অনেকের প্রশ্ন থাকতে পারে, অনেকের না অধিকাংশ মানুষ এর ধারণা যে উচ্চ রক্তচাপ অর্থাৎ হাই ব্লাড প্রেসারের রোগীদের দুধ খাওয়া উচিত নয়। অনেকের প্রশ্ন থাকে যে হাই ব্লাড প্রেসারের রোগীরা কি দুধ পান করতে পারে?
উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের দুধ পান করা কি ক্ষতিকর?এরকম প্রশ্ন এর উত্তর সবাই জানতে চাই। আজকে আমরা এই আর্টিকেলটিতে এ ধরনের জরুরী প্রশ্নগুলোর উত্তর আপনাদের সাথে আলোচনা করব। গুরুত্বপূর্ণ এই আলোচনায় আপনাদের স্বাগতম। মনোযোগ দিয়ে আমাদের এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরোধ রইল সবার। এই সকল গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো জানার প্রয়োজন আমাদের সকলের।
প্রথমেই আপনাদের আমরা জানাই যে, উচ্চ রক্তচাপ রোগীদের দুধ খাওয়া সম্পূর্ণ নিরাপদ। হ্যাঁ উচ্চ রক্তচাপ এর রোগীরাও নিশ্চিন্তে প্রতিদিন নিয়মিত দুধ পান করতে পারে। এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা যে উচ্চ রক্তচাপ রোগীদের দুধ খাওয়া নিরাপদ নয়। তাই যত উচ্চ রক্তচাপের রোগী রয়েছে তারা নিশ্চিন্তে প্রতিদিন দুধ খেতে পারবেন। তবে কিছু নিয়ম কারণ রয়েছে, কিছু কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো উচ্চ রক্তচাপ রোগীদের জন্য পরিহার করা প্রয়োজন। সেই সব খাবারগুলো পরিহার করতে
হবে কিন্তু দুধ খাওয়া সম্পূর্ণ নিরাপদ। এখন আমরা আলোচনা করব উচ্চ রক্তচাপ রোগীদের জন্য কোন খাবারগুলো খাওয়া অনিরাপদ। স্বল্প পরিমাণে সব ধরনের খাবার খাওয়া যাবে কিন্তু বেশি পরিমাণে কিছুই খাওয়া যাবেনা। চলুন আমরা এবার বিস্তারিত আলোচনায় আপনাদের সাথে শেয়ার করব যে কোন খাদ্যগুলো উচ্চ রক্তচাপ রোগীদের জন্য খাওয়া অনিরাপদ।
দুধ একটি সম্পূর্ণ খাদ্য। কারণ দুধে রয়েছে আমিষ এবং শর্করার সঠিক মিশ্রণ। এবং দুধে রয়েছে লৌহজাতীয় খাদ্যগুণের উপস্থিত। এবং রয়েছে চর্বি জাতীয় খাদ্যগুণ। একটি ছোট্ট শিশু জন্মের পর প্রায় ছয় মাস বয়স পর্যন্ত শুধুমাত্র দুধ খেয়ে জীবন যাপন করে। কারণ দুধ হচ্ছে সাদা রংয়ের একটি সম্পূর্ণ খাদ্য। এটি এক ধরনের তরল পানীয়। শিশু জন্মের পর থেকে তার আমৃত্যু পর্যন্ত প্রতিদিন যদি এক গ্লাস করে দুধ পান করে তাহলে সেটা শরীরের পক্ষে খুবই ভালো। যেকোনো বয়সের যেকোনো রোগীরা নিঃসন্দেহে দুধ পান করতে পারে। ডায়াবেটিস রোগীর সহ উচ্চ রক্তচাপের রোগীরাও নিয়মিত দুধ পান করতে পারবেন।
প্রয়োজনীয় সকল পুষ্টি উপাদান সম্বলিত খাদ্যদ্রব্যকে সম্পূর্ণ খাদ্য বলে। উদাহরণস্বরূপ, দুধ একটি সম্পূর্ণ খাদ্য হিসাবে গণ্য করা হয় । এতে প্রোটিন, চর্বি, কার্বোহাইড্রেট, ভিটামিন, মিনারেল ইত্যাদি রয়েছে যা জীবন টিকিয়ে রাখতে এবং স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য অপরিহার্য বলে বিবেচিত হয়।
দুধ-ডিম-মাংস খেলে রক্তচাপ বাড়ে—এ ধারণা ভুল। রক্তচাপ বাড়তি দেখলে কেউ কেউ দুধ-ডিম খাওয়া ছেড়ে দেন। কিন্তু আসলে লবণ বা লবণাক্ত খাবার বেশি খেলে রক্তচাপ বাড়তে পারে। হৃদ্রোগের ঝুঁকি এড়াতে উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত ব্যক্তিকে তেল-চর্বিযুক্ত খাবার, যেমন ডিমের কুসুম, দুধের সর, চর্বিযুক্ত মাংস ইত্যাদি খেতে নিষেধ করা হয়। যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে তাদের অনেক কিছু খাওয়ার নিষেধ থাকে । যেমন শর্করা যুক্ত খাদ্যের পরিমাণ তাদের জন্য কম করে খাওয়া উচিত। ডায়াবেটিকস রোগীদের শরীরে অর্থাৎ ডায়াবেটিক রোগীদের রক্তে শর্করা এর পরিমাণ বেশি থাকে। ডায়াবেটিস রোগীদের কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার কম পরিমাণে খাওয়া উচিত।
আমাদের খাদ্য অভ্যাস কে সঠিক অভ্যাসের পরিণত করতে হবে। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিক নিয়মে খাবার গ্রহণ করতে হবে। একসঙ্গে বেশি খাবার গ্রহণ করা যাবে না। অল্প পরিমাণে বারবার খেতে হবে। একসঙ্গে খাবার খেলে হজমের সমস্যা হয়। খাবার ভালোভাবে হজম না হলে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। খাবার হজম করা শরীরের পক্ষে খুবই ভালো। যাদের হজম শক্তি বেশি তারা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি। তাই হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে অল্প পরিমাণে বারবার খাবার খেতে হবে।
তিরিশ বছর বয়সের পর অধিকাংশ মানুষের উচ্চ রক্তচাপ দেখা দেয়। উচ্চ রক্তচাপ রোগীদের জন্য সবসময় ই কিছু নিয়ম কারণ মেনে চলতে হয় কারণ যে কোন সময় রক্তচাপ বৃদ্ধি পেয়ে স্ট্রোক হয়ে যেতে পারে। সুস্থ এবং সঠিক জীবন যাপন করতে খাদ্য অভ্যাস পরিবর্তন করুন এবং সঠিক নিয়মে খাদ্য গ্রহণ করুন।