আপনি যদি আলহামদুলিল্লাহ নিয়ে বিভিন্ন ধরনের উক্তি সংগ্রহ করতে চান অথবা বিভিন্ন কথার প্রেক্ষিতে কিভাবে আলহামদুলিল্লাহ বলতে হয় তা জানতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটে প্রদান করা উক্তিগুলো পড়ে দেখতে পারেন। যেহেতু মহান আল্লাহ পাক আমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন এবং এই পৃথিবীর বুকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য বিভিন্ন ধরনের নিয়ামত প্রদান করছেন সেহেতু আমরা যে অবস্থাতেই এবং যতটা খারাপ অবস্থাতেই থাকি না কেন সব সময় শোকর গোজার করতে হবে। তাই মনের ভেতরে যতই দুঃখ কষ্ট চাপা থাকুক না কেন আমরা যদি হাসিমুখে একবার আলহামদুলিল্লাহ বলে উঠি তাহলে আল্লাহ পাক সেই ব্যক্তির প্রতি অবশ্যই রহমত নাযিল করবেন।
এই পৃথিবীর বুকে বর্তমান সময়ের মানুষ শারীরিক অসুস্থতার চাইতে মানসিকভাবে বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছে। কারণ বর্তমান সময়ে যে দুর্বার প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে তাতে করে একজন মানুষ তার সীমিত ইনকামের টাকা দিয়ে অথবা তার ভেতরে যে স্বপ্ন লালিত হয়েছে সেগুলো পূরণ করার জন্য এক ধরনের মানসিক চাপ গ্রহণ করছে। সব সময় একটা মানুষের মনে হচ্ছে যে তার সেই স্বপ্ন কবে পূরণ হবে অথবা স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে নাই বা কেন।
কিন্তু এই পৃথিবীতে যা মন মহান আল্লাহ পাক আমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন তেমনি ভাবে আমাদের রিজিকের ব্যবস্থা তিনি করে রেখেছেন।জীবনের প্রতিটি ধাপে ধাপে তিনি আমাদেরকে সুরক্ষিত রেখেছেন এবং আমরা যে অক্সিজেন নিয়ে বেঁচে আছি সেটাও তাঁর এক অশেষ নিয়ামত। তাই মহান আল্লাহ পাক যেহেতু আমাদের এত কিছু দান করছেন অথবা আমরা এত কিছু ভুল করার পরেও আমাদেরকে ক্ষমা করে দিচ্ছেন সেহেতু আমরা অবশ্যই দিনশেষে অথবা প্রত্যেকটি কাজের মুহূর্তে আলহামদুলিল্লাহ বলে জিকর করতে পারি।
আলহামদুলিল্লাহ এমন একটা শব্দ যেটা গুরুত্ব অনেক বেশি। আপনারা যারা আলহামদুলিল্লাহ শব্দটির অর্থ জানেন না তাদেরকে বলব যে এটার মানে হল সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য। যেহেতু আল্লাহ পাক আমাদেরকে এই পৃথিবীর বুকে তার ইবাদত বন্দেগী করার জন্য সৃষ্টি করেছেন সেহেতু আমরা এই দুনিয়ার বুকে যে সকল নিয়ামত উপভোগ করছে অথবা যে সকল রহমতের মধ্য দিয়ে বেঁচে আছি তার জন্য যে পরিস্থিতিতে থাকি না কেন যদি একবার মুখ ফুটে হাসিমুখে বলতে পারি আলহামদুলিল্লাহ তাহলে আল্লাহ পাক খুশি হয়ে যাবেন।
তবে বর্তমান সময়ে আমাদের ভেতরে যে অসুস্থ প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে তাতে করে আমরা নিজেরা সন্তুষ্ট থাকতে পারিনা অথবা আল্লাহ পাক যে সকল কাজগুলো আমাদের জীবনে ফরজ করেছেন সেগুলো পালন করি না। তাই জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আমরা নিজেদের ভেতরে অসন্তুষ্টি নিয়ে থাকলেও অবশ্যই আলহামদুলিল্লাহ বলবো এবং আলহামদুলিল্লাহ বলার মধ্য দিয়ে আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টি অর্জন করব। আর সকল পরিস্থিতিতে যে ব্যক্তি আল্লাহকে ভুলে যায় না অথবা আলহামদুলিল্লাহ বলে সন্তুষ্টি জ্ঞাপন করে তাকে আল্লাহ পাক খুবই ভালোবাসেন।
তাই জীবনের বিভিন্ন পরিস্থিতিতে আমরা বর্তমান সময়ে দোলাচলে আছি বলে হয়তো ভাবছি জীবনের সুখ শান্তি কোথায় অথবা এ জীবনের মানে কি। আপনার বর্তমান পরিস্থিতিতে যদি একটা কথা ভাবেন যে আপনি শারীরিকভাবে সুস্থ আছেন অথবা আপনার চাইতে এই পৃথিবীর বুকে অনেক অনেক মানুষ আরো খারাপ পরিস্থিতিতে আছে তাহলে আপনার ওই মানুষের দুঃখ কষ্ট গুলো চলে যাবে। অর্থাৎ বর্তমান যে অবস্থাতে আপনি সুখী হতে পারছেন না সেই অবস্থাতে আসার জন্য অনেকে আল্লাহ পাকের কাছে কান্নাকাটি করছে।
তাই আমরা সকলেই আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টি জ্ঞাপন করব। অর্থাৎ দুনিয়ার জীবনে আমরা যদি খেতে নাও পাই অথবা আমাদের ভেতরে যদি অনেক দুঃখ কষ্ট থাকে তাহলে একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে যদি বলতে পারি আলহামদুলিল্লাহ তাহলে আল্লাহ পাক আমাদের দিকে অবশ্যই রহমতের ছায়া প্রদান করবেন। আর সকল পরিস্থিতিতে যদি আমরা আল্লাহ পাকের প্রতি ভরসা করে তাহলে দেখা যাবে যে তিনি আমাদের প্রতি যে সদয় ভাব বজায় রাখবেন অথবা আমাদের চাওয়া পাওয়া অনুসারে তিনি তা প্রদান করবেন। তাই আমাদের এই পোস্ট যারা পড়ছেন তারা যে পরিস্থিতিতে থাকুন না কেন উক্তি সংগ্রহ করার পাশাপাশি একবার বলে উঠুন মন থেকে আলহামদুলিল্লাহ।