মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উপর কুরআন মাজীদ নাযিল করেছেন। মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর প্রেরিত বাণী একসঙ্গে সংযুক্ত করে একটি সম্পূর্ণ কুরআন মাজীদ নাযিল করেছেন। এই কুরআন মাজীদ আমাদের জীবনের জীবন ধারণের প্রতীক। এই কুরআন মাজীদে একটি মানুষের জীবন আদর্শ থেকে শুরু করে একটি রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য যা কিছু প্রয়োজন সকল কিছুই রয়েছে।
আপনি যা যখন চান না কেন একটি কোরআনের মধ্যে আপনি সবকিছুই পাবেন। মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন মহান আল্লাহ তায়ালার একজন সবথেকে প্রিয় এবং কাছের নবী। তিনি আমাদের শেষ নবী তিনি হচ্ছেন নবীদের শিরোমণি মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর উপর যে সকল বর্ণিত হয়েছে কোরআন মাজীদ তৈরি করা হয়েছে এবং মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম নিজে থেকে যে সকল কথাগুলো বলেছেন সে সকল কথাগুলো হাদিস হিসেবে এবং তার কর্মকাণ্ডগুলো হাদিস হিসেবে বর্ণিত হয়েছে।
হাদিস আমাদের প্রত্যেকের জীবনে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমরা কোনভাবেই মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম এর দেখানো পথ ছাড়া অন্য কোন পথে পথ চলতে পারবো না। তিনি যে সকল পথ আমাদেরকে নির্দেশ করেছেন সে সকল পথে আমাদেরকে চলতে হবে তিনি যেটা আদেশ করেছেন আমরা সেটা করব তিনি যেটা নিষেধ করেছেন আমরা সেটা থেকে নিজেদেরকে বিরত রাখব। আর এভাবেই আমাদের জীবনকে অতিবাহিত করতে হবে আমরা কোনভাবেই মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম এর কথা না মেনে চলতে পারব না।
বুখারী শরীফের দুই নাম্বার হাদিস
বুখারী শরীফে হাদিসগুলো ক্রমান্বয়ে বর্ণিত হয়েছে প্রথম হাদিস এবং দ্বিতীয় হাদিস, তৃতীয় হাদিস এভাবে ক্রমান্বয়ে হাদিসগুলো বর্ণিত হয়েছে। ধারণা করা হয় যে প্রায় ৬৬৬ টি হাদিস বুখারী শরীফের বর্ণিত হয়েছে। আজকে আমরা বুখারী শরীফে বর্ণিত দ্বিতীয় হাদিসটি নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি। আপনারা যদি আমাদের এই প্রবন্ধটি পড়েন তাহলে বুখারী শরীফের যে দ্বিতীয় হাদিসটি বর্ণিত হয়েছে সে হাদিস সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আপনারা আমাদের এই প্রবন্ধের মাধ্যমে জেনে নিতে পারবেন।
অনেকে আমাদের কাছে বুখারী শরীফের হাদিস গুলো নিয়ে বর্ণনা খুঁজেছেন কিন্তু বর্ণনাগুলো খুঁজে পাননি। তবে আজকে আপনারা আমাদের এই প্রবন্ধে বুখারী শরীফের দ্বিতীয় হাদিসটি নিয়ে একটি বিস্তারিত বর্ণনা দেখতে পাচ্ছেন নিচে হাদিস নাম্বার ২ উল্লেখ করা হয়েছে। আপনারা হাদিস নাম্বার ২ থেকে বুখারী শরীফের দ্বিতীয় হাদিসটি অতি সহজেই দেখে নিতে পারছেন এছাড়াও আরো
যদি কোন হাদিসের জানা প্রয়োজন হয় বা আরো কোন হাদিস সম্পর্কে আপনাদের বিস্তারিত তথ্য জানার প্রয়োজন হয় তাহলে আপনারা আমাদেরকে জানাতে পারেন আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। আপনারা যদি আমাদের সাথে যোগাযোগ করেন তাহলে এরকম আরো অনেক হাদিস রয়েছে যে সকল হাদিসগুলো আপনার আমার এবং আমাদের সকলের জানার প্রয়োজন সেই সকল হাদিসগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা আমরা আপনাদের সামনে উপস্থাপন করার চেষ্টা করব।
হাদিস নাম্বার – ২
আবদুল্লাহ্ ইব্ন ইউসুফ (রঃ)…….. ‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, হারিস ইব্ন হিশাম (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাঃ)কে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘ইয়া রাসূলুল্লাহ! আপনার প্রতি ওহী কিভাবে আসে? রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বললেনঃ কোন সময় তা ঘন্টাধ্বনির ন্যায় আমার নিকট আসে।
আর এটি-ই আমার উপর সবচাইতে কষ্টদায়ক হয় এবং তা সমাপ্ত হতেই ফিরিশতা যা বলেন আমি তা মুখস্থ করে নেই, আবার কখনো ফিরিশতা মানুষের আকৃতিতে আমার সঙ্গে কথা বলে। তিনি যা বলেন আমি তা মুখস্থ করে ফেলি। ‘আয়িশা (রাঃ) বলেন, আমি প্রচন্ড শীতের দিনে ওহী নাযিলরত অবস্থায় তাঁকে দেখেছি। ওহী শেষ হলেই তাঁর কপাল থেকে ঘাম ঝরে পড়ত।
সুপ্রিয় পাঠক মন্ডলী, আপনারা আমাদের আজকের প্রবন্ধে হাদিস নাম্বার ২ দেখতে পেয়েছেন এবং এখানে যে সকল বিষয়গুলো উল্লেখ করা হয়েছে সে সকল বিষয়গুলো কোন ভাবেই অবাঞ্চিত নয় এগুলো সম্পূর্ণরূপে সত্য এবং মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম ঠিক যেভাবে বর্ণনা করেছেন আমরাও ঠিক সেভাবে বর্ণনা করার চেষ্টা করেছি।