আমরা আমাদের জীবন চলার পথে বিভিন্ন ধরনের বালা-মুসিবত বা কঠিন বিপদের সম্মুখীন হতে পারি। কারণ জীবন যে একেবারে মসৃণ পথ তা কিন্তু নয়। জীবনে চলতে গেলে বিভিন্ন ধরনের বিপদ আসবেই। আর এই বিপদ থেকে মুক্তি পেতে হলে আমাদের অবশ্যই পরম করুনাময় আল্লাহতালার কাছে প্রার্থনা জানাতে হবে। এমনই একটি বিষয় হলো কঠিন বিপদ আসলে আমরা কোন দোয়া পাঠ করবো সেই বিষয়ে আজকে আমরা আপনাদেরকে জানিয়ে দেবো।
কারণ যখন বাজে কাজের জন্য যে দোয়া ইসলামে সেই ভাবে আলাদা আলাদা করা হয়েছে। এজন্যই বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবেই বলা হয়ে থাকে ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। আপনারা আজকে বিপদে পড়লে অর্থাৎ বিপদের সময় আল্লাহপাক কি দোয়া পাঠ করতে বলছেন অর্থাৎ কি দোয়া করে আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থী হবেন সে বিষয়ে আজকে আপনাদেরকে দেখাবো।
কারণ জীবনে সুখ দুঃখ আলো আঁধারে বিপদ আপদ এগুলো থাকবেই। তবে আমাদের সবসময়ই খেয়াল রাখতে হবে যে আমরা যেন কখনোই বিপদের সম্মুখীন না হতে হয়। তবে যদি বিপদের সম্মুখীন কখনো হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা জানাতে হবে। প্রতিটি মুসলিম অবশ্যই বিশ্বাস করে যেহেতু আল্লাহতালা তিনি বিপদ দিয়েছেন এবং এই বিপদ থেকে তিনি মুক্ত করবেন। আল্লাহতালা বান্দাদের পরীক্ষা করার জন্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের বিপদ দিয়ে থাকেন। এবং এই বিপ দ এলে তার বান্দাগণ কি করেন তার ওপর বিশ্বাস রাখেন কিনা এই বিষয়টিতে তিনি
পরীক্ষা করতে থাকেন। তাই আমরাও আজকে কঠিন বিপদ এলে আপনি কি দোয়া পাঠ করবেন সে বিষয়ে সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানাবো। আপনারা জানেন জীবন ছোট্ট হলেও অত ছোটও নয় যে কখনো আপনি কোন ধরনের বিপদের সম্মুখীন হতে পারো না পড়াবেন না। কারণ এই পৃথিবী সব কিছুই আল্লাহতালার হুকুমে চলছে যে কোন সময় আপনার যে কোন কিছু ঘটে যেতে পারে। তবে আপনাকে সবসময় স্মরণ রাখতে হবে মহান আল্লাহ তালাকে।
মহান আল্লাহ তায়ালাকে স্মরণ করে এগিয়ে চলতে হবে জীবনের পরবর্তী ধাপে। তাই চলতে চলতে কোন এক সময় কোন ধরনের যে বিপদ আসবে না এটি কখনোই হতে পারে না। মানুষের সময় সব সময় আর যাবে না পরিবর্তন হবেই আর এটি হলো জীবনের নিয়ম। তবে আমাদের সব সময় আল্লাহতালার উপর বিশ্বাস রাখতে হবে। মহান আল্লাহতালা আমাদেরকে যেভাবে পরিচালনা করবেন আমাদের সব সময় সেভাবেই চলতে হবে এবং যতই বিপদ আসুক কখনো আল্লাহতালার উপর
থেকে বিশ্বাস সরানো যাবে না। সব সময় এই কথা বিশ্বাস করবেন যে, তিনি আমাদেরকে বিপদ দিয়েছেন আবার তিনি আমাদের এই বিপদ থেকে রক্ষা করবেন। তাই চলুন আমরা এখন এই বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য কি কি করতে পারি বা কোন দোয়া পাঠ করতে পারি সেই বিষয়টি। আবার এ কথাও স্বীকার করতে হয় যে আমরা যখন বিভিন্ন ধরনের চরম অন্যায় করে থাকি বা অন্যায়ের পথে যাই তখনো আমাদের বিপদে পতিত হতে হয়।
এখন আমরা দেখব যে আমাদের বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ বিপদের সময় কি করতেন বা আমাদের কি করতে বলে গেছেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু যখনি কোন কঠিন সমস্যা বা বিপদে সম্মুখীন হয়েছেন তখনই আল্লাহর কাছে একান্ত ভাবে দোয়া প্রার্থনা করতেন। বিপদ মুসিবত থেকে মুক্ত থাকতে মহানবীর ছোট আবেদন হলো ‘হে চিরঞ্জীব! হে চিরস্থায়ী! আপনার রহমতের মাধ্যমে আপনার নিকটে সাহায্য চাই।’ (তিরমিজি, মুসতাদরেকে হাকেম, মিশকাত)। আবার তিনি যখন অন্য মানুষকে বিপদে পড়তে দেখেছেন তখন তার জন্য তিনি দোয়া প্রার্থনা করেছেন আল্লাহ তাআলার নিকট। এই তোমার ব্যাপারে হাদিসে এসেছে।
তিনি অর্থাৎ বিশ্বনবী বলেছেন যে কেউ যদি বিপদগ্রস্ত হয় তাহলে তার জন্য তোমরা এই দোয়া পাঠ করবে। -اَلْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِىْ عَافَانِىْ مِمَّا ابْتَلَاكَ بِهِ – وَ فَضَّلَنِىْ عَلَى كَثِيْرٍ مِّمَنْ خَلَقَ تَفْضِيْلَاউচ্চারণ : আলহামদুলিল্লাহিল্লাজি আফানি মিম্মানিবতালাকা বিহি; ওয়া ফাদ্দালানি আলা কাছিরিম মিম্মান খালাকা তাফদিলা।’অর্থ : সব প্রশংসা আল্লাহর জন্য যিনি তোমাকে বিপদাক্রান্ত করেছেন; তা থেকে আমাকে নিরাপদ রেখেছেন এবং আমাকে তিনি তার মাখলুক থেকে মাখলুকের ওপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন।’ তখন তাকে এ মুসিবত কখনো স্পর্শ করবে না।’ (তিরমিজি)