নামাজ আমাদের প্রত্যেককেই পড়া উচিত। আমরা প্রত্যেকেই নামাজ পড়বো আল্লাহর গুণগান গাইবো। আজকে আমরা নামাজ নিয়ে একটি বিস্তারিত আলোচনা আপনাদের সামনে উপস্থাপন করব। আমরা অনেকেই নামাজ পড়ি বা আমাদের মাঝে অনেকেই রয়েছেন যারা নামাজ পড়েন না। তবে আপনারা কি জানেন যে এক ওয়াক্ত নামাজ না পড়লে কি ধরনের শাস্তি আপনাকে ভোগ করতে হবে?
কি ধরনের শাস্তি আপনাকে ভোগ করতে হবে যে আপনি যদি এক ওয়াক্ত নামাজ না পড়েন তাহলে আপনাকে কি রূপ শাস্তি প্রদান করবে মহান আল্লাহ তাআলা? এটা সম্পর্কে হয়তো আপনার কোন ধারনাই নেই। এই জন্যই বলছি যে, আপনি মনোযোগ সহকারে আমাদের আজকের এই প্রবন্ধটি পড়ে নিন। কেননা আপনার জীবন পাল্টে ফেলতে ফেলতে এই প্রবন্ধটি বিশেষ ভূমিকা পালন করবে। প্রত্যেকটি মানুষকে নামাজ পড়তে হবে। প্রত্যেকটি মানুষকে আল্লাহর গুণগান গাইতে হবে। আল্লাহ যে পথে আমাদেরকে চলতে বলেছেন সেই কথাই আমাদেরকে চলতে হবে।
আমরা যদি আল্লাহর দেখানো পথে বা আল্লাহর নবী আমাদের প্রত্যেকের নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর দেখানো পথে যদি আমরা না চলি তাহলে আল্লাহ আমাদেরকে শাস্তি দিবেন। পরকালে আমাদেরকে কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। আর মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে নামাজ পড়তে নির্দেশ করেছেন অর্থাৎ সালাত আদায় করতে নির্দেশ দিয়েছেন। আমাদের প্রত্যেককেই সালাত আদায় করতে হবে। আমরা যদি সালাত আদায় না করি তাহলে আমাদেরকে কি ধরনের শাস্তি প্রদান করবেন মহান সৃষ্টিকর্তা সেটি সম্পর্কে এই প্রবন্ধটি সাজানো হয়েছে।
ইচ্ছাকৃত নামাজ না পড়ার শাস্তি কি
ইচ্ছাকৃত কোন ব্যক্তি যদি এক ওয়াক্ত নামাজ কাজা করে বা এক ওয়াক্ত নামাজ যদি কোনো ব্যক্তি না পড়ে তাহলে তাকে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে। এক ওয়াক্ত নামাজ যদি কেউ বাদ দেয় বা না পড়ে থাকে তাহলে তাকে কোন কোন শাস্তি প্রদান করা হবে সকল শাস্তি গুলো নিয়ে আজকে আমরা এই প্রবন্ধটি সাজিয়েছি। মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে আবশ্যিকভাবে নামাজ পড়তে বলেছেন বা সালাত আদায় করতে বলেছেন। আমাদের প্রত্যেককে সালাত আদায় করতে হবে। মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের উপরে সালাত ফরজ করেছেন। আর ফরজ হল আবশ্যিকভাবে করণীয় যে কাজটি আমাদের অবশ্যই করতে হয় তাকেই ফরজ বলা হয়। আর নামাজ হচ্ছে ইবাদত।
আর এটিকে ফরজ ইবাদত বলা হয়। এজন্য বলা হচ্ছে যে, আমাদের প্রত্যেকের সালাত আদায় করতে হবে। সালাত আদায় না করলে আমাদেরকে বিশেষ কিছু শাস্তির বিধান আল্লাহ উল্লেখ করেছেন। ঠিক তেমনি “সূরা মুদ্দাসসির” “আয়াত ৪২ থেকে ৪৩” আয়াতে মহান আল্লাহতালা বলেছেন:- নামাজ না পড়া পরকালে জাহান্নামের যাওয়ার কারণ পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ তায়ালা বলেছেন:- “তোমাদের কোন জিনিস আকারে নিক্ষেপ করেছে তারা বলবে আমরা সালাত আদায়কারীদের অন্তর্ভুক্ত ছিলাম না।”
নামাজ না পড়ার শাস্তি
যদি কেউ নামাজ না পড়ে তাহলে মহান আল্লাহ তা’আলা বেশ কিছু শাস্তির বিধান আমাদের জন্য রেখে দিয়েছেন। তার মধ্যে বিশেষ কিছু শাস্তির বিধান নিয়ে আজকে আমরা আলোচনা করেছি। যেমন: জাহান্নামে কঠিন শাস্তি প্রদান করা হবে, জাহান্নামে একজন বেনামাজি ব্যাক্তি আজীবন পুড়তে থাকবে। মহান আল্লাহ তায়ালা “সূরা মারিয়াম” আয়াত ৫৯ উল্লেখ করেছেন:- “তাদের পরে এলো অপদার্থ পরবর্তী রা তারা সালাত নষ্ট করল ও প্রবৃদ্ধির অনুসরণ করল সুতরাং তারা অচিরেই গাইয়া প্রত্যক্ষ করবে”।
মহান আল্লাহ তায়ালা প্রতিনিয়তই আমাদেরকে বলেছেন তোমরা নামাজ আদায় করো বা তোমরা সালাত আদায় করো। আমরা যাতে প্রতিনিয়ত সালাত আদায় করি এবং আল্লাহর খিদমতের কথা মাথায় রেখে আমাদের প্রত্যেকটি কর্মকাণ্ড চলমান রাখি সেই আশাটা আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করে আজকে আমরা আমাদের প্রবন্ধটি সম্পন্ন ঘোষণা করছি। আপনারা যদি এ সম্পর্কে আরো কিছু জানতে চান তাহলে আমাদেরকে জানাতে পারেন। আমরা চেষ্টা করব আপনাদের প্রয়োজনীয় সকল বিষয়গুলো আগে যাতে আলোচনা করা হয় প্রতিনিয়তই আপনাদের প্রয়োজনীয় কথা চিন্তা করে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।