অতীতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে এত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল না কিন্তু বর্তমানে দেশে যেমন নাগরিকের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে পাশাপাশি শিক্ষিত নাগরিকের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাইতো এখন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যানরত শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রচুর এবং প্রতিনিয়ত তাদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে আজকের আলোচনার মূল বিষয় হলো সঠিকভাবে জানা মূলত কোন কোন কলেজে কতটি আসন বরাদ্দে রয়েছে অনার্সে পড়ার জন্য।
সাবজেক্ট ভিত্তিক বিভিন্ন কলেজে আলাদা আলাদা বিষয় ভিত্তিক আসল বিন্যাস রয়েছে যেটা শিক্ষার্থীদের জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ব্যাপার। তার কারণ হলো একজন শিক্ষার্থী যদি কোন কলেজে পড়তে ইচ্ছুক হয়ে থাকেন তাহলে সেই কলেজে তার সাবজেক্ট অনুযায়ী কতটা সিট ফাঁকা আছে সেটা যদি তার জানা থাকে তাহলে সে অবশ্যই তার প্রস্তুতি গ্রহণ করতে এই জিনিসটি ভালোভাবে ব্যবহার করতে পারে। কিন্তু দুঃখের ব্যাপার হল এই সম্পর্কে সঠিক তথ্য কোথাও দেওয়া নেই তাই আমরা একটি ধারণার ভিত্তিতে আজকের এই আর্টিকেল তৈরি করেছি যেটা অবশ্যই আপনাদের ব্র্যানকে একটু হলেও বৃদ্ধি করবে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কোন কলেজে আসন সংখ্যা 2023
সারা দেশে অনেক শিক্ষার্থী প্রত্যেক বছর এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর অনার্স কোর্সে ভর্তি হওয়ার জন্য বিভিন্ন কলেজে ভর্তির জন্য আবেদন করতে চান। ভর্তির আবেদন করার ক্ষেত্রে আবার আপনারা অবশ্যই বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত কলেজে ভর্তি হতে চান যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ালেখার মান ভালো এবং ক্লাস ব্যবস্থা পরিচালনা করার মাধ্যমে আপনার অনার্সে ভালো নম্বর অর্জন করা সম্ভব হয়। তবে তুলনামূলক দেশ সকল শিক্ষার্থীদের ফলাফল ভালো তারা তাদের পছন্দের তালিকা অনুযায়ী নির্দিষ্ট কলেজগুলোতে ভর্তি হতে পারলেও আপনারা হয়তো অনুমান করতে পারবেন না যে একটি কলেজে কতটি আসন রয়েছে এবং সেই আসনের ভিত্তিতে কতজনকে ভর্তি নেওয়া হবে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন কলেজে কতটি আসন রয়েছে সেটা জানতে আমাদের ওয়েবসাইট যারা ভিজিট করেছেন তাদেরকে আমরা সঠিক তথ্য দিব।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সারা দেশে বেশ কয়েক হাজার কলেজ রয়েছে এবং এ সকল কলেজে খুব সুন্দর ভাবে প্রত্যেক বছর শিক্ষার্থীরা পড়ালেখা করার মাধ্যমে অনার্স কোর্স সম্পন্ন করে থাকে। বিশেষ করে নামিদামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়ার ক্ষেত্রে অথবা বিভাগ অনুযায়ী অথবা জেলা অনুযায়ী যে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে সেখানে যদি ভর্তি হতে চান তাহলে সেখানকার আসন সংখ্যা অনুযায়ী আবেদন করাটাই সবচাইতে ভালো হবে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে যে সকল কলেজ বর্তমান সময়ে পরিচালিত হয়ে আসছে সে সকল কলেজের ভেতরে আপনারা সাধারণত যেগুলোতে ভর্তির জন্য আবেদন ফর উত্তোলন করেন সেগুলোর আসন সংখ্যা সম্পর্কে ধারণা প্রদান করা হলো এবং কোন বিষয়ে কতজন শিক্ষার্থী ভর্তি নেওয়া হবে সেটা জানিয়ে দেওয়া হলো।
অনার্সে কোন কলেজে কত সিট খালি আছে ২০২৩
অনেকেই প্রশ্ন করে অনার্সে কোন কলেজে কত সিট খালি আছে এটা আবার অনেকে প্রশ্ন করে কলেজের নাম দিয়ে এই যে এই কলেজে এই সাবজেক্টে কত সিট ফাঁকা আছে। এ বিষয়টি জানার আগে আমাদের বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে কয়টি অনার্স কলেজ আছে সে সম্পর্কে অবগত হওয়া উচিত এবং সেই অনার্স কলেজে কতটি সাবজেক্ট আছে সে বিষয়ে জানা উচিত।
এই বিষয়ে যদি আপনার কোন জ্ঞান না থাকে তাহলে অবশ্যই আপনাকে এই জ্ঞান অর্জন করতে হবে এবং জানতে হবে বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে মোট কতটি বিষয়ে অধ্যয়ন করানো হয়। আমরা আপনাদের এই বিষয়টি জানাবো, জানানোর পরে জানানোর চেষ্টা করব বাংলাদেশের অনার্স এর প্রত্যেকটি কলেজ ভিত্তিক কতটি সিট ফাঁকা আছে সেটা।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়টি বিভাগ ও অনুসাদ আছে ২০২৩
যদি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় একজন স্টুডেন্ট হয়ে থাকেন তাহলে এই বিষয়টি জানা আপনার জন্য খুব জরুরি একটি ব্যাপার। যেকোনো সময় আপনি এই প্রশ্নের সম্মুখীন হতে পারেন এবং যার কারণে এই প্রশ্নের উত্তর যদি আপনি না দিতে পারেন তাহলে আপনার সমস্যা হতে পারে।
আমরা আপনাদের সংক্ষিপ্ত আকারে এ বিষয়টি পরিষ্কারভাবে বোঝানোর চেষ্টা করব যে মূলত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়টি অনুষদ আছে।
একটু ভালোভাবে লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন যে আমরা উপরে 10 টি অনুষদের কথা বলেছি এবং এই প্রত্যেকটি অনুষদ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পরিচালিত হয়ে আসছে। হয়তো অনেকেই এই দশটি অনুষদ দেখে অবাক হবেন আবার অনেকেই জানেন না যে এই অনুষদ গুলোও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পরিচালিত হয়ে আসছে।
শিক্ষার্থী হিসেবে সবসময় চোখ কান খোলা রাখা উচিত যেটা অনেকেই করে না এবং অনেক সময় নিজের কলেজ সম্পর্কেও বা নিজের বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে সঠিক ধারণা না রেখে অনেক জায়গায় লজ্জিত হন। যাইহোক এই প্রত্যেকটি অনুষদে রয়েছে আবার আলাদা আলাদা বিভাগ সবমিলিয়ে আমরা এ দশটি অনুষদ বিষয়ে আপনাদের বিস্তার আলোচনা করছি।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কলা অনুষদে কয়টি বিভাগ আছে ২০২৩
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কলা অনুষদে বর্তমানে মোট আটটি বিভাগ রয়েছে। হতে পারে এই আটটি বিভাগ গুলোর মধ্যে যেকোনো একটি বিভাগের ছাত্র আপনি কিন্তু এ বিষয়টি আপনার জানা নেই। প্রতি বছর প্রত্যেকটি বিষয়ে নতুন নতুন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে এডমিশনের মাধ্যমে এবং তারা উত্তীর্ণ হলে এই বিভাগগুলোকে ভর্তি হতে পারবে। যারা কলা বিভাগের বা কলা অনুষদে ভর্তি হতে চাচ্ছেন তাদের জন্য এই প্রত্যেকটি বিভাগই উন্মুক্ত।
- বাংলা বিভাগ
- ইংরেজি বিভাগ
- আরবি বিভাগ
- সংস্কৃত বিভাগ
- ইতিহাস বিভাগ
- ইসলামী অধ্যয়ন বিভাগ
- ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ
- দর্শন বিভাগ
আমরা উপরে যে আটটি বিভাগের কথা উল্লেখ করেছি তার মধ্যে আটটি বিভাগই অতি গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ বলে বিবেচিত বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে প্রতিটি বিভাগ থেকেই প্রতিবছর অত্যন্ত মেধাবী শিক্ষার্থীর বের হয়ে আসে যারা ভবিষ্যতে দেশের কান্ডারী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে। তাই এখানে প্রত্যেকটি বিভাগের গুরুত্ব সমান বলে আমার কাছে মনে হয়।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সামাজিক বিজ্ঞান অনুসদে কয়টি বিভাগ আছে
অনেকে প্রশ্ন করে থাকে অথবা অনেকে জানতে চায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুসারে মোট কয়টি বিভাগ আছে। আসলে যারা নতুন নতুন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী হিসেবে ভর্তি হতে পেরেছে তাদের কাছ থেকে এই প্রশ্নগুলো বেশি শুনতে পাওয়া যায়। তার কারণ হলো তারা নিজের বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে একটু বেশি আগ্রহী এবং এই বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে খুঁটিনাটি সব তথ্য জানতে তারা বেশ সোচ্চার। বর্তমানে বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সামাজিকবিজ্ঞান অনুষদ পরিচালিত হচ্ছে সর্বমোট সাতটি বিভাগ নিয়ে।
- অর্থনীতি বিভাগ
- রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ
- সমাজবিজ্ঞান বিভাগ
- সমাজকর্ম বিভাগ
- নৃবিজ্ঞান বিভাগ
- গার্হস্থ্য অর্থনীতি বিভাগ
- গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান বিভাগ
উপরের বিভাগ গুলোর নাম খুব ভালোভাবে এবং মনোযোগ সহকারে দেখুন। এখানে এমন কোন বিভাগ নেই যে বিভাগ অন্য বিভাগকে ছাড় দেবে অর্থাৎ সব দিক দিয়ে প্রত্যেকটি বিভাগ সমান সম্পন্ন এবং প্রত্যেকটি বিভাগের শিক্ষার্থীরা স্বয়ংসম্পূর্ণ। তারা দেশের সর্বস্তরে অবদান রাখতে সব সময় সোচ্চার থাকে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের বিভাগ কয়টি
বাংলাদেশের মধ্যে সবথেকে বেশি জনপ্রিয় অনুষদ হচ্ছে ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পরিচালিত হয়ে আসছে। এই অনুসদে যে বিভাগগুলো রয়েছে প্রত্যেকটি বিভাগের শিক্ষার্থীরা অত্যন্ত ভালো মানের হয়ে থাকে এবং তারা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নিজের প্রতিভার প্রমাণ দিয়েই চলেছে। যারা স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রিতে ব্যবসায়ী শিক্ষা অনুষদের যে কোন একটি বিভাগ থেকে বের হয়ে আসতে পারেন তারা ভবিষ্যতে নিজের এবং নিজের পরিবারের ভবিষ্যৎ অবশ্যই উজ্জ্বল করতে পারবেন। নিচে প্রত্যেকটি বিভাগের নাম আমরা উল্লেখ করলাম।
ব্যবসায় প্রশাসন স্নাতক প্রফেশনাল
পর্যটন ও আতিথেয়তা ব্যবস্থাপনা বিবিএ প্রফেশনাল
এভিয়েশন ব্যবস্থাপনা বিবিএ প্রফেশনাল
ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিভাগ
হিসাববিজ্ঞান বিভাগ
মার্কেটিং বিভাগ
ব্যবস্থাপনা বিভাগ
আমরা উপরে মোট সাতটি বিভাগের কথা বলেছি যেখানে প্রফেশনাল তিনটি বিভাগ রয়েছে। শুধুমাত্র ব্যবসায়িক শিক্ষা অনুসারে প্রফেশনাল বিভাগের সুযোগ রয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে। যারা প্রফেশনাল পর্যায়ে পড়াশোনা করতে চাচ্ছেন এবং যারা প্রফেশনাল হয়ে এই ডিগ্রিগুলো অর্জন করতে চাচ্ছেন তাদের জন্য সুযোগ থাকছে এই বিভাগগুলোতে ভর্তি হয়ে অধ্যায়ন করার।
এর পাশাপাশি অন্য যে চারটি বিভাগ গুলো রয়েছে সেগুলো হচ্ছে দেশ সেরা বিভাগ। আপনি দেশের যেকোন প্রান্তে যদি একটি কম্পিটিশন করেন সেখানে অবশ্যই এই চারটি বিভাগের যেকোনো একটি বিভাগের একজন হলেও শিক্ষার্থী পাবেন যে নিজেকে প্রমাণ করতে পেরেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গর্বিত শিক্ষার্থী হিসেবে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বিজ্ঞান অনুষদ এর কয়টি বিভাগ আছে
অত্যন্ত গর্বের সাথে বলতে হচ্ছে যে বর্তমানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে যে বিজ্ঞান অনুষদ পরিচালিত হয়ে আসছে সেখানে প্রায় 12 টি বিভাগ পরিচালিত হয়ে আসছে। আপনারা যারা এই বারটি বিভাগ সম্পর্কে কিছুই জানতেন না তাদের জন্য তালিকাটি নিয়ে হাজির হয়েছে।
- পদার্থ বিজ্ঞান
- বিভাগ রসায়ন বিভাগ
- প্রাণ রসায়ন বিভাগ
- গণিত বিভাগ
- পরিসংখ্যান বিভাগ
- প্রাণিবিদ্যা বিভাগ
- উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ
- মনোবিজ্ঞান বিভাগ
- মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগ
- ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ
- কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগ
- পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ
আপনারা যারা উপরের বিভাগের মধ্যে যেকোনো একটিতে পড়াশোনা করেন তাদেরকে বলব আপনি অবশ্যই সঠিক জায়গাতে আছেন এবং এই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধীনে স্নাতক অথবা স্নাতকোত্তর অর্জন করতে পারলে আপনি জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে পারবেন।