হ্যালো ভিউয়ার্স আজকে আমরা আপনাদের পরিচিত একটি ফুল কেয়া ফুল সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানাবো। আপনারা যারা কেয়া ফুলের ছবি দেখতে চান তারা আমাদের এই আর্টিকেলটিতে কেয়া ফুলের ছবি সহ এই ফুলের উদ্ভিদ এবং ফল এবং কেয়ার বিখ্যাত ঠেসমূল সব কিছুরই ছবি দেখতে পাবেন।
বাংলাদেশে কেয়া ফুল অতি পরিচিত একটি ফুল। কিন্তু বর্তমানে এই কেয়া ফুল কিন্তু সচরাচর দেখতে পাওয়া যায় না। তাই আমরা বর্তমান জেনারেশনের মানুষজন কিন্তু কেয়া ফুলের সঙ্গে সম্পূর্ণ অপরিচিত। কেয়া ফুলের সম্পর্কে যারা জানতে চাই তাদের জন্য আজকে আমাদের এই প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। এখানে আমরা কেয়া ফুলের ছবি সহ কেয়া উদ্ভিদের বর্ণনা আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
রবীন্দ্রনাথের কবিতায় সেই কেয়া ফুলের বর্ণনা। কেয়ার অপরূপ সুন্দর যে মুগ্ধ সকল কবিরা। কেয়া ফুল রূপের বর্ণনায় কতই প্রাকৃতিক দৃশ্যগুলোকে উপলব্ধি করা হয়েছে। রচনা হয়েছে কেয়া ফুল কে নিয়ে অনেক কবিতা। কেয়া না ফুটলে কি বর্ষা হয়; এই প্রবাদের গুণে কেয়াকে সাধারণত বর্ষার ফুল বলা হয়। তবে জ্যৈষ্ঠ্যের শেষভাগ থেকে এ ফুল ফুটতে শুরু করে।
শুভ্রতা ও সুগন্ধের জন্যই কেয়া সবার মন জয় করেছেকেয়া গুল্মজাতীয় উদ্ভিদ। শুভ্রতা ও সুগন্ধের জন্যই কেয়া সবার মন জয় করেছে। এ ফুল লম্বায় ৩ থেকে-৪ মিটার হয়ে থাকে। এ গাছের কাণ্ড গোলাকার এবং কাঁটাযুক্ত।এই গাছের পাতা কাণ্ড থেকে সরাসরি পত্রমূল ছাড়াই বের হয়। পাতার গোড়া কাণ্ডের সাথে জড়িয়ে থাকে।পাতার অগ্রভাগ সরু এবং মাটির দিকে অবনত থাকে। পাতার রঙ সবুজ এবং উভয় তল মসৃণ।আশ্বিন কার্তিক মাসে গুচ্ছাকার ফল হয়।কেয়া ফুল থেকে সুগন্ধী তেল তৈরি করা হয় যা কেওড়া তেল নামে পরিচিত। এই গাছ বাংলাদেশসহ ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মায়ানমার, জাপান প্রভূতি দেশে প্রচুর জন্মে।
কেয়া ফুল বর্ষা কালের ফুল। বর্ষাকালে নদীর ধারে অথবা জঙ্গলে কেয়া ফুলের গাছ জন্মতে দেখা যায়। সাদা রঙের অপরূপ সৌন্দর্য ফুল কিন্তু বর্তমানে কেয়া ফুল আগের মতো দেখা যায় না। দিন দিন এই উদ্ভিদ টি কোথায় যেন হারিয়ে যাচ্ছে।গাছটির কাণ্ড হয় গোলাকার এবং কাটাযুক্ত। সেই কাণ্ড থেকেই গাছের শাখা-প্রশাখা বের হয়।
কেয়া পাতা লম্বাটে চিরল। অগ্রভাগ সরু, মাটির দিকে পাতাগুলো অবনত অবস্থায় থাকে। পাতার কিনারে করাতের মতো কাঁটা থাকে, অনেকটা আনারস গাছের পাতার মতো। পাতার রঙ হয় সবুজ। কেয়া পাতার উভয় তল মসৃণ।
কেয়া পাতা সরাসরি গাছের কাণ্ড থেকে বের হয়, পত্রমূল ছাড়াই। এবং পাতার গোড়ার অংশ কাণ্ডের সাথে জড়িয়ে থাকে।
কেয়া গাছের নিম্নদেশ থেকে মোটা শাখা পর্যন্ত বেশ কিছু মূল বের হয়ে মাটিতে ভিত সৃষ্টি করে। এই মূলগুলোকে বলা হয় ঠেস মূল। এগুলো গাছের কাণ্ডকে দৃঢ়ভাবে মাটির সঙ্গে আবদ্ধ করে রাখে এবং গাছের ভার বহনে সাহায্য করে।
কেয়া পরস্পরের সঙ্গে জড়াজড়ি করে বেড়ে ওঠে এবং সেখানে একটি দুর্গম পরিবেশ সৃষ্টি করে।
সুন্দরবন, সেন্ট মার্টিন দ্বীপ বা যেকোন লবণাক্ত অঞ্চলে এই গাছ জন্মায়। আগে সব জায়গায় এই ফোন জন্ম তো কিন্তু এখন সমুদ্র অঞ্চলে লবণাক্ত পরিবেশে এটি জান্নাতে দেখতে পাওয়া যায়। সাধারণ পরিবেশে কেয়া ফুলের গাছ দেখতে পাওয়া যায় না বললেই চলে।
গাছে কেয়া ফুল হতে দেখা যায়। আষাঢ়-শ্রাবণ মাসে এই ফুল ফোটে। তাই বাংলাদেশে কেয়া ফুলকে বর্ষার ফুল বলা হয়।ফুলের রঙ সাদা এবং সুগন্ধযুক্ত। এর থেকে সুগন্ধিও তৈরি করা হয়।যার ব্যবহার চলে আসছে সেই প্রাচীন কাল থেকে।ফুলের পর গাছে আসে কেয়া ফল। অনেকে একে হালা ফলও বলে থাকে।আশ্বিন-কার্তিক মাস চলাকালে কেয়ার ফল হয়। এগুলো গুচ্ছাকারের হয়ে থাকে।
ফলের গাত্র বেশ শক্ত হয়ে থাকে। কাঁচা অবস্থায় হলুদাভ সবুজ বর্ণের হলেও পাকলে কেয়া ফলের রঙ হয় কমলা, পীত কিংবা ধূসর। দূর থেকে দেখলে কেয়া ফলকে আনারসের মতো মনে হয়।ফলটি দেখতে অনেকটা আনারসের মতো। ছবি সহ কেয়া ফুলের সমস্ত বর্ণনা আমরা এই প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করেছি।