চোখের-যিনা-থেকে-বাঁচার-দোয়া

তথ্যপ্রযুক্তি হাতের মুঠোয় চলে আসার কারণে পুরো পৃথিবীতে এই প্রযুক্তির অপব্যবহার করা হচ্ছে, ইন্টারনেট, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আমাদের মুসলিম ভাই বোনেরা অনেক খারাপ কাজে লিপ্ত হয়ে যাচ্ছে।চোখের যিনা থেকে বাঁচার জন্য যে দোয়া রয়েছে আপনি যদি নিয়মিত সেই দোয়া পাঠ, এবং আমল করতে পারেন। তাহলে আপনি অশ্লীল কাজ থেকে ফিরে আসতে পারবেন, পর্নোগ্রাফি,অশ্লীলতা, বা আপনার মনের বাসনাকে দূর করতে পারবেন, মেয়েদের প্রতি কুদৃষ্টি দেওয়া থেকে আপনি নিজেকে সংযুক্ত রাখতে পারলে এতে আপনি লাভবান হবেন।

পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে,নিশ্চয়ই কান, চোখ হৃদয় এর প্রতিটি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে। আমাদের সব সময় সৃষ্টিকর্তার ওপর ভরসা রাখা উচিত, এবং সৃষ্টিকর্তাকে ভয় করা উচিত, সৃষ্টিকর্তা পবিত্র কোরআনে যে কাজ গুলো করতে নিষেধ করেছেন সেই কাজগুলো থেকে আমাদের নিজেকে বিরত রাখা উচিত সব সময়। সৃষ্টিকর্তা কুরআনে বলেছে নিজের চোখের হেফাজত করতে আমরা যদি চোখের হেফাজত না করে, খারাপ কিছু দেখি খারাপ কিছু করি তাহলে আল্লাহ তাআলা চাইলেই আমাদের চোখের বিভিন্ন রোগ বা সমস্যা দিয়ে পরিক্ষা নিতে পারে।

তাই আমাদের সব সময় ভাবতে হবে আমরা এই পৃথিবীতে যা কিছু করি না কেনো সৃষ্টিকর্তা উপর থেকে দেখতে পাচ্ছেন। আমরা এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকাকালীন নানান ধরনের ফিতনার মধ্যে দিয়ে জীবন যাপন করি নানা রকম খারাপ কাজ করি আজ পুরো থেকে আমাদের দূরে থাকার চেষ্টা করতে হবে সব সময়।

আমাদের ইসলামী সংগঠনগুলো বা বিভিন্ন মাদ্রাসায় আমরা এখন পর্দা করা এবং চোখে হেফাজত করা নিয়ে বিভিন্ন বয়ান শুনতে পাই সে বয়ানগুলো আমাদের মেনে চলা উচিত। আমাদের জীবনে চলার পথে সারাদিন আমাদের অনেক কিছু চোখ দিয়ে দেখতে হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় আমরা অনেক অশ্লীল বিজ্ঞাপন দেখতে পাই যা আমাদের চোখের হেফাজত করে না। তাই যত সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে থাকাই উচিত।

দৃষ্টিপাত সম্পর্কে নবীজি (সা.) কড়া হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘তোমার অনুমতি ছাড়া কেউ যদি তোমার ঘরের ভেতর তাকায় আর তুমি কঙ্কর মেরে তার চোখ ফুটো করে দিয়ে থাকো, এতে তোমার কোনো দোষ হবে না।’ বুখারি : ৬৮৮৮

উপরের এই কথার অনুযায়ী আমরা বুঝতে পারি মহানবী সাল্লাল্লাহু সাল্লাম কত কড়া ভাবে নিষেধ করেছেন প্রতিটি মুসলিম কে পাপ কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য।সেই সাথে সাথে অশ্লীল কাজ থেকে দূরে থাকতে বলেছেন, ইসলামে আরো রয়েছে নারী মুসলিম কেউ কারো দিকে তাতে পারবেনা। কিন্তু এখন চিত্র পুরোটাই
উল্টো, সবাই অবাধে মেলামেশা করছে জীবন যাপন করছে,

আমাদের মুসলিম নারীদের উচিত নিজেকে সংযত রাখা এবং তাদের লজ্জা স্থান ঢেকে রাখা, কোরআনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে একজন নারী তার স্বামী, বাবা, শশুর ছেলে, স্বামীর ছেলে,ভাই, ভাতিজা, ভাগিনা তাদের মালিকানাধীন। এই মানুষগুলো ছাড়া মানুষের সামনে যাওয়া তার নিষেধ রয়েছে।একজন মুসলিম হিসেবে আমাদের সব সময় নিয়ে নিসিদ্ধ বস্তু দূরে থাকা উচিত, আল্লাহ তালা পবিত্র কোরআনে বলেন, মুসলিম পুরুষরা যেন তার চোখকে সংযত রাখে, তার সাথে,সাথে তার লজ্জা স্থানগুলো হেফাজতে রাখে।

চোখের গুনাহ থেকে বাঁচা যায় যে কাজ করলে

১.অসৎ সঙ্গ থেকে দূরে থাকতে হবে যারা সব সময় খারাপ কাজ করে যাদের মধ্যে মূল্যবোধ নেই তাদের থেকে দূরে থাকতে পারলে নিজেকে গুনাহ থেকে বাঁচানো সম্ভব।

২.যত তাড়াতাড়ি পারা যায় বিবাহ করে নেয়া উচিত, কেননা বিবাহ করলে পাপ কাজ থেকে বিরত থাকতে পারবেন।

৩.সব সময় এই কথাটি মনে রাখতে হবে যে যে না বা ব্যভিচার যা চোখ দ্বারা সম্পূর্ণ হয়ে থাকে ওকে সব সময় সনজিত রাখতে হবে, তার সাথে সাথে চোখ দিয়ে নামাজ পড়তে হবে। একমাত্র নামাজই পারে মানুষকে সব ধরনের আজ থেকে দূরে রাখতে ।

৪.প্রতিটা সময় কোন কিছু দেখার সাথে সাথে স্মরণ করা উচিত তাহলে কিছুটা হলেও পাপ কাজ আপনি বিয়েতে থাকতে পারবেন।
৫.মন্দ কোন কিছু দেখলে বা করলে সাথে সাথে ইস্তেগফার উচিত, মনে রাখতে হবে প্রত্যেকটি চোখের দৃষ্টি সম্পর্কে কিয়ামতের দিন আল্লাহ তায়ালা আপনাকে প্রশ্ন করবেন!

Leave a Comment