ইসলাম ধর্মে বলা হয়েছে অহংকার করা মহাপাপ। অহংকারে পত্তন। আমরা যেই জিনিস নিয়ে অহংকার করব সেই জিনিস আর আমাদের থাকে না। অহংকারীরা আল্লাহর নজরে পাপী। যারা অহংকার করে তাদের মানসিকতা অনেক নিচ হয়ে থাকে। মানুষ হিসাবে আমাদের মহৎ হতে হবে। আল্লাহর দেখানো পথে আমাদের চলতে হবে। মহান আল্লাহ সৃষ্টিকর্তা আমাদের সৃষ্টি করেছেন আমাদের এই সুন্দর পৃথিবী উপহার দিয়েছেন। তাই সবসময় আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ থাকতে হবে।
আল্লাহ যে সকল জিনিস হারাম বলে উল্লেখ করেছেন সেই সকল থেকে নিজেকে বিরত রাখার চেষ্টা করতে হবে। আল্লাহর অপছন্দ হয় এরকম কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে হবে। যারা অহংকার করে আল্লাহ তাদের মোটেই পছন্দ করেন না। এজন্য অহংকারী ব্যক্তিদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে হবে এবং গতিপ্রতিদের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতে হবে। আল্লাহর বান্দা নবীজিদের মতো উদার মানসিকতা প্রদর্শন করতে হবে।একজন অহংকারীকে মানুষ তার চাহিদার বিপরীত দান করে। সে চায় সম্মান, কিন্তু মানুষ তাকে ঘৃণা করে।
অহংকার একটি খারাপ গুণ। এটি ইবলিস ও দুনিয়ায় তার সৈনিকদের বৈশিষ্ট্য; আল্লাহ যাদের অন্তর আলোহীন করে দিয়েছেন। আমরা মুসলিম জাতি আমরা উদার মানসিকতার পরিচয় দিয়ে নিজের ধর্মকে সর্বশ্রেষ্ঠ করার চেষ্টা করব। যারা অহংকার করে আমরা তাদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখবো। অহংকারীদের কখনোই প্রশ্রয় দিবোনা। অহংকারী ব্যক্তিরা যদি
অহংকার করে তাহলে আমরা তাকে বোঝানোর চেষ্টা করব যে ইসলাম ধর্মে অহংকার করা একেবারে নিষিদ্ধ। অহংকার করলে আল্লাহ তার জন্য প্রযোজ্য শাস্তির রেখেছেন। যারা অহংকার করে তাদের কোনদিনই ভালো হয় না। তাই একজন মুসলিম হিসেবে আমরা কখনোই অহংকার করবো না এবং অহংকারী বন্ধুদের থেকে দূরত্ব রাখার চেষ্টা করব।
প্রিয় পাঠক বন্ধুগণ আজকে আমরা আমাদের এই আর্টিকেলটিতে উল্লেখ করব ইসলাম ধর্মে অহংকারের বিরুদ্ধে কি কথা বলা হয়েছে। অহংকার থেকে আমাদের নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখতে হবে। অহংকারী মানসিকতা যাতে আমাদের স্পর্শ না করে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। শুধু ইসলাম ধর্মেই নয় সকল ধর্মের নৈতিক শিক্ষা অনুযায়ী অহংকারী ব্যক্তিরা প্রশংসনীয় নয়। যারা অহংকার করে তারা সমাজের নিজ মানসিকতার পরিচয় দেয়। আমরা মুসলিম জাতি তাই আমরা আল্লাহর দেখানো পথে চলবো।
আল্লাহ আমাদের এই পৃথিবীতে পাঠিয়েছে জীব সেবা করতে এবং গরিব-দুঃখীদের পাশে দাঁড়াতে। অহংকারী মনোভাব না নিয়ে উদার মানসিকতা নিয়ে একে অপরের পাশে দাঁড়াতে হবে তাহলে আল্লাহ খুশি হবে এবং আমাদের দোয়া কবুল করবে। আজকে আমরা জেনে নেব হাদিসের অহংকার সম্পর্কে কি কথা বলা হয়েছে।
আমরা মুসলিম জাতি অনেকেই জানিনা হাদিসে অহংকার সম্পর্কে কি বলা হয়েছে। মুসলিম হিসেবে, আল্লাহর বান্দা হিসেবে আমাদের এই তথ্যগুলো জানা প্রয়োজন। চলুন আমরা জেনে নিন অহংকার সম্পর্কে হাদিসে কি বলা হয়েছে:-
অহংকার আরবি ‘কিবরু’র প্রতিশব্দ। হাদিসের পরিভাষায় অহংকার হলো- ‘সত্যকে অস্বীকার করা; মানুষকে হেয় করা।’ নিজেকে অন্যের তুলনায় বড় জানা এবং অন্যকে তুচ্ছ-নিকৃষ্ট মনে করাই অহংকার।ইমাম যুবাইদি রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেছেন, ‘অহংকার হলো নিজেকে বড় মনে করা, নিজের ভালো গুণে প্রীত হওয়া, অন্য মানুষকে নীচ ও ছোট মনে করা, যাদের প্রতি বিনয়ী হওয়া দরকার তাদের চেয়ে নিজকে উঁচু মনে করাই অহংকার। নিজেকে উচ্চ এবং মহান মনে করা যাবে না। আপনি নিজে মহান নয়। এই পৃথিবীতে আমরা মানুষ সকলেই সমান। মহান এক আল্লাহ। তিনি এই জগতের পরিচালক। আল্লাহর দেখানো পথেই আমাদের চলতে হবে।
মানুষ যখন খারাপ পরিস্থিতি থেকে উন্নতি রেখে উঠতে থাকে তখন মানুষ নিজেকে অনেক বড় মনে করে। মানুষ যখনই নিজেকে বড় মনে করবে তখনই সেই মানুষের ভেতরের মনুষত্ব আস্তে আস্তে শেষ হতে থাকবে। মানুষের মাঝে যদি উদারতা এবং মনুষত্ববোধ না থাকে তাহলে মানুষ সমাজবদ্ধভাবে বাস করতে পারবে না। পৃথিবীতে নেমে আসবে হাহাকার। একে অপরের প্রতি উদারতা এবং সহযোগিতার মনোভাব যদি না থাকে তাহলে মানুষ জাতি সঙ্ঘবদ্ধ ভাবে বসবাস করতে পারবে না। অহংকার হল মানুষের পতনের মূল। অহংকার করা যাবে না এবং যারা অহংকার করবে তাদের সংস্পর্শ ত্যাগ করতে হবে।