আপনারা যদি মহা পবিত্র গ্রন্থ আল কুরআন নিয়ে বিভিন্ন ধরনের উক্তি পেতে চান অথবা কোরআনের বাণী সম্পর্কে তথ্য পেতে চান তাদের উদ্দেশ্যে আমরা কোরআন শরীফের গুরুত্বপূর্ণ আয়াতগুলো উক্তি হিসেবে প্রদান করলাম। যে সকল বাণী অথবা যে সকল লোকদের জীবন পরিবর্তনের সহায়ক ভূমিকা পালন করে সেগুলো আসলেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজে আসে। যেহেতু মহান পবিত্র গ্রন্থ আল কুরআন মানুষের হেদায়েতের জন্য এবং সঠিক পথে পরিচালনার দিকনির্দেশনা প্রদান করেছে সেহেতু কোরআন শরীফের প্রত্যেকটি সূরা এবং প্রত্যেকটি আয়াতেই আমরা এ সকল উক্তি পেয়ে যাব।
তারপরও সাধারণ মানুষজন যেসকল হতাশায় ভুগতে থাকে অথবা যে সকল সমস্যার মধ্য দিয়ে পতিত হতে পারে সেগুলো থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য যখন এই ধরনের উক্তি পড়বে তখন অবশ্যই মনে হবে আল্লাহ পাক আমাদের সাথে আছেন। যদিও বর্তমান সময়ে আমরা কর্মব্যস্ততা অথবা শয়তানের প্ররোচনায় মহান আল্লাহ পাকের যাবতীয় নিয়ামত সম্পর্কে অনেক সময় ভুলে বসে থাকি তারপরেও আমাদেরকে প্রতিটা মুহূর্তে আল্লাহপাক কে স্মরণ করতে হবে। শুধু পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের সময় হাজিরা দিলে হবে না বরং সেই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে এবং হাতে অবসর সময় পেলেই ইস্তেগফার পাঠ করতে হবে।
কারণ আপনি দুনিয়ার জীবনে প্রচুর পরিমাণে ভুল করে এসেছেন এবং আপনার মনের অজান্তে যে সকল ভুল হয়ে গিয়েছে সেগুলো থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য এবং ক্ষমা পাওয়ার জন্য আমরা যদি ইস্তেগফার আমল করি তাহলে দেখা যাবে যে আমাদের অতীত জীবনের ভুলগুলো মুছে যাবে। যাই হোক আপনারা যদি কুরআন শরীফ এর উক্তি পেতে চান তাহলে আমরা আপনাদের উদ্দেশ্যে গুরুত্বপূর্ণ কিছু বাণী প্রদান করলাম যেগুলোর মাধ্যমে আপনি আপনার বর্তমান মনের অবস্থা অথবা বর্তমান মানসিক শক্তি পাওয়ার জন্য এখান থেকে সকল বিষয় পেয়ে যাবেন।
মূলত কোরআন শরীফের বেশ কিছু আয়াত রয়েছে যেগুলো আমাদের জীবন পরিবর্তনের খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে অথবা কঠিন মুহূর্তে ভরসা স্থাপন করতে সাহায্য করে। আপনাকে যদি বলা হয় “হাসবুনাল্লাহু ওয়া নিয়ামাল ওয়াকিল” তাহলে এটার অর্থ হবে আমার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট। অর্থাৎ কঠিন মুহূর্তে আপনি যখন কারো প্রতি ভরসা করতে পারছেন না অথবা আপনার কাছে থেকে যখন সকল কিছু সরে গিয়েছে তখন আল্লাহ পাকের প্রতি ভরসা স্থাপন করলে আল্লাহ পাক আপনাকে নিরাশ করবেন না।
এছাড়াও আপনার যদি প্রচন্ড কষ্টের মধ্যে দিন পার হয়ে থাকে অথবা আপনি যদি কোন দিক থেকে শান্তি না পাওয়ার পাশাপাশি সকল কিছু আপনার বিপরীতে চলেছে তাহলে সেই মুহূর্তে আমরা যদি এটা শুনে থাকি “ফা ইন্না আল উসরি ইউসরা” তাহলে এটার অর্থ অনুযায়ী বুঝতে পারবেন যে নিশ্চয়ই কষ্টের পরে স্বস্তি রয়েছে। অর্থাৎ আপনার এই সকল কষ্ট ক্ষণস্থায়ী এবং আপনি যদি আল্লাহ পাকের প্রতি ভরসা করতে পারেন এবং হালাল জীবন ব্যবস্থা অনুসরণ করতে পারেন তাহলে সকল সমস্যা থেকে মুক্তি পেয়ে যাবেন। বিষয়ে আপনাদেরকে নিশ্চিত করেছেন যে সকল কষ্টের পরেই সঠিক জীবন ব্যবস্থা মেনে চলার মধ্য দিয়ে সুখ পাওয়া যাবে।
কোরআন নিয়ে ইংরেজি উক্তি
কোরআন শরীফ ইংরেজিতে অনুবাদ করা হয়েছে যাতে করে ইংরেজি ভাষাভাষী মানুষেরা এগুলো আমল করতে পারেন অথবা অনেক ক্ষেত্রে আমরা এই সকল ইংরেজি অনুবাদ পড়তে পারি। তাই কোরআন শরীফের বাণীগুলো যখন ইংরেজিতে উক্তি হিসেবে প্রদান করা হচ্ছে তখন সেগুলো যদি সংগ্রহ করার আগ্রহ নিয়ে এখানে ভিজিট করে থাকেন তাহলে সেটাও পেয়ে যাচ্ছেন।
কোরআন আল্লাহর বাণী
কোরআন মহান আল্লাহ পাকের বাণী এবং এটা আমরা সকলেই জানি। বিভিন্ন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অথবা বিভিন্ন সময়ে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে বিভিন্ন সূরার আয়াত অথবা পরিপূর্ণ সূরা নাযিল করা হয়েছে। তাই কোরআন শরীফ আল্লাহর বাণী এবং সরাসরি আল্লাহ পাক প্রিয় নবীর মাধ্যমে এটা আমাদের প্রদান করেছেন বলে গুরুত্ব সহকারে এটা আমল করব এবং অর্থ বুঝে পড়ার চেষ্টা করব।
কোরআন থেকে ইসলামিক মোটিভেশনাল উক্তি
বিশুদ্ধভাবে কোরআন তেলাওয়াত করো। – সূরা মুজ্জাম্মিলঃ ৪।
কোরআনের বিধানবলী স্বয়ংসম্পূর্ণ ও পূর্ণাঙ্গ। – আর্নল্ড টয়েনবি
কুরআন মাজিদ একটি শিক্ষণীয় গ্রন্থ, এটা কোনো মৃত বিবেকের জন্য নয়। – সংগৃহীত।
মহাগ্রন্থ আল কুরআন লাওহে মাহফুজে লিপিবদ্ধ। – সূরা বুরুজঃ ২১
আল কুরআন অন্তরের ব্যাধির সুস্থতা দান করে। – সূরা ইউনুসঃ ৫৭।
জীবনের প্রতিটি শাখায় কার্যকরী বিধান কুরআনে গচ্ছিত রয়েছে। – গিবন
যার অন্তরে কোরআন নেই, সে যেন পরিত্যক্ত বাড়ির মতো। – তিরমিজি।
আমিই এই কুরআন নাজিল করেছি এবং আমি নিজেই এর সংরক্ষণকারী। – আল কুরআন।
রমজানের সবচেয়ে বিস্ময়কর নেয়ামত হচ্ছে আল কোরআন। – সংগৃহীত।
পবিত্র গ্রন্থ আল কুরআন তেলাওয়াত করা সর্বোত্তম ইবাদত। – বুখারি।
তোমাদের মধ্যে সেই উত্তম যে নিজে কুরআন শিখে এবং অপরকে শিক্ষা দেয়। – মুহাম্মদ (সাঃ)।
অবশ্যই এই কোরআন আমিই অবতীর্ণ করেছি আর নিঃসন্দেহে এর রক্ষার দায়িত্ব আমারই। – সূরা হিজরঃ ৯।
কুরআন হলো একটা নির্দেশিত গ্রন্থ, যারা এটার অবমাননা করে তাদের জন্য এটা মোটেও না। – সংগৃহীত।
আল্লাহ কোরআন শেখানোর উদ্দেশ্যে মানব সৃষ্টি করলেন এবং তাকে ভাব প্রকাশ করা শেখালেন। – সূরা আর রহমানঃ১-৪।
আমি কুরআনে এমন কিছু আয়াত নাযিল করেছি, যার মাধ্যমে মুমিনদের রোগমুক্তি ও শান্তি অর্জিত হয়। – সূরা ইসরাঃ ৮২।
কুরআন আল্লাহর অদ্বিতীয়ত্বের গৌরবময় সাক্ষ্য। – এডওয়ার্ড গিবন (বই-দি ডিক্লাইন অ্যান্ড ফল অব রোমান এম্পায়ার)।
কুরআন গরীবের বন্ধু ও কল্যাণকামী। ধনীদের বাড়াবাড়িকে কোরআন সর্বক্ষেত্রেই নিন্দা করেছে। – গর্ড ফ্রে হগনস।
যখন তাদের প্রতি (মুমিনদের) কোরআন তেলাওয়াত করা হয়, তখন তা তাদের ঈমান বাড়িয়ে দেয়। – সূরা আনফালঃ২।
যে ব্যক্তি কুরআনের একটি হরফ পাঠ করবে, সে একটি নেকি পাবে, আর একটি নেকি দশটি নেকির সমতুল্য। – মুসনাদে আহমাদ।
আমি প্রশংসা করি আমার সৃষ্টিকর্তার এবং আমার শ্রদ্ধাবোধ রয়েছে পবিত্র নবী ও পবিত্র কুরআনের প্রতি। – নেপোলিয়ান বোনাপার্ট।
কোরআন বুঝে পড়লেও সওয়াব, না বুঝে পড়লেও সওয়াব, পড়া শুনলেও সওয়াব। আর কুরআনকে আকঁড়ে ধরলে সে কখনো বিপথগামী হবে না। – মিশকাত।
যারা দৈনন্দিন জীবনে হতাশ অথবা কোন দিক থেকে কূলকিনারা করতে পারছেন না তাদের উদ্দেশ্যে বলবো যে কুরআন শরীফ আমল করতে পারলে আপনার ভিতরে যাবতীয় হতাশা অথবা যাবতীয় সমস্যা চলে যাবে। বিশ্বাস স্থাপন করে ধৈর্য ধারণ এবং আমরা যদি এটা করতে পারি তাহলে একটা সময় আমাদের দোয়া কবুল হয়ে যাবে। তাই কোরআন থেকে ইসলামিক মোটিভেশনাল উক্তি যারা পেতে চাইছেন তাদের জন্য বেশ কিছু আয়াত উল্লেখ করা হলো যেগুলো থেকে আপনারা মোটিভেশন পেয়ে যাবেন।