আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের আজকের আর্টিকেলটিতে নবীজির রওজা মোবারকের ছবি উপস্থাপন করেছি। আপনি কি আমাদের সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সর্বশেষ নবী ও রাসূল হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর রওজা মোবারকের ছবি সংগ্রহ করতে চাচ্ছেন? আপনি কি মোহাম্মদ (সাঃ) সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয় জানতে চাচ্ছেন? আপনি কি হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করতে চাচ্ছেন? কিন্তু মনের মত তথ্য খুঁজে পাচ্ছেন না?
তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসে পৌঁছেছেন এবং এই আর্টিকেলটি মূলত আপনার জন্য লিখা হয়েছে। কেননা এই আর্টিকেলটিতে নবীজি (সাঃ) এর সম্পর্কে যাবতীয় তথ্যগুলো উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি। আশা করি এই আর্টিকেলটি পড়লে আপনার অনেক ভালো লাগবে এবং এখান থেকে আপনি আপনার প্রয়োজনীয় তথ্যটি বেছে নিতে পারবেন। তাই আর দেরি না করে আপনি এ বিষয়ে জানতে এই আর্টিকেলটা পড়তে পারেন।
আল্লাহ তায়ালা যুগে যুগে বহু নবী-রাসূল পাঠিয়েছেন মানবজাতিকে হেদায়েত দানের জন্য এবং তাদেরকে সঠিক পথে পরিচালনার জন্য। নবী রাসূলগণ মূলত আল্লাহ তায়ালার মাধ্যমে প্রেরিত পুরুষ এবং তার নির্দেশ মেনে চলতেন। ইসলাম অনুসারে জীবন যাপন করতেন। মানুষদেরকে ইসলামের দিকে আনতেন এবং ইসলামের আলো তাদের মধ্যে জ্বালিয়ে দিতেন। মূলত নবী-রাসূলই আমাদের পথপ্রদর্শক এবং তাদের দেখানো পথে আমাদের অনুসরণ করা উচিত। প্রত্যেকটি মুসলমান ব্যক্তি আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্ট অর্জন করতে এবং সন্তুষ্টি অর্জন করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ইবাদতে মশগুল থাকে। এই সকল ইবাদতের মূল উদ্দেশ্য আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা।
আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারলে দুনিয়ার জীবনে যেমন আল্লাহ তায়ালার রহমত বর্ষিত হয় এবং আল্লাহ তায়ালার রহমত লাভ করা যায়, সফল হওয়া যায়, তেমনি ভাবে পরকালীন জীবনে শান্তি লাভ করা যায়, চিরশান্তির স্থান জান্নাত লাভ করা যায়। এটা ছাড়া আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারলে সেই ব্যক্তির আর কোন ধরনের সমস্যা থাকে না। কারণ সে আল্লাহর রহমতের ছায়াতলে অবস্থান করে। আল্লাহ তার উপর রহমত বর্ষণ করে, তার মঙ্গল করে। আবার পরকালীন জীবনে চির শান্তির স্থান জান্নাত সে লাভ করবে। এটাই প্রত্যেকটা মুসলমান ব্যক্তির উচিত আল্লাহ তাআলার মনোনীত দিন ইসলাম পালন করা এবং নবী রাসূলের দেখানো পথ অনুসরণ করে ইসলামের পথে পরিচালিত হওয়া।
আমাদের সর্বশেষ এবং সর্বশ্রেষ্ঠ নবী ও রাসুল হলেন হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)। তিনি তার জীবন দশায় অনেক ভালো কাজ করেছেন। তিনি কখনো মিথ্যা কথা বলেননি এবং সব সময় ইসলামকে প্রচার করেছেন। ইসলামের জন্য তিনি অনেক কিছু উৎসর্গ করেছেন। ইসলামকে প্রচার করতে গিয়ে তাকে বিভিন্নভাবে অপমানিত, অবহেলিত হতে হয়েছে। তিনি সেগুলো উপেক্ষা করে তিনি নিরোলস ভাবে ইসলাম প্রচার করেছেন। তিনি মূলত মুসলমান জাতির জন্য আলোর দিশারী এবং পথপ্রদর্শক হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি তার উম্মতের জন্য বিভিন্ন ধরনের অবদান রেখে গেছেন। তার জীবন দশায় তিনি কখনো মিথ্যা কথা বলেননি।
প্রত্যেকটি মুসলমানই চাই সর্বশেষ এবং সর্বশ্রেষ্ঠ রাসূল (সাঃ) কে অনেক ভালোবাসাতে এবং তার উম্মত হওয়ার জন্য গর্বিত অনুভব করে। আর সবাই নবী রাসুলের সান্নিধ্য লাভ করার আশাবাদী। কিন্তু এখন তা সম্ভব নয়। এজন্য অনেকে দেখা যায় যে নবী – রাসূলের রওজা মুবারক দেখতে চান বা রাসূল এর রওজা মোবারক দেখতে চায়। কিন্তু অনেকের সামর্থ্য নাই নবী রাসুলের রওজা মোবারক দেখতে যাওয়ার বা হজ পালন করতে গিয়ে নবী রাসুলের রওজা মুবারকের কাছে দোয়া করার। এজন্য অনেকেই দেখা যায় যে অনলাইনে নবী রাসূলের রওজা মোবারক দেখার জন্য রওজা মোবারকের ছবি কেমন এই বিষয়গুলো সার্চ করে। মূলত তাদের কথা মাথায় রেখে আর্টিকেলটিতে রাসূল (সাঃ) এর রওজা মোবারকের ছবি উপস্থাপন করেছি৷ আশা করি এই ছবিটি আপনার ভালো লাগবে এবং আপনি ছবিটি দেখার মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালার শুকরিয়া আদায় করবেন।