সাধারণত মানব শরীরের মূত্রনালীতে যদি কোন ধরনের ইনফেকশন বা কোন ধরনের সংক্রমণ হয় সেটা আস্তে আস্তে খারাপের দিকে যেতে থাকে। সাধারণত এই ক্ষেত্রে প্রাথমিক পর্যায়ে যখন কোন সমস্যা ধরা পড়ে যদি সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করা না হয় সেটা আস্তে আস্তে গুরুতর সমস্যায় রূপান্তরিত হতে পারে। তাই আগে থেকেই আমাদের এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে হবে এবং সব সময় সতর্ক থাকতে হবে। কারো কারো ক্ষেত্রে সারাজীবন বহু সতর্ক থাকার পরেও অনেক সমস্যার সৃষ্টি হয় আবার কারো কারো ক্ষেত্রে কোন ধরনের সতর্কতা না অবলম্বন করেও সে পুরোপুরি সুস্থ থাকেন।
কিন্তু এ সমস্যাগুলো বেশি দেখা যায় যখন বয়স পঞ্চাশের উপরে উঠে যায় ঠিক তখন। এই বয়সের এই ধরনের রোগীদের চিকিৎসার জন্য কি ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি রয়েছে এবং এখানে কোন ধরনের ঔষধ ব্যবহার করা হয় সেই সম্পর্কে চিকিৎসকেরা কি বলছেন জানব। আমরা শুধু আপনাদের এই বিষয়গুলো সম্পর্কে জানাতে পারি তবে আমরা আপনাদের সরাসরি এটা বলতে পারি না যে আপনারা যেই ওষুধগুলো খাবেন সেগুলো আমাদের এখান থেকেই দেখে খাবেন।
তার মূল কারণ হচ্ছে একজন রোগের শারীরিক অবস্থা এবং একজন রোগীর শরীরে অন্য কোন যদি রোগ থেকে থাকে সেই বিবেচনায় একজন চিকিৎসক সরাসরি ভালো মানের একটি সিদ্ধান্ত নিতে পারেন যেটা আমরা এখানে কখনোই আপনাদের দিতে পারবো না। প্রত্যেকটা রোগের পরিস্থিতি আলাদা থাকে সেই বিবেচনায় একটা প্রতিবেদনের মাধ্যমে প্রত্যেকটা রোগীর শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে কখনোই ঔষধ লেখা সম্ভব নয়।
মূত্রনালীর সংক্রমণের লক্ষণ
হঠাৎ করে শরীরে কিছু সমস্যা থেকে আপনি কিভাবে বুঝতে পারবেন এটা মূত্রনালীর সমস্যার জন্য হচ্ছে। এটা জানার জন্য আপনাকে অবশ্যই এর লক্ষণসমূহ সম্পর্কে জানতে হবে অর্থাৎ এই ধরনের ইনফেকশন হলে কোন কোন সমস্যা সৃষ্টি হয় সেটা আপনাকে জানতে হবে যাতে করে আপনি প্রথমের দিকেই রোগ নির্ণয় করতে পারেন। তার আগে জানিয়ে রাখি মূত্র নারীর সংক্রমনের ক্ষেত্রে সাধারণত এন্টিবায়োটিক এর ব্যবহার বেশি করা হয় এবং এক্ষেত্রে যত ভালো এন্টিবায়োটিক দেওয়া হবে ততই রোগী পুরোপুরি সুস্থ হবে দ্রুত সময়ের মধ্যে। এছাড়া কোন কোন উপসর্গ দেখে সাধারণত মূত্রনালীর ইনফেকশন সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায় চলুন জানার চেষ্টা করি।
রোগীদের জ্বর আসতে পারে এবং এই জ্বর হঠাৎ করে কাঁপুনিসহ জরে রূপান্তরিত হতে পারে।
শিশুদের ক্ষেত্রে বিশেষ করে বমির উপস্থিতি হতে পারে এর সঙ্গে ক্ষুধামন্দা সৃষ্টি হতে পারে যা শারীরিকভাবে তাকে দুর্বল করতে পারে।
অনেক সময় শিশুরা প্রসবের চাপ আসার পরেও প্রসব করে না যার কারণে সেটা ধরে রাখার ফলে সেখানে জ্বালা যন্ত্রণা সৃষ্টি হয় যার কারণে মূলত আরো বেশি প্রভাব ফেলে এটা।
এছাড়াও জামা কাপড় ভিজিয়ে ফেলার প্রবণতা দেখা যেতে পারে শিশুদের মধ্যে।
বড়দের মধ্যে প্রস্রাবে বাজে গন্ধ এবং প্রস্রাবের রং পরিবর্তন হতে পারে তাই এটা অবশ্যই খেয়াল করতে হবে।
প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া এবং প্রস্রাব হওয়ার সময় বারবার প্রস্রাব হওয়ার প্রবণতা বা জামাকাপড় ভিজে যাওয়ার মতন সমস্যা তৈরি হতে পারে।
অনেকের তলপেটে ব্যথা এবং পেটে ব্যথা থেকে শুরু করে খাওয়ারের প্রতি অনীহা সৃষ্টি হতে পারে।
ইউরিন ইনফেকশনের ঔষধের নাম
আমরা আগেই বলেছি বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয় এই ক্ষেত্রে আর সেই আই অ্যান্টিবায়োটিক গুলো কি কি তার একটি প্রাথমিক ধারণা আমরা আপনাদের দিতে পারি।
জটিল ইনফেকশন অথবা ইউরিন এর জটিল ইনফেকশনের সমস্যার সমাধান করার জন্য সাধারণত এমিনোগ্লাইকোসাইটডস নামক অ্যান্টিবায়োটিক এর ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও যদি গুরুতর কোন সমস্যা হয় সে ক্ষেত্রে কিছুকিছু রোগের ক্ষেত্রে অস্ত্রপাচারের মাধ্যমে চিকিৎসার সমাধান করার চেষ্টা করা হয়। আশা করছি বিষয়টি আপনারা পরিষ্কার ভাবে বুঝতে পারলেন আমাদের এই ছোট্ট প্রতিবেদন থেকে।