ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ছবি হিন্দু ধর্মের প্রত্যেকটি মানুষের প্রিয় ছবি। নিজেদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন থেকে শুরু করে ঘরের দেওয়ালেও কিন্তু সবাই ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ছবি রাখতে ভালোবাসেন। প্রত্যেক হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বাড়িতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গির ছবি কিন্তু দেখতে পাওয়া যায়। কতই না সুন্দর অপরূপ শ্রীকৃষ্ণের ছবিগুলো আপনারা পেয়ে যাবেন আমাদের এই আর্টিকেলে।
নতুন সব মনোমুগ্ধকর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ছবি আপনারা আমাদের এই আর্টিকেল থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন। তাহলে আমরা প্রথমেই ভগবান শ্রীকৃষ্ণের সব ছবিগুলো দেখব তারপর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ সম্পর্কে অনেক তথ্য অনেক গল্প জানবো।আমাদের এই আর্টিকেলে আমরা ২০০ প্লাস অর্থাৎ ২০০ এর বেশি ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ছবি আপলোড করে রেখেছি। সুন্দর সুন্দর আপডেট এই ছবিগুলো পেতে আমাদের এই আর্টিকেলটি খুবই সুন্দর।
ভগবান শ্রীকৃষ্ণ হিন্দু ধর্মের প্রধান ভগবান। তিনি এক এবং অদ্বিতীয়। তিনি শ্রেষ্ঠ অবতার। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্ম হয়েছিল কংসের মত দুষ্টের দমন করে সৃষ্টির পালন করার জন্য। মথুরার রাজা ছিলেন কংস। কংস ছিলেন একটি অত্যাচারী রাজা। প্রজাদের অত্যাচার করতেন। কংসের রাজত্বে যখন সারা জগতের প্রাণীর অস্তিত্ব কষ্টে হাহাকার করছিল তখন সবার সেই কষ্ট দূর করার জন্যই অবতার রূপে জন্মগ্রহণ করেছিলেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তার লীলাখেলা এবং তার অলৌকিক কর্মকাণ্ডের জন্য হিন্দু ধর্মে শ্রেষ্ঠ ভগবান হিসাবে গণ্য।
তিনি হলেন সকলের দুঃখ দূর করে সবার মুখে হাসি ফোটানোর দেবতা। আমরা যখনই বিপদে পড়ি এবং আমাদের মনে যখন শান্তির অভাব ঘটে তখন চোখ বন্ধ করে ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে স্মরণ করলে তিনি মনের সব দুঃখ কষ্ট শান্ত করে দেন। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ভক্ত সংখ্যা অনেক তিনি সবার আর্তনাদ শোনেন। সবার প্রার্থনা তিনি শুনতে পান। শুধু মন থেকে ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে মনে করতে হবে তাকে স্মরণ করতে হবে তাহলে তিনি সবসময় তার ভক্তদের পাশে থাকবেন। আমরা ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে স্মরণ করব,
,,হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে হরে রাম হরে রাম রাম হরে রাম রাম হরে হরে,,
এই হল শ্রীকৃষ্ণকে স্মরণ করার একমাত্র মন্ত্র। তার ভক্তগণ যখনই বিপদে পড়বে এবং যখনই ভক্তদের মনে শান্তি থাকবে না তখন শুধু চোখ বন্ধ করে এই মন্ত্রটি উচ্চারণ করলে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ সকল দুঃখ কষ্ট দূর করে দেয়। এই মন্ত্রটি উচ্চারণ করে শ্রীকৃষ্ণকে মনের মধ্যে উপলব্ধি করলে তার ভক্তরা গভীর শান্তি পায়।
ভগবদগীতায় শ্রীকৃষ্ণ নিজেই বলেছেন যে তাঁর জন্ম, কর্ম ইত্যাদি সবই দিব্য, এবং কেউ যখন তত্ত্বগতভাবে তা জানতে পারে, তখন তিনি ভগবদ্ধামে প্রবেশ করবার যোগ্যতা অর্জন করেন। মহাভারত কিন্তু রচনা করেছেন শ্রীকৃষ্ণ কারণ শ্রীকৃষ্ণের অবদানে কিন্তু মহাভারতের কুরুক্ষেত্রে পাণ্ডবরা জয়ী অর্জন করেছে এবং অসত্যের বিনাশ করে সত্যের প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ছিল মহাভারতের অর্জুন রথের সারথী।
তিনি শুধু রথের সারথী ছিলেন না তিনি ছিলেন অর্জুনের পথপ্রদর্শক। তিনি উপদেশ দিয়েছিলেন বলেই পাণ্ডবরা জয়ী হয়েছে এবং পৃথিবীতে অধমের বিনাশ হয়ে ধর্মের প্রতিষ্ঠা হয়েছে। তিনি অর্জুনকে বলেছিলেন ধর্মযুদ্ধে মনকে বিচলিত করলে কোনদিনও জয়ী হওয়া যাবে না। ধর্মযুদ্ধে কেউ আপন কেউ পর নাই। এই যুদ্ধে শুধু ধর্মকে জয়ী করতে হবে এবং অধর্মকে বিনাশ করতে হবে। তিনি অর্জুনকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিলেন বলে ই মহাভারতের যুদ্ধে কুরু বংশের কৌরবদের পরাজয় এবং পাণ্ডব পুত্রদের বিজয় হয়েছে। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ হলেন স্বয়ং ভগবান
ভগবানের জন্ম একজন সাধারণ মানুষের মতো নয়। সাধারণ মানুষের জন্ম হয় কর্মফলের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে। কর্মের ফলস্বরূপ সে এক দেহ থেকে অন্য আরেক দেহে দেহান্তরিত হয়। ভগবানের জন্মের কথা বিশ্লেষণ করে ভগবদগীতার দ্বিতীয় অধ্যায়ে বলা হয়েছে, তিনি তাঁর নিজের ইচ্ছার প্রভাবে আবির্ভূত হন।
কৃষ্ণ (সংস্কৃত: कृष्ण) বা শ্রীকৃষ্ণ (সংস্কৃত: श्रीकृष्ण) হলেন সনাতন হিন্দুধর্মে পরম পুরুষোত্তম ভগবান। পুরাণ অনুযায়ী তিনি বিষ্ণুর অষ্টম অবতার। তাঁকে সর্বোচ্চ ঈশ্বর (পরম সত্ত্বা) উপাধিতে ভূষিত করা হয় এবং তিনি ভগবদ্গীতা-এর প্রবর্তক। ভাদ্রমাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে তাঁর জন্মোৎসব পালন করা হয়। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের সুন্দর সুন্দর ছবিসহ ভগবান শ্রীকৃষ্ণ সম্পর্কে অনেক তথ্যই আমরা আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি।