শরীর যখন আছে আমাদের তখন এই শরীরে অবশ্যই যে কোন অসুখ বাসা বাঁধতেই পারে। কিন্তু যদি আপনার শরীরের উপর আপনার নিকট আত্মীয় অথবা প্রিয় ব্যক্তির শরীরে যখন কোন কঠোর রোগ হয়ে থাকে তখন সেই কঠিন রোগ থেকে মুক্তির উপায় খুঁজতে থাকেন। বিভিন্ন ধরনের ডাক্তার কবিরাজ ইত্যাদির কাছে যান সেবন করেন এবং যে যায় বলে আপনারা তাই করতে থাকেন। মানুষের এই সুন্দর পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে কখনোই ইচ্ছা করে না। মহান রাব্বুল
আলামিনের কাছে আমরা বিভিন্নভাবে ফরিয়াদ জানাই আল্লাহতালার কাছে প্রার্থনা করি যেন আমাদের এই কঠিন রোগ মুক্তি হয় এবং রোগ থেকে আমরা যেন মুক্তি পাই। তাই আল্লাহতালা এই কঠিন রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার দোয়া দিয়েছেন আমাদেরকে। আপনি যদি কঠিন রোগ থেকে মুক্তি পেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনি এই দোয়া পাঠ করবেন তাহলে অবশ্যই রোগ মুক্তি ঘটাবে ইনশাআল্লাহ।
মানুষের শরীর বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকমের হয়। আল্লাহতালা যে বিধান দিয়েছে সে বিধান অনুযায়ী আমরা সব সময় চলার চেষ্টা করি কিন্তু কখনো কখনো অবশ্যই সেই পথ থেকে বিচ্যুত হতে থাকে। পথ থেকে বিচ্যুত হলে আল্লাহ শরণাপন্ন থেকে যখনই দূরে সরে যায় তখন অবশ্যই আল্লাহ তা’আলা আমাদেরকে পরীক্ষা করেন তার জন্য তিনি বিভিন্ন ধরনের বিপদ বালা মুসিবত দিয়ে থাকেন যে তিনি আল্লাহর পথে ফিরে আসেন কিনা। মানুষের কখনোই আল্লাহতালার পথ থেকে দূরে সরে
যাওয়া ঠিক নয়। যেহেতু আল্লাহ তাআলার হুকুম ছাড়া এই পৃথিবীতে কখনো কোথাও কিছু ঘটেনি ঘটবে না। তাই আপনারা যদি এই কঠিন রোগ থেকে মুক্তি পেতে চান তাহলে অবশ্য একমাত্র তারই শরণাপন্ন হন। তিনি এই রোগ দিয়েছেন আমার সারিয়ে তুলবেন তিনি তাই সব সময় আল্লাহতালার স্মরণ নেন এবং কঠিন রোগ থেকে মুক্তির যেতে রয়েছে সেই দোয়া পাঠ করতে থাকেন।
অবশ্যই আল্লাহ এক সময় খুশি হয় আপনার রোগ মুক্তি করে দিবেন। এখন কথা হচ্ছে যে এই রোগ মুক্তির জন্য আমাদের কোন দোয়া পাঠ করতে হবে সেটা হয়তো সবাই জানেন না। তাই আমরা আপনাদেরকে আজকে কঠিন রোগ থেকে মুক্তি পেতে দেওয়া রয়েছে সেই দোয়া আপনাদের সামনে প্রকাশ করব আপনাদের সামনে উপস্থাপন করব আপনারা দেখে নিতে পারবেন। মুসিবত রোগ ইত্যাদি থাকবে তাই বলে কখনোই আল্লাহতালার পথ থেকে বিচ্যুত হওয়া চলবে না।
সব সময় তারা শরণাপন্ন থাকতে হবে তাহলে এ ধরনের কখনো হবে না। আর যদি কখনো এ ধরনের রোগ বালাই হয়ে থাকে তাহলে আপনারা অবশ্যই তার শরণাপন্ন হবেন তার কাছে প্রার্থনা জানাবেন তিনি অবশ্যই আপনার রোগ মুক্তি ঘটাবেন। কিন্তু আমাদেরকে জানতে হবে দোয়া করার পদ্ধতি এবং কোন দোয়া করলে রোগ মুক্তি করতে পারে সে বিষয়গুলো। সঠিক পথে সঠিকভাবে আল্লাহর প্রার্থনা করলে অবশ্যই তিনি তা কবুল করবেন এবং আমাদের রোগমুক্তি সহ ভালোভাবে বেঁচে থাকার তৌফিক দান করবেন।
তাই আমাদের উচিত সঠিকভাবে তার দোয়া করা তার কাছে প্রার্থনা জানানো যেন তিনি আমাদের সহ পৃথিবীর সকলকে সুস্থ স্বাভাবিক ভালো পথে রাখেন। পৃথিবীতে যা কিছু করছে সবকিছুই তার ইচ্ছায় করছে তাই আমরা একমাত্র পারি শরণাপন্ন হব তাকেই ডাকতো বিপদে সুখে দুঃখে সব সময়। কিন্তু ইসলাম যেহেতু একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান তাই কখন কোন সময় আপনি কি দোয়া করবেন কোন দোয়া পাঠ করলে কি হয় সবকিছুই ইসলামে দেওয়া রয়েছে। তাই আপনারা যদি ইসলামের পথে থাকেন তাহলে সব সময় বুঝতে পারবেন যে কখন কোন দোয়া করতে হবে।
এখন আমরা দেখব রোগমুক্তির দোয়া। কঠিন রোগ-ব্যাধি থেকে মুক্তি পেতে হাদিসের এ দোয়াটি খুবই কার্যকরী-
اَللهم إنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ البَرَصِ، وَالجُنُونِ، وَالجُذَامِ، وَسَيِّيءِ الأَسْقَا
উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল বারাসি; ওয়াল জুনুনি; ওয়াল ঝুজামি; ওয়া সাইয়্যিয়িল আসক্বাম।’
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমি অবশ্যই তোমার কাছে ধবল, উন্মাদ, কুষ্ঠরোগ এবং সব ধরণের কঠিন রোগ-ব্যাধি থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।’ (আবু দাউদ, নাসাঈ, মুসনাদে আহমাদ, রিয়াদুস সালেহিন)