বর্তমান সময়ে ইমেইল একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগের অংশ। কারণ হলো প্রত্যেকটি অফিস আদালত বা ব্যক্তিগত বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠানে অবশ্যই ইমেইলের একটি বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় যে এখন ধীরগতিতে চলা চিঠিপত্র আর অফিস আদালত বা অন্যান্য ক্ষেত্রে ততটা প্রযোজ্য নয়। এখন পৃথিবী অনেক এগিয়েছে সকল কাজগুলোই দ্রুততার সহিত সংঘটিত হয়। আর ইমেইল হলো এমনই একটা যোগাযোগের মাধ্যম যা অতি অল্প
সময়ের মধ্যেই পৃথিবীর এই প্রান্ত থেকে ওই প্রান্ত পর্যন্ত পৌঁছে যেতে পারে। তাই এই সুবিধাটি অবশ্যই সকলেই অর্থাৎ ব্যক্তিগত পর্যায়ে থেকে প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে সকলেই গ্রহণ করে থাকে। ইমেইল এর আভিধানিক অর্থ হলো ইলেকট্রনিক mail. অর্থাৎ আরো ভালো করে বললে বলা হয় যে ডিজিটাল বার্তা যা কম্পিউটার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে প্রেরণ করা হয়ে থাকে। ইলেকট্রন মেইল এর আনুষ্ঠানিক ব্যবহার কবে শুরু হয়েছিল সে কথা খুব ভালো করে না জানা গেলেও আসলে সর্বপ্রথম এই ইমেইলের যাত্রা শুরু হয় ১৯৭২ সালে।
অর্থাৎ ১৯৭২ খ্রিস্টাব্দে তদানীন্তন আরপানেটে সর্বপ্রথম ইলেকট্রনিক মেইল প্রেরণ করেন। তিনি প্রথমে দুইটি কম্পিউটারের মাধ্যমে এ বিষয়টি করে থাকেন। অর্থাৎ একই কোম্পানির আরেক কম্পিউটারের মাধ্যমে প্রথম ইমেইলটি পাঠিয়েছিলেন। প্রথমদিকে ইমেইল পেতে প্রাপক এবং পেরক দুজনকেই অনলাইনে থাকতে হতো। অর্থাৎ একজন ইমেইল পাঠাবে এবং অপরজন যদি লাইনে না থাকে বা কম্পিউটার অন করে না থাকে তাহলে ইমেইল পৌঁছাতে না। পরবর্তী সময়ে অবশ্যই এই বিষয়টি চেঞ্জ হয় এবং বর্তমানে অনেক সুবিধা জনক অবস্থায় রয়েছে email।
শুধু সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছে তা নয় বর্তমান সময়ের ব্যাপক জনপ্রিয় এই সিস্টেম। অফিসিয়ালি এবং আনঅফিসিয়ালি বা ব্যক্তিগত সকল বিষয়েই ইমেইলের মাধ্যমে যোগাযোগের বিষয়টায় সবচাইতে গ্রহণযোগ্য পদক্ষেপ বলে বর্তমান সময়ে মনে করা হয়। ইমেইল আবিষ্কার করার পর অভূতপূর্ব উন্নতির সাধন হয়েছে যোগাযোগ সিস্টেমের উপর। যেহেতু যেকোনো ধরনের ব্যবসা-বাণিজ্য অফিস আদালতে এক অফিসের সঙ্গে আর এক অফিসের এবং এক ব্যক্তির সাথে অপর কোন ব্যক্তির বা প্রতিষ্ঠানের যোগাযোগ করার অবশ্য কর্তব্য।
তাই এ সকল বিষয়গুলি যদি মেইলে পাঠানো যায় তাহলে অবশ্যই অত্যন্ত সহজে এবং দ্রুততার সহিত অপর ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছে তথ্যগুলি প্রেরণ করা যায়। তাই এক্ষেত্রে দেখা যায় যে ইমেইল যথেষ্ট উপযোগী একটি পদ্ধতি। একটি ইমেইল বার্তা তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত। অর্থাৎ বার্তার খাম বা মোড়ক, বার্তার হেডার বা মূল, এবং বার্তা। এখানে হেডারমেইল নিয়ন্ত্রণের তথ্য বহন করে। তবে আজকে আমাদের এখানে জানার বিষয় হল একটি মেইলে প্রধান যে দুটি অংশের সাথে সেই দুইটি অংশ আসলে কি কি সেই বিষয়টি।
এখন আপনাদেরকে আমরা অবশ্যই একটি মেইলের যে প্রধান দুইটি অংশ থাকে বা এই ইমেইলের অংশ দুইটির নাম পরিচয় আপনাদেরকে এখন বলে দেব। অর্থাৎ আমরা একসময় অফিসিয়াল ভাবে চিঠিপত্র আদান-প্রদান করতে হতো। কিন্তু বর্তমানে এটি এখন ইলেকট্রনিক মেইল বা বৈতিক চিঠি বা বার্তা যাই বলা হোক না কেন এটি এখন তার মাধ্যমে করা হয়। আজকে যেহেতু আমরা ইমেইলের দুইটি প্রধান অংশ জানার জন্য এসেছি সেই প্রধান অংশ দুটি এখন আপনাদের জানানো হবে।
আসলে একটি ইমেইল ঠিকানায় দুইটি অংশ থাকে বা দুইটি অংশে বিভক্ত হয়ে থাকে। এই দুইটি অংশ আলাদাভাবে আপনাদেরকে এখন আমরা দেখিয়ে দিচ্ছি যে অংশ দুটি কি কি। আপনারা ভালো করে অবশ্যই ইমেইল ঠিকানার দিকে খেয়াল করবেন এবং পরবর্তীতে আমাদের এই কথার সঙ্গে মিলিয়ে নেবেন। চলুন তাহলে দেখি একটি ইমেইল ঠিকানার প্রধান অংশ দুটি। ইমেইল ঠিকানা দুইটি অংশে বিভক্ত।
প্রথম অংশটি হল ব্যবহারকারী নাম। এর ঠিক পরপরই থাকে @ চিহ্নটি। তার পরে থাকে সংশ্লিষ্ট ব্যবহারকারীর প্রতিষ্ঠানের নাম। আপনারা এ ধরনের যেকোনো তথ্য যদি পেতে চান তাহলে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটে এসে ভিজিট করবেন এবং যেকোনো তথ্য খুঁজে বের করবেন কারণ আমাদের এখানে প্রত্যেকটি বিষয় নিয়েই আমরা কাজ করে থাকি।