যেকোনো বড় ধরনের বিপদ থেকে রক্ষা পেতে হলে অবশ্যই আমাদের সৃষ্টিকর্তার কাছে দোয়া প্রার্থনা করে সাহায্য চাইতে হবে। রাসুলুল্লাহ সাল্লালাহু সাল্লাম যখন কোন বিপদে পড়তেন তখন তিনি আল্লাহর কাছে দোয়া করে নিজের জন্য সাহায্য প্রার্থনা করতেন। পবিত্র কোরআন হাদীসে অনেক ধরনের দোয়া পাওয়া যায় যে দোয়াগুলো দ্বারা আমরা আল্লাহতালার কাছে থেকে সাহায্য প্রার্থনা করতে পারি।
আজকের আজকাল কি হলো শরীর বন্ধ করার দোয়া সম্পর্কে, আপনারা অনেকেই জানতে চান শরীর বন্ধ করার দোয়া কোনটি ? আমরা আমাদের আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনারা জানানোর চেষ্টা করব শরীর বন্ধ করার ক্ষেত্রে কোন দোয়া পড়লে বা সূরা পড়লে আপনি শরীর বন্ধ করতে পারবেন যে কোন ব্যক্তির। আমাদের বিভিন্ন সময়ে মানুষের বদ নজর থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য বিভিন্ন রকম দোয়া পড়তে হয় বা ফুল বন্ধ করার জন্য দোয়া পড়ে থাকে। আমাদের আশেপাশে, বা আমাদের অনেক আত্মীয়-স্বজন আছে যারা আমাদের হিংসুকের মত হিংসা করে।
আপনি আশেপাশের চোখ দিলে দেখতে পাবে কয়েক মানুষ আসে যারা আপনার যে কোন অর্জনে হিংসাতে জ্বলে পুড়ে যায়। এরা বিভিন্ন সময়ে মানুষের বড় ক্ষতি করে থাকে রাসুলুল্লাহ সাল্লালাহু সাল্লাম তার উম্মতদেরকে বদ নজর থেকে দূরে থাকার বা সতর্কতা অবলম্বন করার কথা বলেছেন।আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত যে রাসুল (সা.) বলেছেন, হ্যাঁ বদ নজর লাগা এটা সত্য ব্যাপার এটা হাদিস শরীফে এসেছে।
সবসময় চেষ্টা করতে হবে নিজের পরিবার ও নিজের ছেলে মেয়ে সন্তানকে খারাপ মানুষের বদ নজর থেকে রক্ষা করতে। তাই আপনাকে প্রতিদিন আল্লাহ কাছে নিজের পরিবারের মানুষের জন্য নামাজ পড়ে দোয়া করতে হবে এতে করে আল্লাহ চাইলে আপনি মন্দ লোকের কুদৃষ্টি থেকে আশ্রয় পেতে পারেন। বা খারাপ কাজ থেকে নিজেকে বাঁচাতে মহানবী সাল্লাল্লাহু সাল্লাম বিভিন্নভাবে কোরআন শরীফ অনুযায়ী বিভিন্ন আমল করতেন মানুষের বদনজর থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য।
শরীর বন্ধ করার দোয়া
আমরা এই মুহূর্তে আপনাদের জানাবো শরীর বন্ধ করার দোয়া সম্পর্কে কিভাবে আপনি, খারাপ মানুষের থেকে আপনার শরীর কে বন্ধ করে রাখবেন। পবিত্র কোরআন হাদিসে দুটি সূরার কথা বর্ণিত রয়েছে মানুষের বদ নজর থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সাহাবী আবু সাঈদ রাঃ ও রাসূলাল্লাহ সাল্লাম এই দোয়াগুলো পড়তেন আপনারা চাইলেও আপনারা যদি আপনাদের শরীর বন্ধ করার দোয়া পড়তে চান তাহলে এই দোয়া দুইটি পড়তে পারেন।
তখন তিনি তাঁর উভয় হাতের তালুতে সুরা ইখলাস ও মুআউওজাতাইন অর্থাৎ সুরা ফালাক ও সুরা নাস পড়ে ফুঁক দিতেন। তারপর উভয় তালু দ্বারা আপন চেহারা ও দুই হাত শরীরের যত দূর পৌঁছায় তত দূর পর্যন্ত মাসাহ করতেন। আয়েশা (রা.) বলেন, এরপর রাসুল (সা.) যখন অসুস্থ হন তখন তিনি আমাকে অনুরূপ করার নির্দেশ দিতেন। ইউনুস (রহ.) বলেন, আমি ইবনে শিহাব (রহ.)-কে, যখন তিনি তাঁর বিছানায় শুতে যেতেন, তখন অনুরূপ করতে দেখেছি।
বদ নজর থেকে বাঁচতে হলে আপনাকে আরো বেশ কয়েকটি চিকিৎসা করতে হবে যারা বদ নজর থেকে বাঁচতে চান তারা চেষ্টা করবেন সবসময় ওযু করে থাকার বা পবিত্র থেকে নিজেকে সবসময় মানুষের কুদৃষ্টি বা বর্ণনা থেকে রক্ষা করার। মহানবী সারা সালাম তার শরীর বন্ধ করার জন্য প্রতিদিন সূরা ইখলাস ও সূরা ফালাক সূরা নাস পাঠ করে পুরো শরীরে ফু দিয়ে শরীর বন্ধ করে রাখতেন যেন কোন খারাপ মানুষের কুদৃষ্টি তার শরীরে আক্রমণ করতে না পারে।
তাই আপনারা মানুষের কু নজর থেকে বাঁচতে সব সময় পাক পবিত্র থাকার চেষ্টা করবেন। সেই সাথে আপনারা চেষ্টা করবেন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইতে আপনি আল্লাহর কাছে নিয়মিত খারাপ মানুষের থেকে বাঁচতে দোয়া করে আপনার ও আপনার পরিবারের জন্য সাহায্য চাইবেন ইনশাল্লাহ আল্লাহ চাইলে কোন খারাপ মানুষ আপনার কিছু করতে পারবে না।