বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে আমরা সকলে ই ১৯৭১ সালের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের সম্পর্কে জানি। বাঙালি জাতির গর্ব মুক্তিযোদ্ধারা। মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান জানাতে এবং দেশত্ববাদের চেতনাকে জাগ্রত করতে অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের মুক্তিযুদ্ধের ( black and white picture ) সাদা কালো ছবিগুলো শেয়ার করা হয়।
অনুপ্রেরণামূলক এবং দুঃখ প্রকাশ করে বাংলাদেশের অনেক নাগরিক মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে বিভিন্ন ধরনের স্ট্যাটাস আপডেট দেয় তখন মুক্তিযুদ্ধের এইসব ছবি প্রয়োজন। কে আমরা মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে সংক্ষেপে বর্ণনা দেওয়ার চেষ্টা করব এবং মুক্তিযুদ্ধের পিকচার গুলি আপনাদের সমস্ত আপলোড করে শেয়ার করার চেষ্টা করব আপনাদের মাঝে।
১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চ রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ঘুমন্ত বাঙালির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। তখন নিরীহ বাঙ্গালীদের কাছে কোন অস্ত্র ছিল না বঙ্গবন্ধু নেতৃত্বে দীর্ঘ নয় মাস বাংলার ছেলেরা যুদ্ধ করে গেছে। তারপর বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। আমরা আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মসমর্পণ সারা জীবন মনে রাখব। দেশের মুক্তিযোদ্ধারা আজীবন আমাদের কাছে অমর হয়ে থাকবে।
আমাদের পরবর্তী জেনারেশন অর্থাৎ শিশুদের মাঝে মুক্তিযোদ্ধাদের কাহিনী গল্প আকারে উল্লেখ করতে হবে। শিশুদের জানাতে হবে কিভাবে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল। বাঙ্গালীদের আত্মসমর্পণ সম্পর্কে আমাদের শিশুদের জানিয়ে তুলতে হবে। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধের ছবিগুলো তাদের দেখানো উচিত।
মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কিত কিছু তথ্য এবার আপনারা জেনে নিন।
ঢাকায় গণহত্যা চালানোর পর পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ১০ এপ্রিলের মধ্যে সমগ্র বাংলাদেশ নিজেদের আয়ত্তে আনার পরিকল্পনা গ্রহণ করে। কিন্তু বাঙালিরা তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে থাকে। যুদ্ধের প্রথম দিকে বাঙালিদের প্রতিরোধ ছিল স্বতঃস্ফূর্ত, কিন্তু অসংগঠিত। এই প্রতিরোধ দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার সম্ভাবনা ছিল না। তবে, পাকিস্তানি বাহিনী সাধারণ নাগরিকদের ওপর আক্রমণ শুরু করলে পরিস্থিতি দ্রুত পাল্টে যায় এবং প্রতিরোধ তীব্রতর হয়ে উঠে।
ক্রমশ মুক্তিবাহিনীর তৎপরতা বাড়তে থাকে। পাকিস্তানি সেনাবাহিনী তাদের দমনে সর্বাত্মক চেষ্টা করে। কিন্তু অধিকাংশ বাঙালি সৈনিক পাকিস্তানের পক্ষ ত্যাগ করে বাংলাদেশের পক্ষে “গুপ্ত সেনাবাহিনী”তে যোগদান করে। সেনাবাহিনী ও ইপিআর সদস্যরা বিদ্রোহ করে চট্টগ্রাম শহরের একটি বড় অংশ নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়। চট্টগ্রাম শহরের নিয়ন্ত্রণ পেতে পাকিস্তানি বাহিনীকে যুদ্ধজাহাজ থেকে গোলাবর্ষণ করতে হয় এবং বিমানে আক্রমণ চালাতে হয়। বিদ্রোহী সেনারা কুষ্টিয়া, পাবনা, বগুড়া, দিনাজপুর ইত্যাদি জেলারও নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়।
বাঙালি সেনারা একসময় মুক্তিবাহিনীর সাথে মিলিত হয়ে তাদের অস্ত্র সরবরাহ করে। পাশাপাশি ভারত থেকেও অস্ত্রের চালান আসতে থাকে। পরিস্থিতি সামাল দিতে কর্তৃপক্ষ দুই ডিভিশন সেনা পূর্ব পাকিস্তানে পাঠিয়ে সেনাবাহিনীকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নেয়। বিপুল সৈন্য ও অস্ত্রশস্ত্রের মাধ্যমে সেনাবাহিনী মে মাসের শেষ নাগাদ অধিকাংশ মুক্তাঞ্চলের দখল নিয়ে নেয়। এই সময়ে রাজাকার, আল বদর, আল শামস প্রভৃতি আধা-সামরিক বাহিনী গঠন করা হয়। মূলত মুসলিম লীগ ও অন্যান্য ধর্মীয় রাজনৈতিক দলের সদস্য, বাংলাদেশের স্বাধীনতাবিরোধী বাঙালি এবং দেশভাগের সময় আসা বিহারি মুসলিমদের নিয়ে এই দলগুলো গঠিত হয়।
১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ১৭ এপ্রিল তৎকালীন কুষ্টিয়া জেলার মেহেরপুর মহকুমার (বর্তমানে জেলা) বৈদ্যনাথতলার ভবেরপাড়ায় (বর্তমানে মুজিবনগর) মুজিবনগর সরকার গঠিত হয়। পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি, তার অনুপস্থিতিতে সৈয়দ নজরুল ইসলামকে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি, তাজউদ্দীন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী এবং এম. এ. জি. ওসমানীকে মুক্তিবাহিনীর সর্বাধিনায়ক হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
মার্চের শেষদিক থেকে পাকিস্তান সেনাবাহিনী বাংলাদেশের গ্রামে-গঞ্জে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থক ও সংখ্যালঘুরা বিশেষভাবে তাদের রোষের শিকার হয়। আক্রমণ থেকে বাঁচতে দলে দলে মানুষ ভারতের সীমান্তের দিকে এগিয়ে আসতে থাকে।
এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া শরণার্থীদের এই স্রোত নভেম্বর পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। এই সময়ে প্রায় এক কোটি শরণার্থী ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও আসাম রাজ্যে আশ্রয় নেয়। পাকিস্তানি সেনাদের ওপর মুক্তিবাহিনীর গেরিলা আক্রমণ অব্যাহত থাকে। কিন্তু অস্ত্র ও প্রশিক্ষণের অভাবে যুদ্ধ পরিকল্পিত রূপ লাভ করতে করতে জুন মাস পার হয়ে যায়।
আমাদের এই আর্টিকেলটি পরে আপনি আপনার বাচ্চাকে মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে অনেক তথ্য জানাতে পারবেন এবং মুক্তিযুদ্ধ ঘটাকালীন মৃতদেহ ও ধ্বংসস্তূপে ছবিগুলো আপনারা পোস্ট করতে পারবেন এবং বাচ্চাদের দেখাতে পারবেন।। আশা করি আমাদের আর্টিকেল থেকে আপনি সকল ধরনের মুক্তিযুদ্ধের পিকচার গুলি পেয়ে যাবেন।