আপনার কি অকালে চুল ঝরে যাচ্ছে?কিভাবে এই চুল পড়া থেকে মুক্তি পেতে পারেন সেটা জানতে চান?
মেয়েদের চুল পড়াটা স্বাভাবিক কারণ মেয়েরা চুলে বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল প্রোডাক্ট ব্যবহার করে থাকে এবং পাশাপাশি মেয়েদের চুল লম্বা থাকায় তাদের চুল কম জোর হয়ে যায়। এজন্য মেয়েদের চুল পড়াটা স্বাভাবিক বলে ধরা হয়। কিন্তু হেয়ার ফল খাওয়া ছেলেদের কিংবা মেয়েদের কারো জন্য ভালো লক্ষণ নয়।
মেয়েদের চুল পড়লে কেউ অতটা গুরুতরভাবে নেয় না। কিন্তু অকালে যদি ছেলেদের চুল পড়ে সেটা ভালো লক্ষণ নয়। দ্রুত এর চিকিৎসা না করলে পরে টাক পড়ে যাওয়ার মত গুরুতর সমস্যা দেখা দিতে পারে।
চুল পড়া রোধ করার ঔষধের নাম সবাই জানতে চায়। আজকে আমরা আপনাদের সাথে আলোচনা করব কিভাবে ঘরোয়া উপায়ে চুল পরা রোধ করা সম্ভব এবং পাশাপাশি চুল পড়ার জন্য বাজারে জনপ্রিয় যে ঔষধি সচরাচর বিক্রি করা হয় সেটির নাম। তাহলে চলুন আজকের এই আলোচনার গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ের দিকে যাওয়া যাক।বাজারে চুল পড়া বন্ধ করতে বিভিন্ন ধরনের ঔষধ পাওয়া যায়। কিন্তু এগুলো ঔষধ ব্যবহার না করে প্রাকৃতিক এবং ঘরোয়া ভাবে চুলের যত্ন নিলে চুল পড়া রোধ করা সম্ভব।
ছেলেদের অথবা মেয়েদের তাদের অতিরিক্ত চুল পড়ে তাদের জন্য যে ওষুধটি সবচাইতে বেশি কার্যকর সেটা হল ই ক্যাপসুল অথবা ই ক্যাপ নামের ই ক্যাপসুল এর একটি ঔষধ বাজারে কিনতে পাওয়া যায় সেই ঔষধটি। চুল পড়া রোধে অনেকেই এই ঔষধ সেবন করে থাকে। তাই আপনিও এই ওষুধটি নিয়মিত সেবন করতে পারেন।চুল পড়া রোধ করতে সবাই ই ক্যাপসুল তাই ইউজ করে ।এই ক্যাপসুল ব্যবহার করে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রি লক্ষ্য করা যায় না । তাই আপনিও চাইলে চুল পড়া রোধ করতে এই ক্যাপসুলটি ব্যবহার করতে পারবেন।চুল পড়ার সমস্যা সমাধানে ভিটামিন ই চুলের গোড়ায় ব্যবহার করুন।
ভিটামিন ই মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে দেয়। ফলে চুলের ফলিকল উত্পাদনশীল থাকে। এছাড়াও ভিটামিন ই চুলের স্বাস্থ্যকর রং বজায় রাখে।অনেক সময় খাদ্যাভাসে পরিবর্তন হলে বা শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি হলে চুল পড়ে। তাই খাদ্যতালিকায় চর্বিযুক্ত, মাংস, মাছ, সয়াসহ প্রোটিন রাখুন। এগুলো চুলের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে ও চুল পড়া বন্ধ করে।
নিয়মিত চুল পরিষ্কার রাখা জরুরি। এতে চুলের গোড়ায় জমে থাকা ময়লা সহজেই দূর হয়। ফলে চুল পড়া বন্ধ হয়। মনে রাখবেন, চুল অপরিষ্কার থাকলে খুশকি ও মাথার ত্বকে সংক্রমণের আশঙ্কা বেড়ে যায়।কখনও ভেজা চুল আঁচড়াবেন না। অনেক পুরুষই হয়তো এ বিষয়টি মানেন না। ভেজা অবস্থায় চুলের গোড়া নরম থাকে। ফলে চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ানোর সময় চুল পড়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
ঘরোয়া উপায়ে চুল পড়া বন্ধ করতে ব্যবহার করতে পারেন রসুন, পেঁয়াজ বা আদার রস। এই উপাদানগুলোর রস রাতে মাথার ত্বকে ব্যবহার করুন। সারারাত রেখে সকালে চুল পরিষ্কার করে ফেলুন। এক সপ্তাহ নিয়মিত এই পদ্ধতি অনুসরণ করলে ফলাফল পাবেন হাতেনাতে।শরীরে পানিশূন্যতার সৃষ্টি হলেও চুল পড়ার পরিমাণ বেড়ে যায়। তাই চুল পড়ার সমস্যা বেড়ে গেলে বুঝবেন আপনার শরীরে হয়তো পানিশূন্যতা হয়েছে। তাই দৈনিক অন্তত ২-৩ লিটার পানি অবশ্যই পান করুন।
যেই ছেলে নেশাগ্রস্ত বা অতিরিক্ত অ্যালকোহল জাতীয় দ্রব্য সেবন করে তাদের কিন্তু চুল পড়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই এই ধরনের ক্ষতিকারক পদার্থ সেবন থেকে বিরত থাকতে হবে। চুল পড়া থেকে অনেক ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে যদি ক্ষতিকর অ্যালকোহল সেবন করা হয়। ধূমপান ও মদ্যপানের কারণেও চুল পড়তে পারে। ধূমপান করলে মাথার ত্বকে প্রবাহিত রক্তের পরিমাণ কমে যায়। ফলে চুলের বৃদ্ধি বাঁধাগ্রস্ত হয়। তাই ধূমপান এড়িয়ে চলুন। বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগ দেখা দিতে পারে মাথায়। চুল এবং নখের জন্য পান করা ক্ষতিকর।
নিয়মিত খাওয়া দাওয়া করুন। প্রোটিনের অভাবে কিন্তু চুল পড়ে যায়। তাই নিয়মিত প্রোটিনের উৎসযুক্ত খাবার খেতে হবে। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন। নিয়মিত চুলে শ্যাম্পু করুন তাহলে চুল পড়া আস্তে আস্তে বন্ধ হয়ে যাবে।