বাঙালি জাতির চেতনা সাতই মার্চের ভাষণ। আমরা আমাদের নতুন জেনারেশন কে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানাবো। বিশেষ করে শিশুদের বঙ্গবন্ধুর ছবি এবং ৭ই মার্চের ভাষণের ছবি দেখাতে হবে। করে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শিশুদের শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা তৈরি হয়। বঙ্গবন্ধু আমাদের বাংলাদেশ উপহার দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু সকল বাঙালি জাতির প্রভু। তাই আজকে আমরা আমাদের এই আর্টিকেল টি বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ। ৭ই মার্চ এর ঐতিহাসিক ভাষণের তাৎপর্য এবং ৭ই মার্চের ভাষণের কিছু ছবি আপনাদের সামনে তুলে ধরেছি। এগুলো ছবি আপনি বাচ্চাদের দেখাতে পারবেন এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট করতে পারবেন।
বঙ্গবন্ধুর ৭ ই ঐতিহাসিক ভাষণ বাঙালির জাতীয় স্বাধীনতার সনদ। তৎকালীন সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বর্তমান রেসকোর্স ময়দান অনুষ্ঠিত জন সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ডাক দেন। তার এই ঐতিহাসিক ভাষণ বাঙ্গালীদের অনুপ্রাণিত করেছে স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনতে।লাখ মুক্তিকামী মানুষের উদ্বেলিত মহাসমাবেশে বলিষ্ঠ কণ্ঠে যে স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন, তা বাঙালি জাতির ইতিহাসে চিরস্মরণীয়। বঙ্গবন্ধুর সেই তেজোদীপ্ত উচ্চারণ-‘এবারের সংগ্রাম আমদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ শুধু স্বাধীনতা যুদ্ধে নয়, সেই ভাষণ আজও বাঙালি জাতিকে উদ্দীপ্ত করে, অনুপ্রাণিত করে।
বঙ্গবন্ধুর সম্পর্কে আমাদের সকল তথ্য জানতে হবে কারণ বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির সৃষ্টিকর্তা। বঙ্গবন্ধুর ছবি এবং বঙ্গবন্ধু সম্পর্কিত বিভিন্ন গল্প সম্পর্কে বাচ্চাদের অভিহিত করে তুলতে হবে। এই পোস্টটি আপনি পড়ে আপনার বাচ্চাকে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানাতে পারবেন। ৭ই মার্চের গুরুত্ব এবং ৭ই মার্চের ছবিগুলো বাঙালি জাতির কাছে চির স্মরণীয় এক ঐতিহাসিক ঘটনা।
বঙ্গবন্ধু বাংলাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতেন। তার আজন্ম লালিত স্বপ্ন ছিল বাঙালি জাতির জন্য একটি স্বাধীন ভূখণ্ড এবং ক্ষুধামুক্ত, অসাম্প্রদায়িক চেতনার সোনার বাংলা গড়ার। তিনি এক সুখী ও সমৃদ্ধ সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখেছিলেন, যেখানে তিনি তৈরি করবেন দক্ষ মানবসম্পদ আর যারা হবে নৈতিক শক্তিতে বলীয়ান, সুশিক্ষিত নাগরিক। একটি সামাজিক পরিবর্তন আনতে চেয়েছিলেন তিনি।
বঙ্গবন্ধু আগে থেকেই ঠিক করেছিলেন, ৭ মার্চ রেসকোর্সে ভাষণ দেবেন। ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে লাখো জনতার ঢল নামে। সবাই বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনার অপেক্ষায়। সেই দিন বঙ্গবন্ধুর কণ্ঠে বাঙালির স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্নে জেগে ওঠেছিল পুরো জাতি। ক্ষেত্র প্রস্তুত হয়েছিল স্বাধীনতাসংগ্রামের, যেদিন তিনি দেন সেই ঐতিহাসিক ভাষণ। তাতে ছিল নির্দেশনা আর সশস্ত্র সংগ্রামের জন্য প্রস্তুতির কথা। এটি ছিল একটি এপিক ভাষণ; এ ভাষণের মধ্য দিয়ে একটি মহাকাব্য রচনা করলেন তিনি।
৭ মার্চে বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার প্রেরণা জুগিয়েছিলেন। তাই তো বাংলার ছেলেরা ৯ মাস যুদ্ধ করার মনোবল পেয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর এ তেজোদীপ্ত মুক্তির বাণী শোনার জন্য ওইদিন সকাল থেকে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ দলে দলে হেঁটে, বাস-ট্রাক-লঞ্চ-ট্রেনে চেপে রেসকোর্স ময়দানে সমবেত হয়। ধর্মবর্ণনির্বিশেষে নারী-পুরুষের স্রোতে সয়লাব হয়ে যায় তখনকার ঘোড়দৌড়ের এ বিশাল ময়দান।
বঙ্গবন্ধু শুধু একজন রাজনৈতিক নেতা ছেলের না তিনি ছিলেন একজন মানবিক মহাপুরুষ। একই ধারে তিনি ছিলেন একজন লেখক। বঙ্গবন্ধুর লেখা বইগুলো পড়তে চাইলে আমাদের অন্য উপস্থাপনা গুলো ফলো করতে পারেন। বঙ্গবন্ধুর ভাষণটি যদি আমরা সাহিত্য সমালোচনার দৃষ্টিতে বিচার করি, তাহলে সহজেই এর মহাকাব্যিক আঙ্গিক উপলব্ধি করতে পারি। মহাকবিরা সাধারণত কোনো জাতির ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে তার লেখার উপজীব্য বা বিষয়বস্তু হিসাবে নির্ধারণ করেন, যার মাধ্যমে তিনি তুলে ধরেন সংশ্লিষ্ট জাতির ইতিহাস, যা পাঠ করে মানুষ আন্দোলিত হয়, অনুপ্রাণিত হয় এবং কোনো মহৎ কর্মে দীক্ষিত হয়।
এ ভাষণের তাৎপর্য ও গুরুত্ব সেদিন যারা কাছে বসে শুনেছেন, তারাই বুঝতে পারবেন। সমগ্র বাঙালি জাতিকে এক করতে এ ভাষণের কোনো বিকল্প ছিল না। তিনি যথার্থই সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ভাষণে বঙ্গবন্ধুর দৃপ্ত ঘোষণা-‘সাত কোটি মানুষকে দাবায়ে রাখতে পারবা না’ সত্য হয়েছিল ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরের বিজয়ের মধ্য দিয়ে। এ ভাষণের সুর অনুসরণ করেই এক নতুন রেনেসাঁর প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছিল। ৭ই মার্চের ভাষণের ছবিগুলো বাঙালি হিসেবে আমাদের সংরক্ষণ করে রাখা উচিত।