বাংলাদেশের সবচাইতে ঢাকা টু বরিশাল রুটে লঞ্চ চলাচল বেশি করে। এই রুটে ঢাকা থেকে বরিশাল প্রতিদিন বেশ কয়েকটি লঞ্চ আসা যাওয়া করে, অনেক ব্যক্তি আছে যারা লঞ্চ কেবিন বুকিং করার জন্য অনলাইনে এসে নাম্বার খুঁজে থাকে। কোন কোন লঞ্চ কয়টার দিকে ছাড়বে কয়টার দিকে ফেরত আসবে সে বিষয়ে আমরা আজকে রাতে খেলে আপনাদের জানাবো।
ঢাকা থেকে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ বরিশালে লঞ্চের মাধ্যমে যাওয়া আসা করে কারণ ঢাকা থেকে বরিশাল যাওয়ার যানবাহন অনেক কম হয় ও লঞ্চে গেলে দুর্ঘটনা অনেক কম হয় এ কারণে মানুষ লঞ্চে যাওয়া আসা করে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। আবহাওয়ার উপর নির্ভর করে আমাদের প্রতিটা মানুষের লঞ্চে যাতায়াত করা প্রয়োজন। এজন্যই বরিশালের মানুষগুলো ঢাকাতে আসা-যাওয়া করে লঞ্চে কারণ লঞ্চে দুর্ঘটনা খুবই কম হয়ে থাকে।
ঢাকা থেকে বরিশাল যাতায়াত করে বেশ কয়েকটি লঞ্চ সেই লঞ্চগুলোর মধ্যে হল: এমভি সুরভী ৭/৮/৯
- এমভি সুন্দরবন ৮/১০/১১
- এমভি টিপু ৭
- এমভি পারাবাত ১০/১১/১২
- এমভি কামাল ১
- অ্যাডভেঞ্চার ১/৯
- এমভি কীর্তনখোলা ২/১০
- এমভি গ্রীন লাইন ২/৩
- এমভি কুয়াকাটা ২
সহ আরো বেশ কিছু লঞ্চ এর মাধ্যমে ঢাকা থেকে বরিশাল যেতে পারি।
ঢাকা টু বরিশাল লঞ্চ সময়সূচী ২০২৪
আমাদের পোস্টে উল্লেখ করা লঞ্চগুলো বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দিন ঢাকা থেকে বরিশাল যাতায়াত করে থাকে। এছাড়া আবার ওপর নির্ভর করে এই লঞ্চগুলো তাদের যাতায়াত পদ্ধতি ও সময় চেঞ্জ করে থাকে। ঢাকা থেকে বরিশালের উদ্দেশ্যে ছয়টা ১৫ মিনিটে ও রাত 7:30 মিনিটে বেশি লঞ্চ গিয়ে থাকে। এছাড়াও ৯ঃ১৫ মিনিট ও রাত ৯ টা ১৫ মিনিটেও লঞ্চ যায় ঢাকা থেকে বরিশাল। আরো কিছু লঞ্চ আছে যেগুলো বিকাল পাঁচটা ৩০ মিনিট ও রাত ৯ টা ৪৫ মিনিটে রওনা দেয় বরিশালের উদ্দেশ্যে ঢাকা থেকে।
বর্তমান সময়ে ঢাকা থেকে বরিশাল লঞ্চের টিকিটের দাম একটু বেশি হয়েছে আপনি যদি ঢাকা থেকে বরিশাল যেতে চান তাহলে আপনার বিভিন্ন শ্রেণীর অনুযায়ী টিকিটের মূল্য হবে। ২০০ টাকা থেকে শুরু করে 1800 টাকা পর্যন্ত টিকিটের মূল্য নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। আপনি যেমন কেবিন ভাড়া করবেন আপনাকে তেমনটাই ভাড়া দিতে হবে। আপনি জবাব দিয়ে লঞ্চের সিঙ্গেল কেবিন ভাড়া করেন তাহলে আপনার ৮৫০ টাকা লাগবে আর আপনি যে ডাবল কেবিন ভাড়া নেন তাহলে আপনার ১৬০০ টাকা লাগবে।
ঢাকা বরিশাল রুটের লঞ্চের টিকিট
বর্তমান সময়ে তথ্যপ্রযুক্তির যুগের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশের লঞ্চ কর্তৃপক্ষ তাদের টিকিট অনলাইনে মাধ্যমে বিক্রি করে থাকে আপনি চাইলে অনলাইন এর মাধ্যমে আপনার টিকিটটি কেটে নিতে পারেন। বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি ওয়েবসাইট আছে যারা লঞ্চ কর্তৃপক্ষর সাথে সুসম্পর্ক রেখে টিকিট বিক্রি করে থাকে। সহজ ডট কম নামে একটি ওয়েবসাইট রয়েছে যে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনি মুহূর্তে আপনার টিকিট কেটে নিতে পারেন।
আপনার টিকিট কাটতে আপনার এনআইডি কার্ড নাম্বার ও আপনার ফোনে বিকাশ নগদ বা ব্যাংকের ব্যালেন্স থাকলে আপনি একটি টিকিট কেটে নিতে পারবেন খুব সহজেই। এছাড়াও আপনি টিকিট কাটতে গিয়ে কোন আসনটি নিতে চাচ্ছেন সেটা নিতে পারবেন কোনটা ফাঁকা আছে সেটাও দেখতে পারছেন এতে করে যারা অনলাইনে টিকিট কেটে থাকেন তাদের অনেক সুবিধা হয়েছে।
আপনি যে লঞ্চে যেতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন, সেই লঞ্চের নাম আপনি যদি অনলাইনে সার্চ করে থাকেন তাহলে আপনি তাদের সময়সূচী ও তাদের যাবতীয় ফোন নাম্বার সহ ফেসবুক আইডির পেজ পেয়ে যাবেন আপনি তাদের সাথে যোগাযোগ করে আপনার কাঙ্খিত সমস্যাটির সমাধান করতে পারেন। আশা করি আজকের আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লেগেছে আমরা আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদের জানানোর চেষ্টা করেছি কিভাবে আপনি লঞ্চে যাতায়াত করবেন কিভাবে টিকিট কাটবেন।