন আকারে প্রদান করা হলো। আপনারা এই ডিজাইনগুলো বাস্তবিক জীবনে ব্যবহার করতে পারলে খুবই সুন্দর দেখাবে এবং এই ডিজাইনগুলো অনুযায়ী কাথা সেলাই করতে পারলে খুব সুন্দর ভাবে তা ফুটে উঠবে। তাই কাথার ডিজাইন গুলো আমরা আপনাদের উদ্দেশ্যে ছবি আকারে প্রদান করছি এবং এই ডিজাইনগুলো অনুযায়ী আপনারা হাতে তৈরি নকশার মাধ্যমে যেমন ফুটিয়ে তুলতে পারবেন তেমনি ভাবে ছাপ দিয়ে এটা ফুটিয়ে তুলতে পারেন।
কাথার ফুল ডিজাইন ছবি
অনেকে আছেন কাঁথার উপরে ফুলের ডিজাইন দিতে পছন্দ করেন অথবা বিভিন্ন ধরনের সুন্দর সুন্দর ডিজাইন দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। খোঁজ নিলে দেখা যাবে যে গ্রামের অনেক জায়গায় এখন কাঁথার উপরে ছাপ দেওয়ার প্রচলন রয়েছে। অর্থাৎ কাঁথার উপরে আপনি কি ধরনের ফুলের ছাপ দিতে চান সেটা তাদের কাছে আছে এবং সেই ছাপ দেওয়ার ক্ষেত্রে আপনাদেরকে কিছু টাকা প্রদান করতে হয়। তাই কাথার উপর যখন ফুলের ডিজাইন প্রদান করতে চাইবেন তখন কেমন ধরনের ফুল দিলে ভালো হয় অথবা কেমন ধরনের ফুল দিলে সেটা সেলাই করতে সুবিধা হবে তা আমাদের ওয়েবসাইটের প্রদান করা ছবির মাধ্যমে দেখে নিন।
কাথার নকশা
গ্রাম পর্যায়ে এখনো অনেক মানুষ রয়েছেন যারা কাঁথা সেলাই করে থাকেন। আর নারীদের এ সকল বিষয়ে আগ্রহ রয়েছে বলেই অথবা কাঁথা সেলাই করে বিক্রি করার প্রচলন রয়েছে বলে বিভিন্ন জায়গায় কাতার উপরে নকশা দেওয়া যায়। অর্থাৎ ভেতরে পুরাতন কাপড় ব্যবহার করে নকশা দেওয়ার জন্য এক রঙের একটি কাপড় দিয়ে ঢাকনা দিতে হয়। তারপরে আপনাদের পছন্দ অনুযায়ী খুব সুন্দর ডিজাইনের নকশা গুলো সেখানে চাপ দিয়ে নিতে পারলে সেই ছাপের উপর দিয়ে আপনারা সেলাই করতে পারবেন।
তাই বর্তমান সময়ে আমরা যদি অহেতুক সময় নষ্ট না করি অথবা অন্যান্য বিষয়ে আসক্ত না হয়ে এ ধরনের সৃজনশীল কাজে মনোযোগী হতে পারে তাহলে দেখা যাবে যে আমাদের মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। সেই সাথে আমরা প্রাচীন ঐতিহ্য ধরে রাখার চেষ্টা করতে পারব এবং বাঙালিয়ানা আমাদের ভেতরে বিরাজ করবে। তাই নিচের দিক থেকে আপনারা কাথার বিভিন্ন ধরনের ফুলের ডিজাইন ছবি আকারে অথবা পিকচার আকারে সংগ্রহ করে নিন।